বিশ্বসভ্যতা বিকাশে গ্রিক ও রােমান সভ্যতার ভুমিকা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন রচনা কর। (২৫০-৩০০ শব্দ)

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 

বিশ্বসভ্যতা বিকাশে গ্রিক ও রােমান সভ্যতার ভুমিকা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন রচনা কর। (২৫০-৩০০ শব্দ)

বিশ্বসভ্যতা বিকাশে গ্রিক ও রােমান সভ্যতার ভুমিকা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন রচনা কর। (২৫০-৩০০ শব্দ)

একটি সভ্যতা (ইংরেজি: Civilization) হল কোন জটিল সমাজব্যবস্থা যা নগরায়ন, সামাজিক স্তরবিন্যাস, প্রতীকী যোগাযোগ প্রণালী (উদাহরণস্বরূপ, লিখন পদ্ধতি), উপলব্ধ স্বতন্ত্র পরিচয় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নিয়ন্ত্রণের মত গুণাবলি দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।

সভ্যতাকে প্রায়শই আরও কিছু সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয় যেগুলোর উপর সভ্যতা নির্ভরশীল, আর সেগুলো হল কেন্দ্রীকরণ, মানুষ এবং অন্যান্য জীবের আবাসন, শ্রমের বিশেষায়িতকরণ, সাংস্কৃতিকভাবে সৃষ্ট উন্নয়ন আদর্শ, আধিপত্য স্থাপন, ভাস্কর্যের অনুরূপ স্থাপত্য, কর বা খাজনা আরোপ, কৃষির উপর সামাজিক নির্ভরশীলতা,

এবং সম্প্রসারণের প্রবণতা। সভ্যতার ইংরেজি শব্দ হল civilization যা ল্যাটিন শব্দ civis থেকে আগত যার অর্থ নগরে বসবাসরত কোন ব্যক্তি। এর কারণ হল, যখন কোন স্থানের মানুষ সভ্য হয়, তখন তারা কোন ছোট গোত্র বা যৌথ পরিবারের মত দলে নয় বরং নগরীর ন্যায় একটি বৃহৎ সুসংগঠিত আকারের দলে একত্রে বসবাস করে।

সাংগঠনিক বসবাসের ক্রমোন্নত স্তর হল সভ্যতা। এর অর্থ হল এর নিজস্ব আইন, সংস্কৃতি এবং জীবনব্যবস্থা ও আত্মরক্ষার নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। অধিকাংশ সভ্যতারই নিজস্ব কৃষিব্যবস্থা এবং রাজতন্ত্র বা নির্বাচন ব্যবস্থার ন্যায় সরকারপদ্ধতি রয়েছে। তারা একটি সাধারণ ভাষায় কথা বলে,

এবং তাঁদের নিজস্ব ধর্ম ও শিক্ষাব্যবস্থাও থাকতে পারে। সুমেরীয় ও মিশরীয় থেকে শুরু করে সকল সভ্যতারই নিজস্ব লিখন পদ্ধতি ছিল। এই লিখন পদ্ধতির মাধ্যমে তারা তাঁদের জ্ঞান সংকলন ও সংরক্ষণ করত।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

গ্রিক সভ্যতা

খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ অব্দ হতে গ্রীক সভ্যতার সূত্রপাত। রোমানরা ‘হেলাস’ দেশকে ‘গ্রীক’ নামে রুপান্তরিত করে। গ্রীসের লোকেরা অতীতে নিজেদের ‘হেলেনীজ’ বলত। তাদের সংস্কৃতিকে হেলেনিক আখ্যায়িত করা হয।

আর হেলেনিস্টিক সংস্কৃতির জন্ম হয় মিশরের আলেকজান্দ্রিয়াকে কেন্দ্র করে গ্রিক সংস্কৃতির সাথে অন্য সংস্কৃতির মিশ্রণে। গ্রীক সভ্যতা মূলত স্পার্টা ও এথেন্সকেন্দ্রিক, স্পার্টা ছিল সামরিক নগররাষ্ট্র। নাগরিকদের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ ছিল বাধ্যতামূলক এবং বিশ থেকে ষাট বছর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রয়োজনে তাদের শ্রম দিতে হত। এথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে যে লোমহর্ষক যুদ্ধ হয় তা হল পোলোপনেসিয়ার যুদ্ধ। এ যুদ্ধে পতন ঘটে এথেন্সের।

 

নগররাষ্ট্র এথেন্সে সুচিত হয় পৃথিবীর প্রাচীন গনতন্ত্র। গণতন্ত্রের বেশ কয়েক শতাব্দী সময় লেগেছিল। এ সময় নাগরিকরা প্রশাসন, আইন ও বিচার বিভাগে অবাধে অংশ নিতে পারত। অর্থাৎ গণতন্ত্রের প্রাণ হিসেবে জনগণের ভূমিকা তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নিয়োগের ব্যবস্থা হয়েছেল। এথেন্সের গোত্রপ্রধানদের নিয়ে গঠিত সংসদকে বলা হত ‘এরিওপেগাস’।

দর্শন চর্চায় গ্রীক সভ্যতার ভূমিকা অত্যন্ত উজ্বল। সক্রেটিস ছিলেন ও সময়ের শ্রেষ্ট দার্শনিক। তিনি যুক্তিবাদী দর্শন প্রবর্তন করেন। এদের সফিস্ট বলা হয়। সক্রেটিসকে হেমলক বিষ পানে হত্যা করা হয়। এছাড়া প্লেটো (গ্রন্থ: রিপাবলিক), এরিস্টটল (গ্রন্থ: দি পলিটিক্স) গ্রীসের বিখ্যাত দার্শনিক। প্লেটো দর্শনের স্কুল একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেন। নিকলো ম্যাকিয়াভ্যালি (গ্রন্থ: দি প্রিন্স) আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক।

ঐসময়ে গ্রিসে প্রাচীন অলিম্পিক শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ৭৭৬ অব্দে। এরা ভাস্কর্য, সঙ্গীত, বাদ্যযন্ত্র, চিকিৎসা প্রভৃতি ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখিয়েছে। গ্রীক নাট্যকার ঈস্কিলাস (নাটক; প্রমিথিউস, আগামেনন), সফোক্লিস (নাটক: রাজা ইদিপাস, ইলেক্ট্রা) এ সময় নাটক রচনা করেন। এ সময় ইতিহাস রচনা করেন হিরোডটাস। তিনি ছিলেন ইতিহাসের জনক। এছাড়া থুকিডাইডস ইতিহাস রচনায় খ্যাতিমান। গ্রীকরা দেবদেবীতে বিশ্বাসী ছিল। গ্রিকদের প্রধান দেবতা ছিল জিউস।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

রোমান সভ্যতা

ইটালীর রোমকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দে রোমান সভ্যতার সূত্রপাত হয়। এটি নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। ল্যাটিন রাজা রোম নগরীর পতন করেন। রাজা রমুলাসের নামেই রোম নগরীর নামকরণ করা হয়।

অগাস্টাস হলেন রোম সম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট। রোমের সম্রাট কনস্টটাইটাইন মৃত্যুর সময় খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। সঙ্গীতপ্রিয় রোমান সম্রাট লিওপোন্ড মৃত্যুর সময়ও সঙ্গীত শুনতে শুনতে প্রাণত্যাগ করেন।

রোমের একজন খ্যাতিমান সম্রাট ছিলেন জুলিয়াস সিজার। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে রোমের সম্রাট হন। এসময় মিশরের রানী ক্লিওপেট্রার সাথে সিজারের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জুলিয়াস সিজার ব্রিটেন আক্রমণ করেন খ্রিস্টপূর্ব ৫৫ অব্দে। জুলিয়াস সিজার সহজে ব্রিটেন দখল করে একটি কথা বলেছিলেন, “ভিনি, ভিডি ও ভিসি।‘ এর অর্থ এলাম, দেখলাম ও জয় করলাম। সিজারকে পাম্পে সূর্তী পর্বতের পাদদেশে হত্যা করা হয়। সিজারের মৃত্যুর পর মার্ক এন্টনির সাথে ক্লিওপেট্রার প্রণয় হয়।

সম্রাট অগাস্টাস সিজারের হাতে এন্টনির পতন হলে শেষপর্যন্ত ক্লিওপেট্রা সর্পদংশনে আত্মহত্যা করেন। রোম রাজতান্ত্রিক হলেও সেখানে আইন পরিষদ হিসেবে অভিজাতদের নিয়ে ‘সিনেট’ এবং সাধারণ জনতা নিয়ে ‘জনগণের পরিষদ’ গঠিত হয়েছি। এসময় ল্যাটিন ভাষায় ব্রোঞ্জপাত্রে আইন লিপিবদ্ধ হত এবং চুক্তিপত্র তৈরি হত। এছাড়া স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, বিজ্ঞান, সঙ্গীত প্রভৃতি ক্ষেত্রে রোমান সভ্যতার ব্যাপক কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


  • ১১ম -১২ম শ্রেণীর এইচএসসি ও আলিম এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ১০ম শ্রেণীর এসএসসি ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৬ষ্ঠ ,৭ম,৮ম ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

 

إرسال تعليق

আমাদের সাথে থাকুন
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!