hsc বিএম ১১শ শ্রেণি ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা (১) ১২তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১

শ্রেণি: ১১শ / HSC বিএম-2021 বিষয়: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা (১) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 08 বিষয় কোডঃ 1817
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ “অংশীদারী ব্যবসায়ের ভিত্তিই চুক্তি, পদমর্যাদা নয়”- সংক্ষেপে আলোচনা কর।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • বৈধ চুক্তির ধারণা শিখতে পারবে,
  • অংশীদারী ব্যবসায়ের ধারণা,
  • অংশীদারী সম্পর্ক সৃষ্টি হয় চুক্তি থেকে, মর্যাদা থেকে নয়।,
  • চুক্তি অংশীদারী কারবার ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পাদিত হতে পারে তাহা শিখতে পারবে,

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

  • বৈধ চুক্তির ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • অংশীদারী ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • অংশীদারী সম্পর্ক সৃষ্টি হয় চুক্তি থেকে, মর্যাদা থেকে নয় তা সংক্ষেপে বর্ণনা করতে হবে।,
  • চুক্তি অংশীদারী কারবার ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পাদিত হতে পারে তাহা সংক্ষেপে লিখতে হবে।,

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • বৈধ চুক্তির ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,

চুক্তির সংজ্ঞা্: চুক্তি শব্দটির ইংরেজি হচ্ছে Contract এবং এই Contract শব্দটি এসেছে ল্যাটিন Contractum শব্দ হতে। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে-

১. চুক্তি ২. বন্দোবস্ত ৩. ঠিকা ৪. নিয়মপত্র
৫. একরারনামা ৬.নিয়ম

চুক্তির সংজ্ঞা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইনবিশারদগণ বিভিন্ন অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। যা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:
চুক্তির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে অধ্যাপক স্যামন্ড বলেন যে, "A contract is an agreement creating and defining obligations between the parties' "বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে দায় সৃষ্টি ও নির্দিষ্ট করে যে সম্মতির সৃষ্টি হয় তাকে চুক্তি বলে।"

স্যার উইলিয়াম এ্যানসন চুক্তির সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন, "আইনের দ্বারা বলবেযাগ্য দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে সম্পাদিত যে সম্মতির দ্বারা একপক্ষ অন্য পক্ষের কার্য বা কার্য হতে বিরত থাকার অধিকার লাভ করে থাকে তাকেই চুক্তি বলে।"

স্যার ফ্রেডারিক পোলক এর মতে, ‚Every agreement and promise enforceable at law is a contract.œ "আইনের সাহায্যে বলবেযাগ্য প্রত্যেকটি সম্মতি ও প্রতিশ্রুতিকেই চুক্তি বলে।
১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের ২ (জ) ধারায় চুক্তির যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে যে, An agreement enforceable by law is a contract " অর্থাত্ আইনের দ্বারা বলবেযাগ্য সম্মতিকে চুক্তি বলা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • অংশীদারী ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,

আগের দিনে ব্যবসায় বাণিজ্য সাধারণত কৃষি পণ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সময় একক ব্যক্তির মালিকানায় ব্যবসায় পরিচালনা ছিল মুখ্য বিষয়। কালের বিবর্তনে শিল্প ও ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে এক মালিকানা ব্যবসায়ের ধারায় পরিবর্তন সূচিত হয়।

শুরু হলো ব্যক্তি ও সামর্থ্যের সমন্বয়। এক মালিকানা ব্যবসায়ের সীমাবদ্ধতা ও অসুবিধাসমূহ দূর করার লক্ষেই মূলত: অংশীদারি ব্যবসায় গড়ে ওঠে। সহজভাবে বলা যায়, একের অধিক ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যে ব্যবসায় গঠন করা যায়, তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলে।

১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে যে, সকলের দ্বারা বা সকলের পক্ষে একজনের দ্বারা পরিচালিত ব্যবসায়ের মুনাফা নিজেদের মধ্যে বন্টনের নিমিত্তে একাধিক ব্যক্তির মধ্যে যে চুক্তিবদ্ধ স¤পর্কের সৃষ্টি করে তাদের প্রত্যেককে অংশীদার এবং সম্মিলিতভাবে তাদের ব্যবসায়কে অংশীদারি ব্যবসায় বলা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • অংশীদারী সম্পর্ক সৃষ্টি হয় চুক্তি থেকে মর্যাদা থেকে নয় তা সংক্ষেপে বর্ণনা করতে হবে।,

অংশীদারি ব্যবসায় হলো চুক্তির দ্বারা দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে বৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের নিমিত্তে যে ব্যবসায় গড়ে উঠে। ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইন অনুসারে, সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন ২জন ও সর্বোচ্চ ২০জন হবে এবং ব্যাংকিং অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ২জন থেকে সর্বোচ্চ ১০জন হবে। চুক্তিই অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি। চুক্তি ছাড়া কোনো অংশীদারি ব্যবসায় হতে পারে না।

চুক্তির মাধ্যমে অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত হয়ে থাকে। চুক্তি লিখিত বা অলিখিত হতে পারে। লিখিত চুক্তিকেই চুক্তিপত্র বলে। মানুষ জন্মগতভাবে সীমিত স্মরণশক্তি বিশিষ্ট প্রাণি। তদুপরি অংশীদারি ব্যবসায়ের জন্মলগ্নে প্রত্যেক অংশীদারিই চূড়ান্ত পারস্পরিক সদ্বিশ্বাস নিয়ে ব্যবসায় শুরু করে থাকেন।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে নিজেদের মধ্যে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দিতে পারে। এমনকি অনুরূপ মনোমালিন্য শেষাবধি বিরোধ বা শত্রুতার পর্যায়ে গিয়েও দাঁড়াতে পারে। ভবিষ্যতে স্মৃতিভ্রমের দরুন কিংবা বিরোধ সৃষ্টি হওয়ার দরুন যদি মৌখিকভাবে সম্পাদিত কোনো ধারা নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেয় তবে তা নিষ্পত্তির কোনো উপায় থাকবে না। তদুপরি কোনো অংশীদারের মৃত্যু হলে বা কেউ পাগল হয়ে গেলে তার উত্তরাধিকারীগণ এ কারবারের মালিকানা পাবেন। এরূপ অবস্থায় ভবিষ্যতে সৃষ্ট যে কোনোরূপ পরিস্থিতির সহজ, মঙ্গলজনক ও সুষ্ঠু সমাধানের নিমিত্ত পূর্বাহ্নেই চুক্তি লিখিত অবস্থায় সকল পক্ষের স্বাক্ষরযুক্ত হওয়া বাঞ্চনীয়। তদুপরি অনুরূপ চুক্তিপত্র নিবন্ধিত হলে প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ইউনিটে আমরা চুক্তিপত্র ও চুক্তিপত্রের নিবন্ধন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তিপত্র কী

অংশীদারগণ নিজেদের মধ্যে ব্যবসায়ের প্রকৃতি, উদ্দেশ্য, মূলধনের পরিমাণ, মূলধন যোগানের হার, কাজকর্মের কার্যপদ্ধতি, লাভ-লোকসান বণ্টন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করে যে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনিত হয় তাকে অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তি বলে। আর অংশীদারগণ কর্তৃক সম্পাদিত চুক্তির লিখিত রূপকেই চুক্তিপত্র বা চুক্তিনামা বলে। হ্যানসন এর মতে, অংশীদারি চুক্তিপত্র হলো ব্যবসায়ে অংশীদারদের অবস্থা সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে প্রণীত একটি দলিল। চুক্তিই অংশীদারি ব্যবসায়ের মূলভিত্তি বা সংবিধান। চুক্তির মাধ্যমে অংশীদারগণ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে একত্রিত হয় চুক্তি অনুসারেই ব্যবসায় পরিচালনা করে এবং চুক্তি অনুসারেই এর বিলোপসাধন করে। চুক্তি ছাড়া অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত হতে পারেনা।

অংশীদারি চুক্তি মৌখিক বা লিখিত হতে পারে। তবে অনাগত ভবিষ্যত ঝগড়া-বিবাদ ও ভুল বোঝাবোঝি নিরসনের লক্ষ্যে চুক্তি লিখিত হওয়াই উত্তম। মৌখিক চুক্তি আইনের দৃষ্টিতে ও গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়া মৌখিক চুক্তির বিষয়বস্তু দীর্ঘদিন সঠিকভাবে মনে রাখাও কষ্টকর।

অংশীদারি চুক্তিপত্র নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত যে কোনো প্রকারেই হতে পারে। লিখিত চুক্তিপত্র ছাড়াও অংশীদারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হতে পারে, কিন্তু চুক্তি ছাড়া অংশীদারি ব্যবসায় কখনো প্রতিষ্ঠা করা যায় না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • চুক্তি অংশীদারী কারবার ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পাদিত হতে পারে তাহা সংক্ষেপে লিখতে হবে।,

১৯৩২ সালের অংশীদারি আইন মোতাবেক, দুই বা ততোধিক ব্যাক্তি যাহা সর্বোচ্চো ২০ জন (ব্যাংকিং ব্যাবসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চো দশ জন) দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে চুক্তির ভিত্তিতে যখন মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন বৈধ কারবার গঠন করে তাকে অংশীদারি কারবার ( Partnership Business) বলা হয়। অংশীদারদের মধ্যে শুধু চুক্তির মাধ্যমেই কারবার অংশীদারিত্ব সৃষ্টি হতে পারে।

অংশীদারি আইন ব্যবহার নানা রকমের ব্যবহার

  • নানা রকমের ব্যবসায় ক্ষেত্রে
  • ছোট ব্যবসায়
  • বিয়েতে এর ব্যবহার
  • যে কোন সামজিক বিষয়
  • যে কোনো দেশের সাথে চুক্তির করার সময়

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

0 Comments

আমাদের সাথে থাকুন

Advertisement 2

Advertisement 3

Advertisement 4