বসুমতি কেন তুমি এতই কৃপণা, বসুমতি, কেন তুমি এতই কৃপণা? - সারমর্ম

বসুমতি , কেন তুমি এতই কৃপণা

 

বসুমতি , কেন তুমি এতই কৃপণা ? 
কত খোঁড়াখুঁড়ি করি পাই শস্যকণা । 
দিতে যদি হয় , দে মা , প্রসন্ন সহাস , 
কেন এ মাথার ঘাম পায়েতে বহাস ? 
বিনা চাষে শস্য দিলে কি তাহাতে ক্ষতি ? 
শুনিয়া ঈষৎ হাসি কন বসুমতি — 
আমার গৌরব তাহে সামান্যই বাড়ে 
তােমার গৌরব তাহে একেবারে ছাড়ে । 
 
 
সারমর্ম : মানবজীবনের গৌরব ও মর্যাদা অর্জিত হয় পরিশ্রমের মাধ্যমে । বিনা পরিশ্রমে কিছু অর্জনের পরিশ্রমের মধ্যে কোনাে আনন্দ নেই । তাতে মনুষ্যত্বের অবমাননাও হয় । বস্তুত করুণা বা দয়া নয় , মাধ্যমে জীবনকে সার্থক ও গৌরবান্বিত করাই মানবজন্মের সার্থকতা ।
 

সারমর্ম : বসুমতি, কেন তুমি এতই কৃপণা?

  • বসুমতি, কেন তুমি এতই কৃপণা?
  • কত খোঁড়াখুঁড়ি করে পাই শস্যকণা।
  • দিতে যদি হয়, দে মা প্রসন্ন সহাস,
  • কেন এ মাথার ঘাম পায়েতে বহাস?
  • বিনা চাষে শস্য দিলে কি তাহাতে ক্ষতি?
  • শুনিয়া ঈষৎ হাসি কন্ বসুমতি
  • শুনিয়া ঈষৎ হাসি কন্ বসুমতি
  • তোমার গৌরব তাতে একেবারেই ছাড়ে।
  • [ঢা. বো. ১১; রা. বো. ১৩; সি. বো. ১৫, ১৩]

সারমর্ম মানবজীবনে শ্রমের মূল্য অপরিসীম। অপরের করুণা কিংবা সাহায্য প্রত্যাশা না করে নিজের ক্ষমতা বা সামর্থ্যকে কাজে লাগানোই বুদ্ধিমানের কাজ। এর মাধমেই মানুষের গৌরব বাড়ে এবং সে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়।

 

সারমর্ম : বসুমতি, কেন তুমি এতই কৃপণা?

 

“বসুমতি কেন তুমি এতই কৃপণা?

কত খোড়াখুড়ি করি পাই শস্য কণা,

দিতে যদি হয় দে মা প্রসন্ন সহাস,

কেন এ মাথার ঘাম পায়েতে বহাস?

বিনা চাষে শস্য দিলে কি তাহাতে ক্ষতি?

শুনিয়া ঈষৎ হাসি কহেন মা বসুমতি

“আমার গৌরব তাহে সামান্যই বাড়ে,

তোমার গৌরব তাহে একেবারে ছাড়ে।”

 

সারমর্ম : আত্মশক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকার মাঝেই জীবনের সার্থকতা। বিনা পরিশ্রমে ফসল উৎপন্ন হলে পৃথিবীর গৌরব বাড়ে, কিন্তু তা মানুষের জন্য অমর্যাদাকর । এতে রয়েছে পরনির্ভরশীলতা ও কাপুরুষতার পরিচয়। নিজের পরিশ্রমে যা অর্জন করা যায় তাতেই গৌরব

0 Comments

আমাদের সাথে থাকুন

Advertisement 2

Advertisement 3

Advertisement 4