কুকুরটি এতই বিশ্বস্ত ছিল যে মহিলা প্রায়ই তার বাচ্চাকে কুকুরটির সাথে একা বাসায় রেখে টুকটাক কাজ সেরে আসতেন, এবং ফেরার পর প্রতিবারই উনি দেখতে পেতেন বাচ্চাটি কুকুরটির সাথে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। এমনই একদিন উনি নিজের বাচ্চাকে তার বিশ্বস্ত কুকুরটির কাছে রেখে শপিং করতে গেলেন।
শপিং সেরে বাসায় ফেরার পর সে দেখতে পায় এক বীভৎস দৃশ্য। সে দেখতে পায় তার পুরো বাসা লন্ডভন্ড হয়ে আছে, বাচ্চাটিও তার নিজের খাটে নেই এবং বাচ্চার ডাইপার ও কাপড়চোপড় ছিন্নভিন্ন হয়ে সারা বাসায় ছড়িয়ে আছে, আর ফ্লোরের জায়গায় জায়গায় লেগে আছে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ।
প্রচন্ড আতঙ্কে মহিলাটি তার বাচ্চাকে হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করে। ঠিক তখনই সে তার সে বিশ্বস্ত কুকুরটিকে খাটের নিচ থেকে বের হতে দেখতে পায়। তার সারা মুখ রক্তে মাখা ছিল। রক্ত তার মুখ বেয়ে বেয়ে এমনভাবে পড়ছিল যেন, এখনই কোন প্রিয় সুস্বাদু খাবার খাওয়া শেষ করে উঠল সে।
মহিলাটির আর বুঝতে বাকি রইলো না যে কুকুরটি তার বাচ্চাকে খেয়ে ফেলেছে। দ্বিতীয় কোন চিন্তা না করে সে তার কুকুরটিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এরপর সে খুঁজতে থাকে তার বাচ্চার শরীরের কোন অংশ আদৌ বাকি আছে কিনা, আর তখনই সে আবিষ্কার করে আরেক অবাক করা দৃশ্য। সে দেখতে পায় বিছানার ওপাশেই কার্পেটের উপর তার বাচ্চাটি খেলা করছে সম্পুর্ণ সুস্থ অবস্থাতেই।
তারপর বিছানার নিচে তাকাতেই মহিলাটি আবিষ্কার করে সেখানে পড়ে আছে একটি সাপের ছিন্নভিন্ন শরীর। মূলত ওখানে সাপটির সাথে কুকুরটির যুদ্ধ হচ্ছিল। বিশ্বস্ত কুকুরটি তার বাচ্চাকে বাঁচাতে তার সর্বশক্তি দিয়ে সাপটিকে প্রতিহত করেছিল।
মহিলাটি সবকিছু বুঝতে পারলেও ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যায়। তার ধৈর্যহীনতা ও সর্বগ্রাসী ক্রোধ ততক্ষণে তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে তার সবথেকে বিশ্বস্ত বন্ধুকে।
এই সত্য ঘটনাটি একটি পোষা কুকুরের সাথে ঘটলেও, এমন ভুল কি আমাদেরও আমাদের আপনজনদের সাথে হয়ে যায় না? তাই পরিস্থিতি বিচার করার জন্য সর্বদা ধৈর্য ধরুন এবং অহেতুক ভুলগুলি এড়ান, যাতে আমাদের নিজের ভুলে আমরা আমাদের এমন কোন আপনজনকে আর হারিয়ে না ফেলি।