২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ সালের এইচএসসি পরী
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
শ্রেণি: HSC-2021 বিষয়:ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04 বিষয় কোডঃ 293
বিভাগ: ব্যবসায় শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তঃব্যাংকিং দেনা পাওনা নিষ্পত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা নিরূপণ।

শিখনফল/বিষয়বস্তু:

ক. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণা ও কার্যাবলি ব্যাখ্যা করতে পারবে।

খ. কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর আওতা ব্যাখ্যা করতে পারবে ।

গ. অর্থ বাজার নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি বিশ্লেষণ করতে পারবে।

ঘ. নিকাশ ঘরের ধারণা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তঃব্যাংকিং দেনা পাওনা নিস্পত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা নিরূপণে:-

১. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।

২. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতা বর্ণনা করতে হবে।

৩. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি বর্ণনা করতে হবে।

৪. অর্থ বাজার নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করতে হবে।

৫. নিকাশ ঘরের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণা ব্যাখ্যা

মানব দেহের রক্ত সঞ্চালন যেমন ধমনি ও শিরা-উপশিরার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আর এটি নিয়ন্ত্রণ করে হৃদপিণ্ড যাকে রক্তের পাম্প হাউস হিসেবে গণ্য করা হয়। এক কথায় দেশের পাম্প হাউজ হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেকোন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একক নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বীকৃত। কেন্দ্রীয় ব্যাংককের মাধ্যমে ব্যাংকিং ও মূদ্রা বাজার গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। দেশের সার্বিক প্রয়োজনে নোট ইস্যু, ঋণ নিয়ন্ত্রণ ও মূদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণ, দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার নেতৃত্বদান, সরকারের ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সার্বিক জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠিত, পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়। আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। 

Vera Smith এর মতে, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক হল এরূপ একটি ব্যাংক ব্যবস্থা যাতে একক ব্যাংক হিসেবে নােট প্রচলন এর সম্পূর্ণ অধিকর্তা।”

তাহলে এক কথায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্পর্কে বলতে পারি,

  • সকল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক।
  • ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল।
  • মুদ্রা বাজারের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে।
  • ব্যাংক সমূহের জন্য আর্থিক নীতির প্রধান হিসেবে কাজ করে।

পরিশেষে বলা যায়, যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেশের ব্যাংকিং পিরামিডের শীর্ষে অবস্থান করে অন্য সব ব্যাংকের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেশের কল্যাণে মুদ্রার প্রচলন, ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতা বর্ণনা

একটি দেশের মূল চালিকা শক্তি হলো ঔ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক । এক ঘিরেই দেশের সমস্ত মুদ্রা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা মূলত গড়ে ওঠে । যে ব্যাংক নোট ও মুদ্রার প্রচলন, মুদ্রাবাজার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার এবং বিশেষ আর্থিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করে থাকে তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে । নিম্নে আওতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো –

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১। নোট ও মুদ্রা প্রচলনঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো দেশের অভ্যন্তরে নোট ইস্যু ও মুদ্রার প্রচলন করা । বাংলাদেশ ব্যাংক আইন অনুযায়ী নোটের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রাখে ।

২। মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রণঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে সকল কাজ করে তার মধ্যে প্রধান কাজ হলো মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রণ করা । অর্থের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রা সংকোচন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে । এ ছাড়া মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হারও নির্ধারণ করে ।

৩। সরকারের ব্যাংকঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষ হয়ে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ব্যাংক বলে । কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষে নিম্নলিখিত কাজ করে-

  • সরকারের পক্ষ হয়ে অর্থসংগ্রহ ও সংরক্ষণ
  • সরকারের পক্ষ হয়ে অর্থ প্রদান ও ঋণ গ্রহণ
  • বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তত্ত্বাবধান
  • সরকারের পক্ষে বিদেশ হতে অর্থ গ্রহন ও প্রদান
  • সরকারের হিসাব সংরক্ষণ
  • আন্তর্জাতিক দেনা পাওনা নিষ্পত্তি
  • আমদানি রপ্তানি নীতি প্রণয়ন ইত্যাদি

৪। ঋণ নিয়ন্ত্রণঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রাসংকোচনকে নিয়ন্ত্রণ করে দেশে মূল্যস্তর স্থিতিশীল রাখে ।

৫। অণন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকারঃ বাংলাদেশে তালিকা ভূক্ত ব্যাংকের পক্ষ হয়ে প্রতিদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনেক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি সম্পাদন করতে হয় । এছাড়া তালিকাভূক্ত ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে । তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার বলে ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৬। ঋন দানের শেষ আশ্রয়স্থলঃ তালিকাভূক্ত ব্যাংকগুলো যখন অর্থসংকটে পড়ে অন্য ব্যাংকগুলো থেকে কোন ঋণ সহায়তা পায়না তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সকল ব্যাংকগুলোকে ঋন দিয়ে সহযোগিতা করে ।

৭। বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশের নোটের বিনিময়ে অনুমোদিত আমদানি খাতে ব্যয় করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ ও বরাদ্দ করে ।

৮। নিকাশঘরঃ বাংলাদেশ ব্যাংক নিকাশঘর হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । দেশের বিভিন্ন বানিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে চেক ও অন্যান্য বিনিময়ের মাধ্যমে সৃষ্ট দেনা পাওনা বাংলাদেশ ব্যাংক নিকাশঘরের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে ।

৯। সরকারের উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের মূল্যস্তর এবং বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারকে উপদেশ ও পরামর্শ দিয়ে থাকে ।

১০। মূদ্রার অবমূল্যায়নঃ সরকার যদি নির্দেশ দেয় তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনবোধে টাকার অবমূল্যায়ন করে থাকে । এ অবস্থায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বৃদ্ধি পায় ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি বর্ণনা

১. জাতীয় স্বার্থে উৎপাদনশীল সম্পদসমূহের প্রবৃদ্ধি ও ঋণোন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ মুদ্রার মান স্থিতিশীল রাখা এবং টাকার বৈদেশিক বিনিময় হার ধরে রাখার উদ্দেশ্যে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;

২. দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;

৩. মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি ও কার্যক্রম গ্রহণ। যেমন:

  • ক. খোলা বাজার কার্যক্রম (ট্রেজারি বিল/বন্ড, রিপো, রিভার্স রিপো নিলাম),
  • খ. সংরক্ষণ অনুপাতের পরিবর্তন যেমন নগদ জমা সংরক্ষণ আবশ্যকতা (CRR) এবং বিধিবদ্ধ তরল সম্পদ সংরক্ষণ আবশ্যকতার (SLR) হার পরিবর্তন,
  • গ. সেকেন্ডারি ট্রেডিং,
  • ঘ. পুনঃবাট্টার হার/ব্যাংক হার পরিবর্তন,
  • ঙ. নৈতিক নিয়ন্ত্রণ;

৪. দেশের ব্যাংকিং খাতের নিরাপত্তা, সুষ্ঠুতা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে এবং ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা, গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তাদের আস্থা ধরে রাখার উদ্দেশ্যে সরেজমিন পরিদর্শন এবং রিপোর্ট ভিত্তিক/দুর অবস্থানিক পরিবীক্ষণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান;

৫. স্বর্ণ, বৈদেশিক বিনিময়, এসডিআর এবং আইএমএফ-এ সংরক্ষিত মজুদ দ্বারা নিরূপিত বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি ব্যবস্থাপনা;

৬. বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে এককভাবে ব্যাংক নোট ইস্যু;

৭. বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের পারস্পরিক নিরূপিত চেক, ড্রাফট, বিল ইত্যাদি দ্বারা সৃষ্ট আন্তঃব্যাংক পরিশোধ নিষ্পত্তিতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহের জন্য নিকাশ ঘর হিসেবে দায়িত্ব পালন;

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৮. সরকারের ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালন;

৯. দেশের তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ এবং সরকারের জন্য ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল;

১০. মুদ্রা ও ব্যাংকিং বিষয়ে সরকারের পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন; এবং

১১. জাতীয় স্বার্থে প্রবৃদ্ধি সহায়ক কর্মসূচি পরিচালনা।

এর বাইরেও বাংলাদেশ ব্যাংক আরো অন্যান্য উন্নয়নমূলক কার্যাবলী সম্পাদন করে যেমন:

  • নতুন নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট প্রচলন;
  • মুদ্রা ও আর্থিক বাজারে অংশগ্রহণকারীদের জন্য গাইডলাইন প্রণয়ন;
  • ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং
  • ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের দ্বারা সম্পাদিত সামাজিক দায়বদ্ধতার কাজ পরিবীক্ষণ করা এবং এ ব্যাপারে তাদেরকে উৎসাহিত করা।

অর্থ বাজার নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতির প্রয়োজনে অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে বা কমিয়ে থাকে। এর উদ্দেশ্য ঋণের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থবাজারে ঋণের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এ লক্ষ্যে ব্যাংকটি ঋণ নিয়ন্ত্রণের সংখ্যাত্মক পদ্ধতি খোলাবাজার নীতি অনুসরণ করে। এ পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে ব্যাংকটি ঋণ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে আর্থিক বাজার থেকে বেসরকারি বন্ড, সিকিউরিটিজ ত্রবং বিভিন্ন দলিলপত্র কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে খোলাবাজার নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে, যা ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত অর্থবাজারে ঋণ সরবরাহ অপর্যাপ্ত হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসরকারি বন্ড, সিকিউরিটিজ প্রভৃতি কেনার মাধ্যমে অর্থ সরবরাহ বাড়ায়। আবার, বাজারে ঋণের আধিক্য দেখা দিলে ব্যাংকটি বেসরকারি বন্ড বা সিকিউরিটিজ বিক্রি করে। এতে বাজারে অর্থ তথা ঋণের সরবরাহ কমে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ সৃষ্টির ক্ষমতাকে ঋণ নিয়ন্ত্রণ বােঝায়। অর্থাৎ এটি এমন এক কৌশল, যা প্রয়ােগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতিতে ঋণের পরিমাণ কাম্য পর্যায় সীমিত রাখে। এ ঋণ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক অধিকার ভােগ করে। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ঋণ নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। পদ্ধতি গুলাে হলঃ

ব্যাংক হারের পরিবর্তনঃ

ঋণের জোগান বাড়ানাের প্রয়ােজন হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচলিত ব্যাংকের হার কমিয়ে ফেলে। এর ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঘরে ঋণের জোগান বাড়। ব্যাংক হার কমলে বাজারে আবার সুদের হার কমে এবং ঋণের চাহিদা বাড়ে ও ঋণের প্রসার ঘটে। পক্ষান্তরে ঋণের পরিমাণ কমানাের প্রয়ােজন পড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচলিত ব্যাংক হার বাড়াতে পারে।

খােলা বাজার নীতিঃ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ঋণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খােলা বাজারের সরাসরি ঋণপত্র ক্রয় বিক্রয় করে থাকেন। ঋণের পরিমাণ কমানাের প্রয়ােজন হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খােলা বাজারে ঋণপত্র বিক্রয় করে। জনসাধারণ ঋণপত্র ক্রয় করলে বাণিজ্যিক ব্যাংকে নগদ জমার পরিমাণ হ্রাস পায়। এর ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ঋণদান ক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার ঋণের পরিমাণ বাড়াতে চাইলে কেন্দ্রীয় বাংক খােলাবাজারে ঋণপত্র ক্রয় করে। এর ফলে আবার বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঘরে নগদ জমার পরিমাণ বাড়ে এবং ঋণ সৃষ্টির ক্ষমতা বাড়ে। এভাবে খােলাবাজারে ঋণপত্র ক্রয় ও বিক্রয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়ােজনমত ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

রিজার্ভ অনুপাতের হ্রাস বৃদ্ধিঃ

একটি দেশের অর্থনীতিতে যতগুলাে বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে সব ব্যাংক তাদের মূলধনের একটা নির্দিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে। এটি হচ্ছে রিজার্ভ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে রিজার্ভের হার পরিবর্তন করে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বাজারে অর্থের যােগান বেড়ে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলাে পূর্বের তুলনায় কম ঋণ প্রদান করতে পারে।

কোন বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। যেমন, অতিরিক্ত দন্ডনীয় সুদ চার্জ করা, অতিরিক্ত বিধিবদ্ধ জমা সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া, ব্যাংক রেট বাড়িয়ে দেওয়া ও বিলবাট্টা করণে অতিরিক্ত সুদ ধার্য করা ইত্যাদি।

নিকাশ ঘরের গুরুত্ব ব্যাখ্যা

আধুনিক ব্যাংকিং জগতে নিকাশ ঘরের গুরুত্ব অনেক। নিকাশ ঘরের উপরই ব্যাংকিং ব্যবসায়ের দক্ষতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি করে। 

১. দেনা-পাওনার সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তিঃ নিকাশ ঘরের মাধ্যমে সদস্য ব্যাংকগুলোর পারস্পরিক দেনা-পাওনাগুলো খুব সহজে এবং দ্রুততা ও দক্ষতার নিষ্পত্তি করা যায়।

২. মিতব্যয়ী পন্থাঃ নিকাশ ঘরের মাধ্যমে সদস্য ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ একটি নির্দিষ্ট স্থানে একত্রিত হয়ে সুশৃংখলভাবে কম খরচে পারস্পরিক লেনদেন নিষ্পত্তি করতে পারে। এতে করে সদস্যদের ঘুরে ঘুরে চেক, ড্রাফ্ট, বিল সংগ্রহ এবং বন্টন করতে হয় না।

৩. সময় বাঁচায়ঃ নিকাশ ঘর ব্যবস্থায় চেক, ড্রাফ্ট, বিল ইত্যাদি সংগ্রহের জন্য আদিষ্ট ব্যাংকে যেতে হয় না বলে অকল্পনীয়ভাবে সময় বেঁচে যায়।

৪. লেনদেন ত্বরান্বিত হয়ঃ নিকাশ ঘর কার্যক্রম পরিচালনার ফলে ব্যবসায়ীরা গ্রাহক বা দেনাদারদের থেকে প্রাপ্ত চেক, ড্রাফ্ট, বিল অতি স্বল্পতম সময়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ভাঙ্গাতে পারে। ফলে ব্যবসায়িক লেনদেন ত্বরান্বিত হয়।

৫. নগদ আমানতঃ নিকাশ ঘর ব্যবস্থা সদস্য ব্যাংকগুলোকে স্বল্প নগদ আমানতেই কাজ পরিচালনায় সাহায্য করে। ফলে বেশি আমানত নগদ রাখতে হয় না। যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ সৃষ্টিতে সাহায্য করে।

৬. অর্থ স্থানান্তরে সাহায্যঃ এই ব্যবস্থায় ব্যাংকের গ্রাহকগণ অতি সহজে এবং অতি অল্প ঝুঁকিতে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যে-কোন পরিমাণ টাকা চেকের মাধ্যমে স্থানান্তর করার সুযোগ পেয়ে থাকে।

৭. অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুধাবনঃ নিকাশ ঘর ব্যবস্থায় সদস্য ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের সকল চেক, ড্রাফট, বিল ক্যাশ করার জন্য নিকাশ ঘরে জমা দেয়। পেশকৃত ও পাশকৃত চেক, বিল, ডাফট দেখে নিকাশ ঘরের আওতাধীন এলাকার ব্যবসায়-বাণিজ্য সংক্রান্ত সকল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুমান করা যায়।

৮. ঋণ নিয়ন্ত্রণ সহজঃ নিকাশ ঘর ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সহজ হয়। এ সকল সুবিধার কারণে বর্তমান কালে নিকাশ ঘর এর সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া ব্যাংকিং ব্যবসায়ের কথা চিন্তাই করা যায় না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Post a Comment

আমাদের সাথে থাকুন
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!