সহজ পদ্ধতিতে ৪০ তম বিসিএসের সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান ।। Suggestion 24


সহজ পদ্ধতিতে ৪০ তম বিসিএসের সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান ।। Suggestion 24

সহজ পদ্ধতিতে ৪০ তম বিসিএসের সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান ।। Suggestion 24


সবার সুস্থতা কামনা করে আজ আপনাদের মাঝে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সালের সহজ পদ্ধতিতে ৪০ তম বিসিএস এর সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান উপস্থাপন করব। এখানে পাবেন ৪০ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২০১৯ পিডিএফ, ৪০ তম বিসিএস ৩টি প্রশ্নের পূর্ণ সমাধান ২০১৯, ৪০ তম বি.সি.এস ২০১৯ এর সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নের সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন ও সমাধান। তাই আপনাদের অনুরোধে এখানে ৪০ তম বিসিএস এর সাধারণ জ্ঞানের পূর্ণ সমাধান দেয়া হয়েছে। 



সহজ পদ্ধতিতে ৪০ তম বিসিএসের সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান,Complete solution of 40th BCS general knowledge in easy method

 

৪০ তম বিসিএস এর সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান


এখানে সাধারণ জ্ঞানের টি প্রশ্নের পরিপূর্ণ সমাধান আছে। ইতিমধ্যে ১০ম প্রিলিমিনারি বিসিএস পরীক্ষার বাংলা অংশের প্রশ্ন সমাধান এবং অভিনব কৌশলে ১০ম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ইংরেজির প্রশ্ন সমাধান (ব্যাখ্যাসহ), সেরা টেকনিকে ১০ম বিসিএস পরীক্ষার বাংলাদেশ বিষয়াবলী ব্যাখ্যাসহ সমাধান এবং ২০১৯ সালের ৪০ তম বিসিএস প্রলিমিনারি টেস্টের বাংলা অংশের ব্যাখ্যাসহ সমাধান বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বিসিএস প্রশ্ন, চাকরির প্রশ্ন ও উত্তর পেতে ৪০ তম বিসিএসের সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান পেতে পোস্টটি ভালভাবে পড়ুন। ২০১৯ সালের ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট সাধারণ জ্ঞানের ব্যাখ্যাসহ সমাধান পাবেন ৪০ তম বি.সি.এস ২০১৯ এর সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ সমাধান পাবেন। You are here for easy method 40th bcs general knowledge solution.


 


এখানে সহজ পদ্ধতিতে ৪০ তম বিসিএসের সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সমাধান পাবেন।  


৪০ তম বিসিএস এর সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধানঃ


০১। আলাউদ্দিন হােসেন শাহ বৃহত্তর বাংলা শাসন করেন ১৪৯৮-১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত


ব্যাখ্যাঃমধ্যযুগে বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি, বাংলার আকবর খ্যাত আলাউদ্দিন হােসেন শাহ ১৪৯৩ সালে বাংলার মসনদে অধিষ্ঠিত হন। এর পূর্বে তিনি হাবসী শাসনকালে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। হাবসী শাসনামলে তিনি বাংলায় সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দূর করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। পশ্চিম সীমান্তে লােদী সম্রাট সিকান্দারের সাথে শান্তি স্থাপিত হলে উত্তর-বিহার বাংলার শাসনাধীন হয়। পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর তিনি ১৪৯৮ সালে রাজ্য বিস্তারের আকাঙ্ক্ষায় কামতাপুর রাজ্যে অভিযান চালিয়ে সফল হন। রাজধানী হাজো দখল করে নেন। ফলে হাজো পর্যন্ত সমগ্র অঞ্চল বাংলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এ দৃষ্টিকোণ থেকে আলাউদ্দিন হােসেন শাহ ১৪৯৩ সালে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও তিনি বৃহত্তর বাংলা শাসন করেন ১৪৯৮ থেকে ১৫১৯ সাল পর্যন্ত। তবে তার শাসনকালের ব্যাপ্তি ছিল ১৪৯৩-১৫১৯ পর্যন্ত।


০২। প্রাচীন বাংলা মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা হলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।


ব্যাখ্যাঃ প্রাচীন বাংলায় মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। মৌর্য বংশের রাজত্বকাল ছিল ৩২৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৮৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। এ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনকাল ছিল ৩২৪-৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। তিনিই সর্বপ্রথম প্রাচীন ভারতে সর্বভারতীয় ঐক্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। সম্রাট অশােক মৌর্য সাম্রাজ্যের তৃতীয় শাসক ছিলেন। তিনি সিংহাসনে আরােহণ করেন ২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। প্রথম চন্দ্রগুপ্ত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রশাসনের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন সমুদ্র গুপ্ত। তিনি ভারতের নেপােলিয়ন নামে পরিচিত।


০৩। ইউরােপীয় বণিকদের মধ্যে বাংলায় প্রথম এসেছিলেন পর্তুগিজরা


ব্যাখ্যাঃ ১৪৯৮ সালের ২৭ মে পর্তুগিজ দুঃসাহসিক নাবিক ভাস্কো-দা-গামা উত্তমাশা-অন্তরীপ অতিক্রম করে তিনটি বাণিজ্য তরী নিয়ে ভারতের পশ্চিম উপকূলে কালিকট বন্দরে আগমন করেন। তারা ১৫১৬ সালে প্রথম বাংলায় আসে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এই ইউরােপীয় বণিকরা ১৫৩৮ সালে চট্টগ্রাম ও সাতগাঁওয়ে শুল্ক ঘাঁটি নির্মাণের অনুমতিও লাভ করে। অর্থাৎ বাংলায় ইউরােপীয় বণিকদের মধ্যে পর্তুগিজরা প্রথম আগমন করে। ওলন্দাজ বা ডাচরা বাংলায় আসে ১৬৩০ সালে। ইংরেজরা আসে ১৬৫৮ সালে এবং সবশেষে ১৬৭৪ সালে বাংলায় আগমন করে ফরাসিরা।


০৪। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে সােভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পক্ষে ভেটোপ্রদান করেছিল


ব্যাখ্যাঃ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যখন বাংলাদেশের বিজয় সুনিশ্চিত ঠিক তখনই ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন প্রতিনিধি জর্জ এইচ বুশ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করে। সােভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিনিধি এ প্রস্তাবকেএকতরফাবলে অভিহিত করে প্রস্তাবটিতে ভেটো প্রদান। করে। পরদিন ৫ ডিসেম্বর আরাে আটটি দেশের পক্ষ থেকে পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি প্রত্যাব আনলে সােভিয়েত ইউনিয়ন তাতে পুনরায় ভেটো প্রদান করে। এভাবে সােভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে ভেটো প্রদান করে।


০৫। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে


ব্যাখ্যাঃ ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রবর্তিত বাংলাদেশের সংবিধানের সমাপ্তি হয়েছে ৭টি তফসিলের মাধ্যমে। তন্মধ্যে পঞ্চম তফসিলে সংবিধানের ১৫তম সংশােধনী আইন, ২০১১-এর ৫৫ ধারা বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চতুর্থ তফসিলে ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী বর্ণনা করা হয়েছে। ষষ্ঠ তফসিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণা সংক্রান্ত এবং সপ্তম তফসিলে সংযােজিত হয়েছে মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র।


০৬। ‘বঙ্গভঙ্গকালে ভারতের ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন ছিলেন


ব্যাখ্যাঃ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বাংলা ভাগ করেন। এ বিভক্তির মাধ্যমে সমগ্র বাংলাকে পূর্ব বাংলা ও আসাম এবং পশ্চিম বাংলানামে দুটি প্রদেশে পরিণত করা হয়। পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, আসাম, জলপাইগুড়ি, পার্বত্য ত্রিপুরা ও মালদহ। পশ্চিম বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত হয়েছিল পশ্চিম বাংলা প্রদেশ। ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের সময় ভাইসরয় ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন।


০৭। বাংলাদেশের ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত


ব্যাখ্যাঃ বাংলাদেশের বনভূমিকে প্রধানত ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি; ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি ও গরান বা স্রোতজ বনভূমি (সুন্দরবন) এ তিন ভাগে ভাগ করা হয়। মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভূমি ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমির অন্তর্ভুক্ত। এর আয়তন প্রায় ৮৭৫ বর্গ কিমি। শাল জাতীয় এক ধরনের গজারী এ বনভূমির প্রধান বৃক্ষ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমির প্রধান বৃক্ষ গর্জন, জারুল, শিমুল, গামার ইত্যাদি। খুলনা বরিশাল ও পটুয়াখালীর বনভূমির প্রধান বৃক্ষ গেওয়া, ধুন্দল, কেওড়া ইত্যাদি।


বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় ফরিদপুর জেলায়


ব্যাখ্যাঃ বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় ফরিদপুর জেলায়। বিবিএস কর্তৃক প্রকাশিত কৃষি পরিসংখ্যান বহু ২০১৭ অনুযায়ী ফরিদপুর জেলায় পাট উৎপাদিত হয়েছে। ৭,৬৬,০৩৫ বেইল বা ২৬,৮১,১২২.৫ মন (১ বেইল ৩.৫ মন)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজবাড়ী, উৎপাদনের পরিমাণ ৫,০৫,৭৭০ বেইল। জামালপুরে পাট উৎপাদনের পরিমাণ ৪, ৭০, ৭৮১ বেইল (৪র্থ: রংপুরে পাট উৎপাদিত হয়েছে ১,৪৬,৩৩১ বেই


০৯। বাংলাদেশে মােট আবাদযােগ্য জমির পরিমাণ ছিল…


[Note: বিবিএস প্রকাশিত কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০১৭ অনুযায়ী বাংলাদেশে মােট আবাদযােগ্য জমির পরিমাণ । ৮৫.৭৭ লক্ষ হেক্টর অথবা ২ কোটি ১১ লক্ষ একর। দেশের মােট সেচত জমির পরিমাণ ৭৪.৪৮ লক্ষ হেক্টর।


১০। ‘গারাে উপজাতিময়মনসিংহ জেলায় বাস করে


ব্যাখ্যাঃ বাংলাদেশের অন্যতম উপজাতি গারাে। ময়মনসিংহ জেলার গারাে পাহাড়ি এলাকায় এদের মূল ঘাঁটি। তাছাড়া শেরপুর, নেত্রকোনা, রংপুর, জামালপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায়ও গারােরা বাস করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় চাকমা, মারমা, মুরং, ত্রিপুরাসহ মােট ১১টি উপজাতি বাস করে।


১১। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের Per capita GDP (nominal) কত?


[Note: অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ অনুসারে বাংলাদেশের সাময়িক Per capita GNI , ৭৫২ মার্কিন ডলার এবং Per capita GDP হলাে ১,৬৭৭ মার্কিন ডলার।


বাংলাদেশের প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭সালে


ব্যাখ্যাঃ কোনাে দেশের জনসংখ্যার আনুষ্ঠানিক গণনাই আদমশুমারি। বাংলাদেশের মােট জনসংখ্যা নির্ধারণে স্বাধীনতার পর প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। এ পর্যন্ত দেশে পাঁচটি আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ৫ম আদমশুমারি হয়েছে ২০১১ সালের ১৫-১৯ মার্চ।


১৩। Inclusive Development Index (IDI)-এর ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের স্থান কত?


ব্যাখ্যাঃ বিশ্ব অর্থনৈতি ফোরাম (World Economic Forum) কর্তৃক প্রকাশিত Inclusive Development Index (IDI) সূচকের উদীয়মান অর্থনীতি বিভাগে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান 3৪তম দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। (প্রথম স্থানে রয়েছে নেপাল। পাকিস্তান তৃতীয় ও ভারত চতুর্থ।


১৪। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মােট রপ্তানি আয় কত?


ব্যাখ্যাঃ সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তােফায়েল আহমেদ প্রদত্ত জাতীয় সংসদের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাব অনুযায়ী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের মােট রপ্তানি আয় ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৬.৬৬৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।


১৫। Alliance যুক্তরাষ্ট্রের গার্মেন্টস ব্রান্ডগুলাের সংগঠন।


ব্যাখ্যাঃ Alliance for Bangladesh Worker’s Safety ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর প্রতিষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিখ্যাত গার্মেন্টস ব্রান্ডগুলাে নিয়ে গঠিত সংগঠন অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ২৮টি। প্রতিষ্ঠাকালীন এ সংস্থাটির বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার মেয়াদ ছিল ৫ বছর। বাংলাদেশে ইউরােপীয় ইউনিয়নের পােশাক ব্রান্ডভিত্তিক সংগঠন Accord


১৬। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের GDP-তে শিল্প খাতের অবদান কত শতাংশ ছিল?


ব্যাখ্যাঃ বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৩.৬৬%। এ অর্থবছরে উক্ত খাতের প্রবৃদ্ধি ১২.০৬%। জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৪.২৩% ও সেবা খাতের অবদান ৫২.১১% যা সর্বোচ্চ।


১৭। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি প্রণােদনা রাখা হয়েছে…


ব্যাখ্যাঃ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে রপ্তানি প্রণােদনা বা ভর্তুকি বরাদ্দ রাখা হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরেও রপ্তানি প্রণােদনা ছিল সমপরিমাণ অর্থাৎ সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।


১৮। বাংলাদেশে প্রথম ভ্যাট (VAT) চালু হয় ১৯৯১ সালে


ব্যাখ্যাঃ Value Added Tax বা মূল্য সংযােজন কর বাংলাদেশে প্রথম চালু হয় ১৯৯১ সালের ১ জুলাই। এ সংক্রান্ত আইন জাতীয় সংসদে পাস হয় ১০ জুলাই ১৯৯১। মুসক একটি পরােক্ষ কর। এ উৎস থেকে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় হয়। মূল্য সংযােজন কর মূলত বিক্রয় কর সেলস ট্যাক্সের মতাে।


১৯। সংবিধানের ৫ম সংশােধনকে ‘first distortion of constitution’ বলে আখ্যায়িত করা হয়


ব্যাখ্যাঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার পর সামরিক শাসক হিসেবে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে নিজেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এজন্য তিনি ১৯৭৯ সালে সংবিধানে বেশ কিছু সংশােধনী আনেন যা পরবর্তীতে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে পঞ্চম ৫ম সংশোধনীকে অনেকে First distortion of Constitution বা সংবিধানের প্রথম বিকৃতি বলে আখ্যায়িত করে।


২০। স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র সংবিধানের সপ্তম তফসিলে সংযােজন করা হয়েছে


ব্যাখ্যাঃ ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র বাংলাদেশের সংবিধানের সপ্তম তফসিলে সংযােজন করা হয়। পঞ্চম তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণা সংযােজন করা হয়।


২১। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রবর্তিত হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।


ব্যাখ্যাঃ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে ১১ এপ্রিল ১৯৭২ সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটি খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উত্থাপন করে ১২ অক্টোবর ১৯৭২ সালে। ৪ নভেম্বর ১৯৭২ তা গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ এ সংবিধান কার্যকর হয়।


২২। সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে সরকারি কর্ম কমিশন‘ (PSC) গঠনের উল্লেখ আছে?


ব্যাখ্যাঃ বাংলাদেশের সংবিধানের নবম ভাগের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের জন্য আইনের দ্বারা এক বা একাধিক সরকারি কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠার বিধান করা যাবে। একজন সভাপতি ও আইনের দ্বারা যে-রকম নির্ধারিত হবে, সে-রকম অন্যান্য সদস্যকে নিয়ে প্রত্যেক কমিশন গঠিত হবে।


২৩। আওয়ামী লীগের ৬ দফা পেশ করা হয়েছিল ১৯৬৬ সালে


ব্যাখ্যাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫-৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ পাকিস্তানের লাহােরে অনুষ্ঠিত বিরােধী দলসমূহের জাতীয় সম্মেলনের বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ নামে খ্যাত ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘােষণা করেন। এ দফাকে যুক্তরাজ্যের প্রথম সাংবিধানিক দলিল ১৫ জুন। ১২১৫ স্বাক্ষরিত মাগনাকার্টার সাথে তুলনা করা হয়। ছয় দফা প্রথম দফায় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানকে একটি সত্যিকার। ফেডাকেশন রূপে গড়ে তােলা এবং সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি করেন। ছয় দফার শেষ দফা ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের জন্য মিলিশিয়া বা প্যারামিলিটারি রক্ষীবাহিনী গঠন। |


2৪। বঙ্গবন্ধুসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় মােট আসামি সংখ্যা ছিল ৩৫ জন।


ব্যাখ্যাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে জানুয়ারি ১৯৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। আর এ মামলা প্রত্যাহার করা হয় ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে। বঙ্গবন্ধুসহ এ মামলার আসামি ছিলেন ৩৫ জন।


২৫। আইন ও সালিশ কেন্দ্র মানবাধিকার ধরনের সংস্থা


ব্যাখ্যাঃ আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বাংলাদেশের একটি মানবাধিকার এবং আইন সহায়তাকারী বেসরকারি সংগঠন। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা। সদস্য ৯ জন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য সমানাধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং লিঙ্গভিত্তিক সমতার ভিত্তিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা।


২৬। Almond Powel চাপ সৃষ্টিকারী গােষ্ঠীকে ৪ ভাগে বিভক্ত করেছেন


ব্যাখ্যাঃ যে গােষ্ঠীর সদস্যগণ একই মনােভাব ও স্বার্থের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এবং স্বার্থের ভিত্তিতেই তারা পরস্পরের সাথে আবদ্ধ হয় তাকে চাপসৃষ্টিকারী গােষ্ঠী বলে। Almond Powell চাপসৃষ্টিকারী গােষ্ঠীকে চার ভাগে ভাগ করেছেন। যথা


1. Institutional Interest: Groups


2. The Associational Interest Groups


3. Anomic Interest Groups


4. Non-Associational Interest Groups


২৭। বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য


ব্যাখ্যাঃ বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য। ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে ৩টি দেশ সদস্যপদ লাভ করে। এগুলাে হচ্ছে বাংলাদেশ, গ্রানাডা এবং গিনি বিসাউ। বর্ণক্রমানুসারে নাম আসায় বাংলাদেশ ১৩৬তম, গ্রানাডা ১৩৭তম এবং গিনি বিসাউ ১৩৮তম সদস্যপদ লাভ করে।


২৮। বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয় ৭ মার্চ, ১৯৭৩ সালে।


ব্যাখ্যাঃ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭ মার্চ ১৯৭৩। ১৯৭৯-তে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় নির্বাচন। আর সর্বশেষ বা একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮


২৯। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক ১৩ হাজার ১৩৬ টি চালু করা হয়। 


ব্যাখ্যাঃ ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জনাব মােহাম্মদ নাসিম প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ১৩৬টি। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা ১৩,৭৭৯টি সূত্র :স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


৩০। ‘Let there be Light-বিখ্যাত ছবিটি পরিচালনা করেন জহির রায়হান।


ব্যাখ্যাঃ বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক, পাকিস্তানের প্রথম রঙিন উর্দু ছবিসঙ্গম‘-এর নির্মাতা জহির রায়হানের পরিচালিত ছবি ‘Let there be Light’


৪০ তম বিসিএস এর সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান শেষ কথাঃ  


এতক্ষণ, আপনারা ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সালের ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্টের সাধারণ জ্ঞানের ব্যাখ্যাসহ সহজ সমাধান পড়লেন। এখানে পড়লেন ৪০ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান৪০ তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন সমাধান৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২০১৯ পিডিএফ৪০ তম বিসিএসের ৩ টি প্রশ্নের পূর্ণ সমাধান ২০১৯৪০ তম বি.সি.এস ২০১৯ এর সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নের সমাধান৪০ তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন ও সমাধান। 


তাই আপনাদের অনুরোধে এখানে ৪০ তম বিসিএসের সাধারণ জ্ঞানের পূর্ণ সমাধান দেয়া হয়েছে। এখানে সাধারণ জ্ঞানের ৩ টি প্রশ্নের পরিপূর্ণ সমাধান আছে। ইতিমধ্যে ১০ম প্রিলিমিনারি বিসিএস পরীক্ষার বাংলা অংশের প্রশ্ন সমাধান এবং অভিনব কৌশলে ১০ম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ইংরেজির প্রশ্ন সমাধান (ব্যাখ্যাসহ), সেরা টেকনিকে ১০ম বিসিএস পরীক্ষার বাংলাদেশ বিষয়াবলী ব্যাখ্যাসহ সমাধান এবং ২০১৯ সালের ৪০ তম বিসিএস প্রলিমিনারি টেস্টের বাংলা অংশের ব্যাখ্যাসহ সমাধান বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বিসিএস প্রশ্নচাকরির প্রশ্ন ও উত্তর পেতে ৪০ তম বিসিএসের সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান পেতে পোস্টটি ভালভাবে পড়ুন। ২০১৯ সালের ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট সাধারণ জ্ঞানের ব্যাখ্যাসহ সমাধান পেয়েছেন। ৪০ তম বি.সি.এস ২০১৯ এর সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ সমাধান পেয়েছেন। You are here for easy method 40th bcs general knowledge solution.


এখানে সহজ পদ্ধতিতে ৪০ তম বিসিএসের সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সমাধান করা দেওয়া হয়েছে। 


। suggestion24.com #সহজ পদ্ধতিতে ৪০ তম বিসিএসের সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান ।। Suggestion 24 সহজ পদ্ধতিতে ৪০ তম বিসিএসের সাধারণ জ্ঞানের সম্পূর্ণ সমাধান ।। Suggestion 24 Contact us: info@suggestion24.com

0 تعليقات

আমাদের সাথে থাকুন

Advertisement 2

Advertisement 3

Advertisement 4