hsc বিএম মাকের্টিং নীতি ও প্রয়োগ (২) ১২শ শ্রেণি ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১

শ্রেণি: HSC বিএম-2021 2022 বিষয়:মাকের্টিং নীতি ও প্রয়োগ (২) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 05 বিষয় কোডঃ 1828
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সফলতা অর্জনের জন্য ব্যবসায়ের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • ব্যবসায়ে অবস্থান এর ধারণা 
  • ব্যবসায়ের অবস্থানের শ্রেণি বিভাগ 
  • ব্যবসায়ের অবস্থানের উপর প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান 
  • ব্যবসায় অবস্থান নির্ধারণ এর

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

  • ব্যবসায়ে অবস্থান এর ধারণা বর্ণনা করতে হবে।
  • ব্যবসায়ের অবস্থানের শ্রেণি বিভাগ এর বর্ণনা করতে হবে।
  • ব্যবসায়ের অবস্থানের উপর প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান এর বর্ণনা করতে হবে।
  • ব্যবসায় অবস্থান নির্ধারণ এর গুরুত্ব বর্ণনা করতে হবে।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • ব্যবসায়ে অবস্থান এর ধারণা বর্ণনা করতে হবে।

সাধারণত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যে স্থানে স্থাপন করা হয় বা যে স্থান থেকে ব্যবসায় কার্যাবলী পরিচালিত হয় তাকে ব্যবসায়ের অবস্থান বলা হয়। একটি ব্যবসা কতটা সাফল্য পাবে তা অনেকাংশে তার অবস্থানের উপর নির্ভরশীল।

Agarwal and Jain-43 160, "Business/Plant location may be defined as deciding a suitable location where the business/plant will commence functioning” অর্থাৎ, “ব্যবসায়/কারখানার অবস্থান বলতে এমন একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করাকে বুঝায় যেখান থেকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি তার ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনা শুরু করবে।” Goel and Gupta-49 169, “Business/plant location means the establishment of a particular industrial unit at any particular place. " অর্থাৎ “ব্যবসায়/কারখানার অবস্থান বলতে কোনাে বিশেষ

ব্যবসায়/শিল্প ইউনিট স্থাপন করাকে বুঝায়।” উপরােক্ত আলােচনা থেকে ব্যবসায় অবস্থান সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া যায়, তা হলাে

১. ব্যবসায় অবস্থান বলতে ব্যবসায়ের স্থানকে বুঝায়;

২. ব্যবসায়ে অবস্থান হলাে ব্যবসায় গঠন ও পরিচালনার স্থান;

৩. উপযুক্ত স্থান নির্বাচনের উপর ব্যবসায়ের সাফল্য নির্ভরশীল; এবং

৪. এই অবস্থান নির্বাচন প্রক্রিয়াতে বিভিন্ন উপাদান প্রভাব ফেলে। পরিশেষে বলা যায় যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী বিবেচনায় রেখে, ক্রেতাদের নিকট কম মূল্যে পণ্য পৌছে দেওয়া ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবসায়ের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য যে নির্দিষ্ট স্থানটি নির্বাচন করা হয়, তাকে ব্যবসায়ের স্থান বলে।

এ ক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য অপরিহার্য উপাদান হচ্ছে সুষ্ঠ যােগাযােগ ব্যবস্থা, কাঁচামাল ও কর্মীর সহজলভ্যতা, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য মৌলিক উপাদানের উপস্থিতি। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, অর্থনৈতিক সুবিধা, দক্ষ কর্মী এবং উপযুক্ত কর্মপরিবেশ একটি প্রতিষ্ঠানকে অনেকাংশে এগিয়ে দেয় সাফল্যের দিকে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ব্যবসায়ের অবস্থানের শ্রেণি বিভাগ এর বর্ণনা করতে হবে।

প্রত্যেকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আকার-আকৃতি ও কার্যাবলি একরকম নয়। বৃহদায়তনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তার কাজ এক স্থানে এবং প্রশাসনিক কাজ অন্যত্র সম্পাদন করে। তবে মাঝারি বা ক্ষুদ্রায়তনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তার সকল কার্যাবলি একই স্থানে থেকে সম্পাদন করে থাকে।

ব্যবসায়ের অবস্থান বলতে এর গঠন ও পরিচালনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট স্থানকে বুঝায়। ব্যবসায়ের আকৃতি, আয়তন, উপাদান এবং বৈশিষ্ট্যের আলােকে এর অবস্থানকে নিম্নোক্ত তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়

১. শহুরে অবস্থান : যেসব ব্যবসায় সংগঠন শহর এলাকায় সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে গড়ে ওঠে, তাকে শহুরে অবস্থান বলে।

২. গ্রাম্য অবস্থান : যেসব ব্যবসায় সংগঠন অনেকক্ষেত্রে গ্রামের কোনাে নির্দিষ্ট স্থানে গড়ে ওঠে, ঐ নির্দিষ্ট স্থানকেই গ্রাম্য অবস্থান বলে।

৩. শহরতলিতে অবস্থান : মাঝে মাঝে সাধারণত আকৃতি অনুযায়ী এমন কিছু ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আছে, যা শহরতলিতেই গড়ে ওঠে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ব্যবসায়ের অবস্থানের উপর প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান এর বর্ণনা করতে হবে।

যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ধরন বা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে তার অবস্থান নির্বাচন করা হয়। অবস্থান নির্ধারণ এমনভাবে করা প্রয়োজন যেন ব্যবসায়ের সাফল্য অর্জন করা যায়। যে সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কাঁচামালের উপর নির্ভর করে, তাদের সেইসব জায়গা বেছে নিতে হয় যেখানে ঐ কাঁচামাল সহজলভ্য বা সহজপ্রাপ্য। বালাদেশে শ্রমিক সস্তায় পাওয়া যায় বলে বস্তু ও অন্যান্য শ্রমিক নির্ভর শিল্প এদেশের ক্রমেই বেড়ে উঠছে। ব্যবসায়ের অবস্থানের উপর প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়সমূহ এ পাঠে আলোচিত হল

১. শিল্প বা ব্যবসায়ের প্রকৃতি : অবস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের প্রকৃতি সর্বাগ্রে বিবেচ্য। একেক ধরনের ব্যবসায় একেক প্রকৃতির অবস্থানের জন্য উপযুক্ত বিধায় তাদের অবস্থান ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন- ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান একধরনের স্থানে, মাঝারী ও হালকা শিল্প প্রতিষ্ঠান অন্য স্থানে, তেমনি পণ্য উৎপাদনশীল ব্যবসায় এক স্থানে আর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ভিন্ন স্থানে অবস্থিত হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় ব্যাংক-বীমা ও পরিবহন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছাকাছি নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই স্থাপিত হয়। অর্থাৎ শিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণের দিকে যেমন লক্ষ্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ব্যবসায় প্রকৃতি অনুযায়ী শহর বা যে কোনো সুবিধাজনক স্থানকে গুরুত্বসহ বিবেচনায় রাখতে হবে।

২. প্রয়োজনীয় সম্পদসমূহের উপস্থিতি : একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে ও কর্মোপযুগী হয়ে উঠতে হলে কাঁচামাল, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শ্রমিকের সহজলভ্যতা ও অন্যান্য অবকাঠামোগত সুবিধার উপস্থিতি অত্যন্ত বাঞ্ছনীয়। জলবায়ু অনুকূল্য যেমন দরকার তেমনি বর্জ্য নিষ্কাষণ, পানি, বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী সরবরাহ থাকাও প্রয়োজনীয়। সুতরাং এই সবগুলো উপাদান গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তারকারী।

৩. বাজার নৈকট্য : ব্যবসায় বাজার কেন্দ্রিক, তাই বিরাজমান ও সম্ভাব্য বাজার আছে এমন উপাদান সমৃদ্ধ জায়গা বিশেষভাবে বিবেচ্য। বাজার অথবা পর্যাপ্ত ক্রেতার সমাগম আছে এমন বিপণিবিতানের কাছাকাছি প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হওয়া জরুরী।

৪. অর্থনৈতিক উপাদান : অর্থসংস্থানকারী ও বীমা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বর্তমানে ব্যবসায় পরিবেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এদের উপস্থিতি ব্যবসায়ের জন্য সুবিধাজনকও বটে।

৫. গুদামজাতকরণের সুবিধা : পণ্যের সুষ্ঠু সংরক্ষণের জন্য গুদামজাতকরণ প্রায়শ প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। এমতাবস্থায় যেকোন কাঁচামাল, উৎপাদিত পণ্য, উৎপাদন সহায়ক সম্পদ, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য গুদামজাতকরণ সুবিধা প্রতিষ্ঠানের অবস্থানের উপর প্রভাব বিস্তার করে।

৬. ভূমির সুপ্রাপ্যতা : ব্যবসায় স্থাপন, প্রসার ও প্রয়োজনীয় কর্মক্ষেত্র স্থাপনে ভূমির সুপ্রাপ্যতা ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

৭. সম্প্রসারণ সুবিধা : দক্ষতার সাথে ব্যবসায়ে কার্য পরিচালিত হলে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই মুনাফা অর্জন করা যায় এবং সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণও জরুরী হয়ে যায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাবে সম্প্রসারণ ঝুঁকির সম্মুখিন হয়। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জমি, দক্ষ জনবল ও সুলভে কাঁচামাল পাওয়া যাবে এমন জায়গায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন করা জরুরী।

৮. সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা : প্রায়শ সরকার বিভিন্ন ব্যবসায়কে সহযোগীতা প্রদান করে থাকে। যেমন- বাংলাদেশে রপ্তানিমুখী শিল্প ক্ষেত্রে সরকারি ভাবে বিশেষ বিশেষ স্থানে নির্দিষ্ট ধরণের ব্যবসায়ের গোড়পত্তনের জন্য আইন শিথিল করা থেকে শুরু করে, কর মওকুফ, ঋণের সুদ মওকুফ ইত্যাদি পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। তাই সরকারের সম্ভাব্য নীতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করাও প্রয়োজন।

৯. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা : ব্যবসায় অবস্থান নির্বাচনে দেশের রাজনৈতিক অবস্থাও প্রভাব বিস্তার করে। তাই বিষয়টি বিবেচনা করে অবস্থান নির্বাচন করা প্রয়োজন।

১০. জ্বালানী ও শক্তি সম্পদের সহজলভ্যতা : উৎপাদনমূখী ব্যবসায় পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরণের জ্বালানী ও শক্তি, যেমন- গ্যাস, কয়লা ও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। স্থাপনা নির্মাণের পূর্বেই এসবের সহজলভ্যতা বিবেচনা করা প্রয়োজন।

১১. নিরাপত্তা : বিভিন্ন রকমের ঝুঁকি মোকাবেলার সকল রকম প্রস্তুতি থাকা বর্তমান সময়ে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, দ্রুত নির্গমণ পথ, চিকিৎসা সেবা, বিমা, ক্যামেরাসহ অন্যান্য বিষয়াবলী ইদানিং ব্যবহৃত হচ্ছে। এর সাহায্যে কর্মীদের উপর নজরদারিও সহজ হয়। নিরাপত্তার জন্য নিকটবর্তী দূরত্বে হাসপাতাল ও পুলিশ থানা বা ফাঁড়ি থাকলে তা প্রতিষ্ঠানের জন্য সুবিধাজনক হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, দক্ষ জনবল; বাজারের সান্নিধ্য; সরবরাহকারীর অবস্থান, আর্থিক সহায়তা-দানকারী প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, সরকারের নিয়মনীতি, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, সমজাতীয় শিল্প বা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা, রকমারী উপযোগের উপস্থিতি ইত্যাদি ব্যবসায়ের অবস্থান নির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করে থাকে বলে এই বিষয়গুলোকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

একটি প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র তার উপযুক্ত অবস্থানের কারণেই নানামুখী সুবিধা ভোগ করে। অবকাঠামো, দক্ষ জনবল, কাঁচামালের সহজলভ্যতা, পণ্য বণ্টন ও সাশ্রয়ী বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠানকে কার্যত অপ্রতিদন্দ্বী করে তোলে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে ব্যবসায়ের অবস্থানের গুরুত্ব নিম্নে আলোচিত হলো

১. কাঁচামালের সহজলভ্যতা : পণ্য বা সেবা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য কাঁচামালের পর্যাপ্ত যোগান খুবই জরুরী। এই সুবিধাটি না থাকলে উৎপাদন ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন ব্যয়ও বৃদ্ধি পায়।

২. ভোক্তাদের চাহিদা পূরন : উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা হলে ভোক্তাদের চাহিদা সহজে পূরণ করা যায়। এ কারনে যে স্থানে যে পণ্যের বা সেবার চাহিদা আছে সে স্থানে সেই পণ্য বা সেবার ব্যবসায় স্থাপন করা প্রয়োজন।

৩. অবকাঠামোগত সুযোগ : রাস্তাঘাট, আর্থিক ও বীমা প্রতিষ্ঠানের নৈকট্য, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও প্রযুক্তিগত যোগাযোগের সংযোগ ইত্যাদির উপস্থিতিই হচ্ছে অবকাঠামোগত সুযোগ। এই সুযোগসুবিধা উপযোগী হলে ব্যবসায়ীগণ দ্রুত ব্যবসায়িক কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারবেন।

৪. বিপণন সুবিধা : ব্যবসায়ের অবস্থান এমন হওয়ার প্রয়োজন যেন এটি তার মূখ্য উদ্দেশ্য ভোক্তার সন্তুষ্টি বিধানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন ঠিকমত করতে পারে। এজন্য বাজার বা ক্রেতার কাছাকাছি অবস্থিত হলে কম ব্যয়ে ও সহজে পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব। এর ফলে ভোক্তাদের সন্তুষ্টি ও প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হয়।

৫. প্রতিযোগীতা মোকাবেলা : একটি সুবিধাজনক স্থানে ব্যবসায় অবস্থিত হলে প্রতিষ্ঠান কম খরচে পণ্য উৎপাদন, সহজে বাজারজাতকরণ ও সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রেতাদের পণ্য সরবরাহ করতে পারে। এর ফলে প্রতিযোগীর চেয়ে কম মূল্যে পণ্য/সেবা পৌঁছে দেওয়া ও বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান সম্ভব বিধায় প্রতিযোগীতায় এগিয়ে থাকা সহজতর হয়।

৬. ব্যবসায় সম্প্রসারণ : উপযুক্ত স্থানে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে সহজে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। এতে বিক্রয় বৃদ্ধি পায় এবং ফলাফলস্বরূপ অর্জিত লভ্যাংশ ব্যবহার করে নতুন নতুন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায়।

৭. পরিবহণ ও যোগাযোগ সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের অবস্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে কী না সেদিকে নজরে দিতে হবে। এটি সুবিধাজনক হলে কাঁচামাল, শ্রমিক, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি একস্থান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সহজ হয়ে যায়।

৮. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : সঠিক স্থান নির্বাচন ব্যবসায়ের সম্পদের সঠিক ও যুগোপযোগী ব্যবহার নিশ্চিত করে। এর ফলে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পায় বাজারজাতকরণ কর্মকান্ড সহজে পরিচালিত ও আয় বৃদ্ধি পায়।

৯. সরকারী নীতিমালা ও সুবিধাদি : সরকারের বিভিন্ন নীতিমালা মেনে প্রতিষ্ঠানের অবস্থান নির্ধারণ করলে ব্যবসায়ী তার কার্যক্রম স্বাচ্ছন্দে চালিয়ে যেতে পারবেন। বিভিন্ন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ঊীঢ়ড়ৎঃ চৎড়পবংংরহম তড়হব বা ঊচত)-এ শিল্প কারখানা স্থাপন করলে কর রেয়াত থেকে শুরু করে বহুবিধ সুবিধাদি ভোগ করা সম্ভব।

১০. সামাজিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন : পরিকল্পিতভাবে ব্যবসায়ের অবস্থান নির্ধারনের ফলে নির্বাচিত এলাকার জনসাধারণ সাশ্রয়ীমূল্যে ভোগ্যপণ্য ক্রয় করতে পারে, কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় এবং সর্বোপরি তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়। তাই সমাজ তথা দেশের উন্নয়োনের কথা ভেবে প্রতিষ্ঠানের অবস্থান নির্বাচন করা প্রয়োজন।

১১. কর সুবিধা : বিশেষ বিশেষ স্থানে নির্দিষ্ট অথবা বিশেষ ধরণের ব্যবসায় স্থাপনা প্রতিষ্ঠা সম্প্রসারণের জন্য কর রেয়াত বা বিশেষ কর সুবিধা প্রদান করে থাকে। যেমন- ঊচত এ রপ্তানিমূখী শিল্প বা ব্যবসায় স্থাপন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

0 تعليقات

আমাদের সাথে থাকুন

Advertisement 2

Advertisement 3

Advertisement 4