কারিগরি বোর্ড ১০ম শ্রেণির ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভিশন(২) ২য় পত্র ৩য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

কারিগরি বোর্ড ১০ম শ্রেণির ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভিশন(২) ২য় পত্র ৩য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ কারিগরি বোর্ড ১০ম শ্রেণির ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কা
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

অ্যাসাইনমেন্ট : ফল চাষ বৃদ্ধির কৌশল পরিচিতি

 শিখনফল/বিষয়বস্তু :  

১.১ ফলচাষ বৃদ্ধির কৌশল 

১.২ ফল চাষ বদ্ধিতে করণীয় 

১.৩ ফল চাষের সার্বিক অবস্থা 

১.৪ ফল চাষের জাত উন্নয়ন

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

  • ফল চাষের কৌশল বর্ণনা করতে হবে
  • ফল চাষে করণীয় বর্ণনা করতে হবে
  • ফল চাষের সার্বিক অবস্থা বর্ণনা করতে হবে
  • ফল চাষের জাত উন্নয়ন বর্ণনা করতে হবে

উত্তর সমূহ:

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

ফল চাষের কৌশল বর্ণনা করতে হবে

ফলের চাষ বৃদ্ধি করতে হলে প্রধানত তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে । যেমন 

ক ) বর্তমানে যেসব গাছ রয়েছে সেগুলাের পরিচর্যার মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি করা । 

খ ) নতুন করে ফলগাছ লাগানাে এবং 

গ ) জাত উন্নয়ন করা । 

ক ) যে সব গাছ বর্তমানে ফল উৎপাদনশীল রয়েছে সেগুলাের পুষ্টির অভাব দূরীকরণ , পরগাছার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ , মৃত বা রােগাক্রান্ত ডালপালা ছাটাই করা , রােগ ও পােকামাকড়ের আক্রমণ রােধ , সেচ , নিকাশ এবং সার প্রয়ােগ ইত্যাদি অতি প্রয়ােজনীয় কাজগুলাের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয় না । এসব কারণে অধিকাংশ গাছ উপযুক্ত পরিমাণে ফলন দিতে পারে না । নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উৎপাদন ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা অনেকাংশে সম্ভব । 

( খ ) নতুন করে ফল গাছ রােপণের ব্যাপারে কয়েকটি নীতি অনুসরণ করা একান্ত প্রয়ােজন । যেমন 

( ১ ) যে সব এলাকায় অনাবাদি জমি রয়েছে সেখানে বাগান আকারে ফলের চাষ করতে হবে । ময়মনসিংহ , সিলেট , চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ফল চাষের উপযাগী প্রচুর জমি রয়েছে । এসব এলাকায় আম , কাঁঠাল , পেয়ারা , আনারস , লিচু , লেবু , কলা জাতীয় ফল , কাজু বাদাম , আমড়া , আঙ্গুর ইত্যাদি ফল গাছের চাষ করা যেতে পারে । এসব এলাকার কৃষকদেরকে শর্ত সাপেক্ষে পাহাড়ি জমি বন্দোবস্ত দেয়া এবং ফল প্রতি তকরণ শিল্প গড়ে তুলতে সহযােগিতা দেয়া যেতে পারে । 

( ২ ) বসতবাড়ির আশেপাশে পারিবারিক চাহিদা মেটানাের জন্য ফল গাছ লাগানাে হয় । এ ব্যাপারে উপযুক্ত ফল গাছ । নির্বাচন করা দরকার । বিভিন্ন ফল গাছ এমনভাবে লাগাতে হবে যাতে পরিবারের খাওয়ার জন্য। 

( ৩ ) মাঠ ফসল বা সবজির চেয়ে ফল চাষে বেশি সময় লাগে । বাগান আকারে দীর্ঘমেয়াদি ফলের চাষ করতে চাইলে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা দরকার । জমির সুষ্ঠু ব্যবহার ও বাড়তি আয়ের জন্য ফল গাছের মাঝে স্বল্প মেয়াদি ফসল উৎপাদন করা যেতে পারে । 

( ৪ ) ফলের জাত ও ফসল নির্বাচন , লাগানাে ফসলের পরিচর্যা , আন্তফসল উৎপাদন এবং বাগান ব্যবস্থাপনা সম্বন্ধে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে । এর ফলে তারা সঠিকভাবে ফুল চাষ করে লাভবান হতে পারে । 

( ৫ ) বাংলাদেশের আবহাওয়াতে জন্মানাে সম্ভব এমন সব ফলের চারা কৃষকের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করা অসম্ভব নাও হতে পারে । এগুলাের চারা সরকারিভাবে উৎপাদন করে আগ্রহী কৃষকদের জন্য সহজলভা করা যেতে পারে । 

( ৬ ) ফল বাজারজাতকরণের জন্য বাজার সৃষ্টি এবং ফল চাষের জন্য প্রয়ােজনীয় খামার যন্ত্রপাতি কৃষকদের সহজলভ্য করার লক্ষে অঞ্চলভিত্তিক কৃষক সমবায় কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে । এ সুযােগ সৃষ্টি করা হলে ফল বিক্রির জন্য দালাল বা ফড়িয়াদের হয়রানির হাত থেকে অব্যহতি পাবে এবং সহজে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে পারবে

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ফল চাষে করণীয় বর্ণনা করতে হবে

বাংলাদেশে মাথাপিছু ফলের উৎপাদান অত্যন্ত কম । তাই মাথাপিছু ফলের উৎপাদন বাড়াতে , পুষ্টির গােন দিতে , পতিত জমির সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার । যা ফল চাষ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে । যেমন

১। জমির উচ্চতা নিরূপণ করে স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ফল চাষের জন্য এলাকা চিহৃতিকরণ ।

২। অঞ্চলভেদে ফলের জাত নির্বাচন ও চাষের জন্য সুপারিশ করা ।

৩। ফলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ।

৪। সুস্থ চারা কলম উৎপাদন এবং সকল এলাকায় সহজে পাওয়ার ব্যবস্থাকরন

৫। ফলের গুরুত্ব এবং পুষ্টিমাণ সম্পর্কে জনগণকে অবহিতকরণ ।

৬। উন্নত প্রথায় ফল চাষের জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ ।

৭। ফল উৎপাদনের ঝুঁকি এড়ানাের জন্য কৃষকদের বীমার ব্যবস্থাকরণ ।

৮। ফল সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের সুষ্ঠ ব্যবস্থাকরণ ।

৯। ফলের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার ব্যবস্থাকরণ ।

১০। সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থাকরণ ।

১১। ফল উৎপাদনের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদান ।

১২। যে সব গাছ ফল দেয় না সেগুলোর পরিচর্যা করা ।

১৩। ভাল ফল উৎপাদনকারীকে উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থাকরণ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ফল চাষের সার্বিক অবস্থা বর্ণনা করতে হবে

বাংলাদেশে বর্তমানে ( ২০০৬-০৭ ) ১৪৪.২৬ হাজার হেক্টর জমিতে ফলের চাষ করা হয়ে থাকে । হিসাব অনুযায়ী এ জমির পরিমাণ মােট চাষযােগ্য জমির মাত্র শতকরা ০.৭৫ ভাগ । বিগত দশ / এগার বছরে ফলের জমি কমেছে ১১৪.৭৪ হাজার হেক্টর এবং উৎপাদন সে তুলনায় খুব সামাণ্যই বেড়েছে ।

নিচের সারনিতে ( সারণি -৮ ) উলেখিত তথ্য মােতাবেক দেখা যাচ্ছে যে , এদেশে দ্রুত বর্ধনশীল ফলই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ উৎপন্ন হয় । দ্রুত বর্ধনশীল ফলের মধ্যে কলা , পেঁপে , আনারস ও তরমুজই প্রধান । ২০০৬-০৭ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এদেশের মােট উৎপাদিত ফলের প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ হচ্ছে দ্রুত বর্ধনশীল ফল । আবার দ্রুত বর্ধনশীল ফলের শতকরা ৭০ ভাগই হচ্ছে কলা ।

দেশে ৪১৩১.১৩ হাজার মেট্রিক টন ফল উৎপন্ন হচ্ছে । কিন্তু আমাদের মােট চাহিদা হচ্ছে ৬২৯৬.২৫ হাজার মেট্রিক টন । সে মােতাবেক ফলের উৎপাদন কমপক্ষে ২/৩ গুণ বৃদ্ধি করা প্রয়াজন । পেঁপে , লিচু , লেবু জাতীয় ফল , কুল , পেয়ারা , তাল ও অন্যান্য ফলের আওতায় জমির পরিমাণ খুবই কম ।

আবার লিচু , কুল , পেয়ারা , নারিকেল ও লেবু জাতীয় ফলের গড় ফলন অত্যন্ত কম । উপরােক্ত আলােচনা থেকে স্পষ্ট বােঝা যাচ্ছে যে , এদেশে ফলের উৎপাদন বাড়ানাের এখনাে যথেষ্ট সুযোগ আছে ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ফল চাষের জাত উন্নয়ন বর্ণনা করতে হবে

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ভুট্টা

বর্ণালী: রবিঃ১৪৫ খরিপঃ১০৫: সোনালী হলদে দানা, ক্যারোটিনসমৃদ্ধ, হাসমুরগির জন্য উত্তম খাবার।

শুভ্রা: রবিঃ১৪৫ খরিপঃ১০৫:সাদাদানা ।

চীনাবাদাম

মাইজচর: রবিঃ ১৫০খরিপঃ ১৩০: দেশের সব অঞ্চলে উপযোগী, প্রতি বাদামে ১-২ টি দানা।

বাসন্তি: ১৫০-১৬০: রবি মৌসুমে চরে ও মাঝারি উচু জমিতে উপযোগী, বাদাম প্রতি ১-২ টি বড় দানা।

টমেটো

মানিক:৭৫ দিনে শুরু: প্রতি গাছে ২৫-৩০ টি বা ২.৫-৩.০ কেজি ফল।
রতন :৭৫ দিনে শুরু:প্রতি গাছে ৩০-৩৫ টি বা ২.০-২.৫ কেজি ফল

বাধাকপি

প্রভাতি: ১০০-১১০ : ১১০-১১০ দিনে সংগ্রহ করা যায়, প্রতিটি ২.০-২.৫ কেজি ।
অগ্রদূত: ১০০-১১০ : ১১০-১১০ দিনে সংগ্রহ করা যায়, প্রতিটি ২.০-২.৫ কেজি ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

Post a Comment

আমাদের সাথে থাকুন
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!