অনুচ্ছেদ মেট্রোরেল PDF Download,পিডিএফ ডাউনলোড মেট্রোরেল প্রবন্ধ একটি অনুচ্ছেদ লিখুন মেট্রোরেল

অনুচ্ছেদ মেট্রোরেল PDF Download,পিডিএফ ডাউনলোড মেট্রোরেল প্রবন্ধ একটি অনুচ্ছেদ লিখুন মেট্রোরেল

মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ PDF Download - ০১

অনুচ্ছেদ মেট্রোরেল চালু হলো স্বপ্নের মেট্রোরেল। এটি নিয়ে ঢাকাবাসীর আগ্রহ কতটা ভা দেখা গেছে উদ্বোধন অনুষ্ঠানেই। তবে এখন প্রশ্ন উঠেছে স্বপ্নের

মেট্রোরেল রাজধানীর যানজট নিরসনে কতটা ভূমিকা পালন করতে পারবে। পুরোপুরি যানজট নিরসন না হলেও নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যাওয়ার একটি মাধ্যম তৈরি হচ্ছে। তা ছাড়া ঢাকার বেশিরভাগ এলাকার মানুষ মেট্রোরেলের সুবিধা ভোগ করলে বাকি এলাকায়ও গণপরিবহনের ওপর চাপ কমে আসবে। সে জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে মেট্রোর সব লাইন চালু হওয়া পর্যন্ত ।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি শহরের যানজট নিরসন অনেক উপাদানের ওপর নির্ভর করে। মেট্রোরেল চালু হলেই যে যানজট নিরসন হয়ে যাবে তা বলা যাবে না। কেননা মেট্রো চালু হলেই সড়কে গাড়ির সংখ্যা কমবে না, সড়কের প্রশড়তাও বাড়বে না। মেট্রোরেলের সঙ্গে পুরো গণপরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো গেলে যানজট নিরসনে ইতিবাচক ফল আসতে পারে। তবে সুষ্ঠু পরিকল্পনায় মেট্রো পরিচালনা করা গেলে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত ও সহজতর হবে।

ঢাকার মতো একটি জনবহুল শহরে মেট্রোরেল ছাড়া যানজটের তেমন কোনো সমাধান নেই। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় অন্তত উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ে ১১ মিনিটে যেতে পারবেন। আগামী জানুয়ারিতে আরও একটি লাইন চালু হওয়ার কথা রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সব লাইন চালু করতে পারলে ঢাকার অনেক এলাকার মানুষই এ সুবিধার আওতায় আসবে।

মেট্রোরেলে করে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অনেক মানুষ খুব সহজেই চলে এলেও সেখান থেকে কীভাবে তাদের গন্তব্যে যাবে তার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। মেট্রো স্টেশন থেকে মানুষ যেন সহজেই গন্তব্যে যেতে পারে সে জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে।

মহানগরে (ঢাকা) যানজটের কারণে ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বছরে) ক্ষতি হচ্ছে। এমআরটি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পরে ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রতিবছর সাশ্রয় হবে। লাইন-৬ চালু হয়ে গেলে ‘টাইম কস্ট’ ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা প্রতিদিন সাশ্রয় হবে। সঙ্গে 'অপারেশন কস্ট' বাবদ সোয়া কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
২০২৪ সালের জুন মাসে এমআরটি-৬ লাইন চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই প্রথম অংশ উদ্বোধন করা সক্ষম হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা নগরীতে ‘মাকড়সার জালের মতো' মেট্রোরেল তৈরি করা সম্ভব হবে।

এরই ধারাবাহিকতায় এমআরটি লাইন-৬-এর মতিঝিল অংশ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করার কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। তা ছাড়া এমআরটি লাইন-১ দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। এমআরটি লাইন-৫ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে উদ্বোধনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আরও দুই লাইনের কাজ চলছে। এমআরটি লাইনে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে। প্রতিদিন ৫ লাখ লোক চলাচল করতে পারবে। পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না, পরিবেশ সহায়ক ও সাশ্রয় হবে।


আরো ও সাজেশন:-

মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ -০২

অনুচ্ছেদ মেট্রোরেল ‘যানজট’ আর ‘ঢাকা’ যেন সমার্থক শব্দ হয়ে গেছে। রাজধানীর যানজটের বাস্তবতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, যাত্রার সময়টি নিশ্চিত করে বলা যায়, কিন্তু পৌঁছানোর সময় নয়। এই যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনতে ফ্লাইওভার, লেন, রাস্তা প্রশস্তকরণ মিলিয়ে কতো রকম ব্যবস্থা যে নেওয়া হয়েছে- সে হিসেব মেলানো কঠিন। কিন্তু যানজট আর দুর্ভোগ থেকে কিছুতেই পরিত্রাণ মিলছে না। দিন দিন পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকেই যাচ্ছে। এই অবনতিতে যখন রাজধানীবাসীর নাকাল হওয়ার দশা, তখন যেন স্বস্তির শীতল হাওয়া বইয়ে দিচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল।

একটি সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় যানবাহনের গড় গতিসীমা ঘণ্টায় মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। অর্থাৎ, ক্ষেত্রবিশেষে গতিসীমা পায়ে হাঁটার গতির চেয়েও কম।পথ চলার এই অনিশ্চয়তা ও অচলতা থেকে মুক্তি দিতেই মেট্রোরেলের মতো এমন বড় প্রকল্পের কর্মযজ্ঞে নেমে পড়েছে সরকার। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদেরও আশাবাদ, মেট্রোরেল নগরবাসীকে খুব কম সময়েই  গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। এই মেট্রোরেল নগরজীবনেও ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ করবে। মানুষের জীবনযাত্রার যেমন উন্নয়ন হবে তেমনি আদি শহর ঢাকার মর্যাদাও কিছুটা  নিশ্চয় বাড়বে। এখন নানা সূচকে ঢাকাকে যারা পেছনে ঠেলে দেন তারাও নগরটিকে সমীহ করে চলবেন বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

একসময় মেট্রোরেলকে স্বপ্ন মনে করা হতো। বিশেষ করে বিপুল অংকের অর্থের প্রয়োজনীয়তা সামনে এলে স্বপ্ন ভাবাটাই যেন যৌক্তিক মনে হতো। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের সামনে মেট্রোরেল এখন দৃশ্যমান বাস্তবতারই অপর নাম। ২০১৯ সালের মধ্যেই এই প্রকল্প শেষ হওয়ার দিন গুনছেন নির্মাণকাজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে কিছু এলাকায় পিলার দাঁড়িয়ে জানান দিচ্ছে স্বপ্ন বাস্তবায়নের বার্তা। অনেক এলাকায়ও তুমুল গতিতে চলছে পাইলিং।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ডিএমআরটিডিপি) বা মেট্রোরেল প্রকল্পের দৈর্ঘ্য হবে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত, ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। এই প্রকল্পে ২৪ সেট ট্রেন চলাচল করবে। প্রত্যেকটি ট্রেনে থাকবে ৬টি করে কার। ঘণ্টায় ১’শ কিলোমিটার বেগে ছুটবে যাত্রী নিয়ে। উভয়দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন বহনে সক্ষমতা থাকবে মেট্রোরেলের।  

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রকল্পের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটারে ৯টি স্টেশন থাকবে। এগুলো হচ্ছে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়াও আগারগাঁও। আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাকি ৮ দশমিক ৪ কিলোমিটারে স্টেশন থাকবে ৭টি। এগুলো হলো- বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব এবং মতিঝিলে (বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে)। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা।
 
প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএন সিদ্দিক বলেন, ২৪ ঘণ্টা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ চলছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন করবো। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উত্তরা-আগারগাঁও রুট খুলে দেওয়া হবে। আর ২০২০ সালে মতিঝিলবাসী চড়তে পারবে এমআরটিতে।
 
রাজধানীবাসী যখন এই মেট্রোরেলের শীতল হাওয়া গায়ে মাখছে। তখন আরও দু’টি মেট্রোরেল বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছে সরকার। একটি হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশ দিয়ে বাড্ডা-রামপুরা হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত। এই লাইনের একটি অংশ বসুন্ধরার পাশ দিয়ে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত চলে যাবে, যা পুরোটাই হবে এলিভেটেড। তবে কমলাপুর পর্যন্ত যে লাইন যাবে তার ১৬ কিলোমিটার হবে পাতাল রেল ফরম্যাটে। অর্থাৎ রেল চলবে মাটির নিচ দিয়ে। এ লাইনে কমলাপুর পর্যন্ত স্টেশন থাকবে- খিলক্ষেত, কুড়িল, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা গেট, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর। আর পূর্বাচলের দিকে সম্ভাব্য স্টেশন থাকবে বসুন্ধরা, মাস্তুল, পূর্বাচল, পশ্চিম পূর্বাচল সেন্টার ও পূর্বাচল টার্মিনাল

0 تعليقات

আমাদের সাথে থাকুন

Advertisement 2

Advertisement 3

Advertisement 4