অ্যাসাইনমেন্ট : ফল চাষ বৃদ্ধির কৌশল পরিচিতি।
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
১.১ ফলচাষ বৃদ্ধির কৌশল
১.২ ফল চাষ বদ্ধিতে করণীয়
১.৩ ফল চাষের সার্বিক অবস্থা
১.৪ ফল চাষের জাত উন্নয়ন
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
- ফল চাষের কৌশল বর্ণনা করতে হবে
- ফল চাষে করণীয় বর্ণনা করতে হবে
- ফল চাষের সার্বিক অবস্থা বর্ণনা করতে হবে
- ফল চাষের জাত উন্নয়ন বর্ণনা করতে হবে
উত্তর সমূহ:
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
ফল চাষের কৌশল বর্ণনা করতে হবে
ফলের চাষ বৃদ্ধি করতে হলে প্রধানত তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে । যেমন
ক ) বর্তমানে যেসব গাছ রয়েছে সেগুলাের পরিচর্যার মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি করা ।
খ ) নতুন করে ফলগাছ লাগানাে এবং
গ ) জাত উন্নয়ন করা ।
ক ) যে সব গাছ বর্তমানে ফল উৎপাদনশীল রয়েছে সেগুলাের পুষ্টির অভাব দূরীকরণ , পরগাছার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ , মৃত বা রােগাক্রান্ত ডালপালা ছাটাই করা , রােগ ও পােকামাকড়ের আক্রমণ রােধ , সেচ , নিকাশ এবং সার প্রয়ােগ ইত্যাদি অতি প্রয়ােজনীয় কাজগুলাের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয় না । এসব কারণে অধিকাংশ গাছ উপযুক্ত পরিমাণে ফলন দিতে পারে না । নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উৎপাদন ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা অনেকাংশে সম্ভব ।
( খ ) নতুন করে ফল গাছ রােপণের ব্যাপারে কয়েকটি নীতি অনুসরণ করা একান্ত প্রয়ােজন । যেমন
( ১ ) যে সব এলাকায় অনাবাদি জমি রয়েছে সেখানে বাগান আকারে ফলের চাষ করতে হবে । ময়মনসিংহ , সিলেট , চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ফল চাষের উপযাগী প্রচুর জমি রয়েছে । এসব এলাকায় আম , কাঁঠাল , পেয়ারা , আনারস , লিচু , লেবু , কলা জাতীয় ফল , কাজু বাদাম , আমড়া , আঙ্গুর ইত্যাদি ফল গাছের চাষ করা যেতে পারে । এসব এলাকার কৃষকদেরকে শর্ত সাপেক্ষে পাহাড়ি জমি বন্দোবস্ত দেয়া এবং ফল প্রতি তকরণ শিল্প গড়ে তুলতে সহযােগিতা দেয়া যেতে পারে ।
( ২ ) বসতবাড়ির আশেপাশে পারিবারিক চাহিদা মেটানাের জন্য ফল গাছ লাগানাে হয় । এ ব্যাপারে উপযুক্ত ফল গাছ । নির্বাচন করা দরকার । বিভিন্ন ফল গাছ এমনভাবে লাগাতে হবে যাতে পরিবারের খাওয়ার জন্য।
( ৩ ) মাঠ ফসল বা সবজির চেয়ে ফল চাষে বেশি সময় লাগে । বাগান আকারে দীর্ঘমেয়াদি ফলের চাষ করতে চাইলে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা দরকার । জমির সুষ্ঠু ব্যবহার ও বাড়তি আয়ের জন্য ফল গাছের মাঝে স্বল্প মেয়াদি ফসল উৎপাদন করা যেতে পারে ।
( ৪ ) ফলের জাত ও ফসল নির্বাচন , লাগানাে ফসলের পরিচর্যা , আন্তফসল উৎপাদন এবং বাগান ব্যবস্থাপনা সম্বন্ধে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে । এর ফলে তারা সঠিকভাবে ফুল চাষ করে লাভবান হতে পারে ।
( ৫ ) বাংলাদেশের আবহাওয়াতে জন্মানাে সম্ভব এমন সব ফলের চারা কৃষকের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করা অসম্ভব নাও হতে পারে । এগুলাের চারা সরকারিভাবে উৎপাদন করে আগ্রহী কৃষকদের জন্য সহজলভা করা যেতে পারে ।
( ৬ ) ফল বাজারজাতকরণের জন্য বাজার সৃষ্টি এবং ফল চাষের জন্য প্রয়ােজনীয় খামার যন্ত্রপাতি কৃষকদের সহজলভ্য করার লক্ষে অঞ্চলভিত্তিক কৃষক সমবায় কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে । এ সুযােগ সৃষ্টি করা হলে ফল বিক্রির জন্য দালাল বা ফড়িয়াদের হয়রানির হাত থেকে অব্যহতি পাবে এবং সহজে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে পারবে
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ফল চাষে করণীয় বর্ণনা করতে হবে
বাংলাদেশে মাথাপিছু ফলের উৎপাদান অত্যন্ত কম । তাই মাথাপিছু ফলের উৎপাদন বাড়াতে , পুষ্টির গােন দিতে , পতিত জমির সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার । যা ফল চাষ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে । যেমন
১। জমির উচ্চতা নিরূপণ করে স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ফল চাষের জন্য এলাকা চিহৃতিকরণ ।
২। অঞ্চলভেদে ফলের জাত নির্বাচন ও চাষের জন্য সুপারিশ করা ।
৩। ফলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ।
৪। সুস্থ চারা কলম উৎপাদন এবং সকল এলাকায় সহজে পাওয়ার ব্যবস্থাকরন
৫। ফলের গুরুত্ব এবং পুষ্টিমাণ সম্পর্কে জনগণকে অবহিতকরণ ।
৬। উন্নত প্রথায় ফল চাষের জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ ।
৭। ফল উৎপাদনের ঝুঁকি এড়ানাের জন্য কৃষকদের বীমার ব্যবস্থাকরণ ।
৮। ফল সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের সুষ্ঠ ব্যবস্থাকরণ ।
৯। ফলের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার ব্যবস্থাকরণ ।
১০। সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থাকরণ ।
১১। ফল উৎপাদনের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদান ।
১২। যে সব গাছ ফল দেয় না সেগুলোর পরিচর্যা করা ।
১৩। ভাল ফল উৎপাদনকারীকে উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থাকরণ
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ফল চাষের সার্বিক অবস্থা বর্ণনা করতে হবে
বাংলাদেশে বর্তমানে ( ২০০৬-০৭ ) ১৪৪.২৬ হাজার হেক্টর জমিতে ফলের চাষ করা হয়ে থাকে । হিসাব অনুযায়ী এ জমির পরিমাণ মােট চাষযােগ্য জমির মাত্র শতকরা ০.৭৫ ভাগ । বিগত দশ / এগার বছরে ফলের জমি কমেছে ১১৪.৭৪ হাজার হেক্টর এবং উৎপাদন সে তুলনায় খুব সামাণ্যই বেড়েছে ।
নিচের সারনিতে ( সারণি -৮ ) উলেখিত তথ্য মােতাবেক দেখা যাচ্ছে যে , এদেশে দ্রুত বর্ধনশীল ফলই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ উৎপন্ন হয় । দ্রুত বর্ধনশীল ফলের মধ্যে কলা , পেঁপে , আনারস ও তরমুজই প্রধান । ২০০৬-০৭ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এদেশের মােট উৎপাদিত ফলের প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ হচ্ছে দ্রুত বর্ধনশীল ফল । আবার দ্রুত বর্ধনশীল ফলের শতকরা ৭০ ভাগই হচ্ছে কলা ।
দেশে ৪১৩১.১৩ হাজার মেট্রিক টন ফল উৎপন্ন হচ্ছে । কিন্তু আমাদের মােট চাহিদা হচ্ছে ৬২৯৬.২৫ হাজার মেট্রিক টন । সে মােতাবেক ফলের উৎপাদন কমপক্ষে ২/৩ গুণ বৃদ্ধি করা প্রয়াজন । পেঁপে , লিচু , লেবু জাতীয় ফল , কুল , পেয়ারা , তাল ও অন্যান্য ফলের আওতায় জমির পরিমাণ খুবই কম ।
আবার লিচু , কুল , পেয়ারা , নারিকেল ও লেবু জাতীয় ফলের গড় ফলন অত্যন্ত কম । উপরােক্ত আলােচনা থেকে স্পষ্ট বােঝা যাচ্ছে যে , এদেশে ফলের উৎপাদন বাড়ানাের এখনাে যথেষ্ট সুযোগ আছে ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ফল চাষের জাত উন্নয়ন বর্ণনা করতে হবে
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ভুট্টা
বর্ণালী: রবিঃ১৪৫ খরিপঃ১০৫: সোনালী হলদে দানা, ক্যারোটিনসমৃদ্ধ, হাসমুরগির জন্য উত্তম খাবার।
শুভ্রা: রবিঃ১৪৫ খরিপঃ১০৫:সাদাদানা ।
চীনাবাদাম
মাইজচর: রবিঃ ১৫০খরিপঃ ১৩০: দেশের সব অঞ্চলে উপযোগী, প্রতি বাদামে ১-২ টি দানা।
বাসন্তি: ১৫০-১৬০: রবি মৌসুমে চরে ও মাঝারি উচু জমিতে উপযোগী, বাদাম প্রতি ১-২ টি বড় দানা।
টমেটো
মানিক:৭৫ দিনে শুরু: প্রতি গাছে ২৫-৩০ টি বা ২.৫-৩.০ কেজি ফল।
রতন :৭৫ দিনে শুরু:প্রতি গাছে ৩০-৩৫ টি বা ২.০-২.৫ কেজি ফল
বাধাকপি
প্রভাতি: ১০০-১১০ : ১১০-১১০ দিনে সংগ্রহ করা যায়, প্রতিটি ২.০-২.৫ কেজি ।
অগ্রদূত: ১০০-১১০ : ১১০-১১০ দিনে সংগ্রহ করা যায়, প্রতিটি ২.০-২.৫ কেজি ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।