মাধ্যমিক ৭ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১৭ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১, ৭ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১৭ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১

মাধ্যমিক ৭ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১৭ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১, ৭ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১৭ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনম
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
শ্রেণি: ৭ম 2021 বিষয়: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করে এদের কার্যাবলি ও প্রয়ােজনীতার উপর একটি সচিত্র বিবরণ প্রস্তুত কর ।

অ্যাসাইনমেন্টঃ

০২ দ্বিতীয় অধ্যায়: কম্পিউটার সংশ্লিষ্ঠ যন্ত্রপাতি

বিষয়বস্তুঃ

পাঠ-৮ ও ৯; ইনপুট ডিভাইস

পাঠ-১০ ও ১১ : মেমােরি ও স্টোরেজ ডিভাইস

*পাঠ-১২ ও ১৩: মাদারবাের্ড

পাঠ -১৪: প্রসেসর

পাঠ ১৫: ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস

*পাঠ-১৬,১৭: ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস

পাঠ -১৮। আউটপুট ডিভাইস

নির্দেশনাঃ

• পাঠ্য বইয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত ধারণা অর্জন করা

* চিত্রাঙ্কনের ক্ষেত্রে পেন্সিল ও প্রয়ােজনীয় উপকরণের ব্যবহার

* প্রয়োজনে বাবামা অভিভাবকের সহযােগিতা নেয়া

*বর্তমান করােনা মহামারির কারণে মােবাইল বা যে কোনাে ভার্চুয়াল মিডিয়ার সাহায্যে বিষয় শিক্ষকের শরণাপন্ন হওয়া।

• ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া

• সহস্তে নিবন্ধটি লিপিবদ্ধ করা

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরিচিতিঃ

ইতিপূর্বে আমরা কম্পিউটার সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছি। এবার আমরা কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সাথে সরাসরি পরিচিত হব। কম্পিউটারের প্রধান প্রধান অংশগুলোর বর্ণনায় প্রথমে আলোচনা করবো কিম্পিউটারের সিপিইউ বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াজাতকরণ অংশ, ইরেজিতে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট নিয়ে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১।মনিটর - ইটা হোল সেই জিনিস যেতে সব দেখা যায়। ইটা কে ডিসপ্লে ও বলা হয়। যা কিছু কাজ সব এটাতে প্রদশন হয়

২। কেবিনেট - ইটা হলো একটাবার বাক্সজার ভেতর কম্পিউটার এর সব উন্নতমজিনিশ রাখা থাকে। এই কেবিনেট এর ভেতর মাদারবোর্ড , হার্ডডিস্ক , সিডি ড্রাইভ , প্রসেসর ইত্যাদি থাকে যেই গুলি একসাথে কাজ করে একটা কম্পিউটার তৈরি হয়।

এবার কেবিনেট এর ভেতর একটু ঢোকা যাক

১। মোদারবোর্ড - ইটা হলো একটা বোরো সার্কিট বোর্ড যেটা গাড়ির চাস্সিস এর মতো যার ওপর সব বাকিকিছু লাগানো থাকে । এ হার্ডডিস্ক প্রসেসর র অন্য সব জিনিস কে একসাথে জোরে

২। প্রসেসর বা সিপিইউ - ইটা হলো কম্পিউটার এর মাথা যেটা মোদারবোর্ড এ লাগানো থাকে। এ সব কিছু কন্ট্রোল করে কিন্তু কিহু জমা রেখে না। এটাকে গাড়ির ইঞ্জিন বলা যেতে পারে

মনে রাখবেন কেবিনেট কে সিপিইউ বলে অনেকে কিন্তু সেটা ভুল।

৩। হার্ডডিস্ক - এটার ভেতর সব তথ্য জমা থাকে। যদি কোনো গান বা সিনেমা চালাতে চাও বা ঢোকাতে চাও এর ভেতর এগিয়ে এ করতে হয়। ভেতরে গিয়ে মনেহলো মাউস ও কীবোর্ড এর দ্বারা মনিটর এ দেখে নির্দেশ দিলে এর বা ভেতর এর জিনিস দেখা যায় র এর ভেতরে নতুন তথ্য জমা ও করা যায়। তোহ মানে সিনেমা গান ডকুমেন্ট ইত্যাদি ।

৪। সিডি ড্রাইভ - ইটা একটা সিডি রিডার মানে এর মধ্যে সিদ্ধকালে সেটা কম্পিউটার এ চালানো যাবে

৫। এস এম পি এস - ইটা মেশিন কে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। প্লাগ থেকে বিদ্যুৎ এতে যায় র এ মোদারবোর্ড ও বাকি জিনিস এ কত তা করে বিদ্যুৎ যাবে তা ঠিক করে তার দিয়ে পাঠায়

এ গুলো ছাড়াও আরো কিছু আছে যেমন ইউপিএস যাহা একটা ব্যাটারী এর সমান ও বিদ্যুৎ না থাকলে কম্পিউটার চালাতে সাহায্য করে। তার পর স্পিকার যেটা কম্পিউটার এ লাগালে আওয়াজ সোনা যাবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এতো খান যা বললাম সব এ কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর পার্ট তবে শুধু এই দিয়ে কম্পিউটার চালু হবে না।এর সাথে সফটওয়্যার ও লাগবে ।

কীবোর্ডপরিচিতিঃ

0

একটি কীবোর্ডে মোট ৮৪ থেকে ১০১টি কোন কোন কীবোর্ডে আবার ১০২টি কী থাকে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কীবোর্ডকে মোটামুটি ৫টি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ (১) ফাংশন কী (২)এ্যারো কী (৩) আলফা বেটিক কী (৪) নিউমেরিক বা লজিক্যাল কী (৫) এছাড়া আরও বেশ কিছু কী আছে যেগুলোকে ‘বিশেষ কী’ হিসেবে ধরা যায়। কীবোর্ডকে আবার তিনটি অংশে ভাগ করে নেওয়া যায়। যেমন বাম পাশের অংশ, মাঝের অংশ ও ডান পাশের অংশ।

(১) ফাংশন কীঃ কীবোর্ডের বাম পাশের অংশে সবচেয়ে উপরে এক লাইনে পাশাপাশি এফ১ থেকে এফ১২ আবার কোন কীবোর্ডে এফ১৫ পর্যন্ত কী থাকে এই কীগুলোকে ফাংশন কী বলে। এগুলো প্রত্যেকেই স্বয়ং সম্পূর্ণ এক একটি নির্দেশ বা কমান্ড কী।

(২) এ্যারো কীঃ কীবোর্ডের মাঝের অংশে নীচে চারটি তীর চিহ্নিত কী আছে, এদেরকে অ্যারো কী বলে।কোন ডকুমেন্ট ফাইলে কাজ করার সময় এটা ব্যবহার করে মাউসের পয়েন্টারকে উপরে-নীচে, ডানে-বামে সরানো যায়।

(৩)আলফা বেটিক কীঃ কীবোর্ডের বাম পাশের অংশে যেখানে এ থেকে জেড পর্যন্ত (কিউ থেকে এম) কীগুলো সাজানো রয়েছ এই অংশকে আলফা বেটিক অংশ এবং এই কীগুলোকে আলফা বেটিক কী বলে।

(৪) নিউমেরিক বা লজিক্যাল কীঃ বামপাশের অংশে ফাংশন কী এর নীচের লাইনে ১ থেকে ০ পর্যন্ত সংখ্যা এবং যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন সম্বলিত কীগুলোকে নিউমেরিক বা লজিক্যাল কী বলে। এছাড়া কীবোর্ডের ডান পাশের অংশেও অনুরূপ সংখ্যা ও সাংকেতিক চিহ্নযুক্ত কী আছে এগুলোও এই লজিক্যাল কী এর অংশভুক্ত।

(৫) বিশেষ কীঃ কীবোর্ডের অনেকগুলো কী বিশেষ বিশেষ কার্যসম্পন্ন করে থাকে।কাজের বিশেষত্বে এদেরকে বিশেষ কী বলা যায়। যেমন-

(ক) Esc: ইএসসি কীঃ কম্পিউটারে প্রদাণ করা কোন নির্দেশ পালনের আগেই সেটা বাতিল করার জন্য এই কী ব্যবহার হয়।

(খ) Tab: ট্যাব কীঃ এই কী দ্বারা কোন তথ্য বা লেখা ডকুমেন্ট লাইনকে নির্দিষ্ট দুরত্বে সরিয়ে নেওয়া যায়।

(গ) Caps Lock: ক্যাপস লক কীঃ কীবোর্ডের নিউমেরিক ও অলফাবেটিক কীগুলোর প্রতিটি কী-তে তিনটে করে অক্ষর থাকে এবং এগুলো উপরে ও নীচের অংশে বিভক্ত থাকে। সাধারণত: ক্যাপস লক কী অফ অবস্থায় থাকে এবং এ ইংরেজী ছোট হাতের লেখা বা স্মল লেটার লেখা হয়। কিন্তু বাংলা অক্ষর লেখার ক্ষেত্রে নীচের অংশের লেখাগুলো লেখা যায়। এটা আবার লোয়ার কেস বলে। ক্যাপস লক কী অন থাকলে ইংরেজী হাতের লেখা বড় হাতের হয় অর্থাৎ ক্যাপিটাল লেটার হয়। বাংলা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্য উপরের অংশের অক্ষরগুলো লেখা হয়।এটাকে আপার কেস বলে।এই কী অন থাকলে কীবোর্ডের ডান পাশে কোণায় ছোট একটি বাতি জ্বলতে থাকে।

(ঘ) Shift: শিফট কীঃ এই কী চেপে ধরে লিখলে বড় হাতের বা ক্যাপিটাল লেটার লেখা হয় বাংলায় উপরের লেখাগুলো লেখা যায়।এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কমান্ড সহযোগি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

(ঙ) Ctrl: সিটিআরএল কীঃ এটা একটি কমান্ড কী বা কম্পিউটারকে নির্দেশ প্রদাণের কী। কিন্তু এটা ফাংশন কীগুলোর মতো স্বয়ং সম্পূর্ণ নয়। এই বোতাম চেপে ধরে কীবোর্ডথেকে অন্য অক্ষরযুক্ত বোতাম চেপে কমান্ড মিতে হয়।

(চ) Alt: এএলটি কীঃ বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়ার জন্য সহযোগি কমান্ড কী হিসেবে কাজ করে।

(ছ) Space Bar স্পেসবার কীঃ কীবোর্ডের সবচেয়ে বড় বোতাম এটি। পাশাপাশি কিছু অক্ষর বা শব্দের মধ্যে বিরতি বা ফাক তৈরীর কাজে এই কী ব্যবহার করা হয়।

(জ) Delete ডেল বা ডিলেট কীঃ ডকুমেন্টের কোন অংশ বা সম্পূর্ণ অংশ মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহৃত হয়।

(ঝ) Enter কীঃ এটি মূলত: একটি কমান্ড কী। কম্পিউটারকে কোন নির্দেশ দিয়ে তা কার্যকর করার জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়। লেখার সময় নতুন প্যারা তৈরীতেও একে ব্যবহার করা হয়।

(ঞ) Pushe/Break: কম্পিউটারে কোন লেখা দ্রুতগতির কারণে পড়তে অসুবিধা হলে এই কী চাপ দিয়ে তা পড়া যায়।

(ট) Print Screen: কম্পিউটারের পর্দায় দৃশ্যত যা কিছু থাকে তা প্রিন্ট নিতে এই কী ব্যবহার করা হয়।

(ঠ) Home : এই কী ব্যবহার করে মাউস পয়েন্টার লেখা বা পাতার প্রথমে আনা যায়।

(ড) End : এই কী ব্যবহার করে মাউস পয়েন্টার লেখা বা পাতার শেষে আনা যায়।

(ঢ) Page Up: এই কী ব্যবহার করে মাউস পয়েন্টার লেখা বা পাতার উপরের দিকে নেওয়া যায়।

(ণ) Page Down: এই কী ব্যবহার করে মাউস পয়েন্টার লেখা বা পাতার নীচের দিকে নেওয়া যায়।

(ত) Insert:  কোন লেখার মাঝে লিখলে তা সাধারণত লেখার পানদিকে লেখা হয়, কিন্তু এই ব্যবহার করে লিখলে তা আগের লেখা বর্ণের উপর ওভার রাইটিং হয়। কাজ শেষে আবার এই কী চাপলে তা আগের অবস্থানে ফিরে আসে।

(থ) Back Space: লেখার পিছনের অংশ মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়।

(দ) Num Look: এই কী চাপা থাকলে কীবোর্ডের ডান পাশের অংশের কীগুলো চালু হয়।এটা চালু থাকলে কীবোর্ডের ডান কোনায় ছোট বাতি জ্বলতে থাকে।

(ধ) Start Menu key: এই কী চেপে ষ্ট্যাট মেনুর বিভিন্ন প্রোগ্রাম ওপেন করা যায়।

এছাড়াও মাল্টিমিডিয়া কীবোর্ডে আরও তিনটি কী দেখা যায়, যেমন-

(ন) Stand by Mood: এই কী চাপলে কম্পিউটার ষ্ট্যান্ড বাই মডে চালু থাকবে কিন্তু মনিটর বন্ধ হয়ে যাবে।

(প) Mail key: এই কী চাপলে আউট লুক এক্সপ্রেস চালু হয় এবং তা দিয়ে মেইল পাঠানো বা মেইল পড়া যায়।তবে ইন্টারনেট চালু থাকতে হবে।

(ফ) Web key : এই কী ব্যবহার করে সরাসরি ইন্টারনেট ব্রাউজার ওপেন করা যায় এবং ব্রাউজ করা যায়। মোটামুটি এই হলো আমাদের কীবোর্ডের বিভিন্ন অংশ।

মাউসঃ 

010

মাউসের সাথে আমরা আগেই পরিচিত হয়েছি। এটি অনেকটা ইদুরের মতো দেখতে তাই এর নাম মাউস। এক সরু প্রান্ত থেকে একটি তার সরাসরি সিপিইউ-এ সংযুক্ত থাকে। মাউসের উপরিভাগে দুটো চাপ দেওয়ার জায়গা আছে(অবশ্য অনেক মাউসে তিনটিও থাকে), এর ডান পাশের বোতামকে বলা হয় রাইট বাটন আর বাম পাশের বোতামকে বলা হয় লেফট বাটন। কম্পিউটার ওপেন করা থাকলে মাউস নাড়া দিলে একটি তীর চিহ্ন নড়া চড়া করে এটাকে বলা হয় মাউস পয়েন্টার। আর এই নাড়া চাড়া করাকে বলা হয় মাউস ড্রাগ করা। সাধারণত কোন ফাইল বা ফোল্ডারের আইকন সিলেক্ট বা নির্বাচন করতে হলে মাউসের পয়েন্টার তার উপর নিয়ে মাউসের বাম পাশের বোতাম একবার চাপ দিলে তাকে বলে সিঙ্গল ক্লিক। আর ওটাকে ওপেন করতে মাউসের বাম পাশের বোতাম ঘন ঘন দুবার চাপ দিতে হয় এই ঘনঘন দুবার চাপ দেওয়াকে বলে মাউসের ডবল ক্লিক। মাউসের ডান পাশের বোতাম চাপলে তাকে বলে রাইট ক্লিক। এই রাইট ক্লিক করে সাধারণত কোন ফাইল ফোল্ডার সিলেক্ট বা খোলা যায় না তবে এটা ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক কিছু মেনু কমান্ড তালিকা পাওয়া যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এগুলো সবই হার্ডওয়্যার; পূর্বেই বলেছি শুধু হার্ডওয়্যার দিয়ে কম্পিউটারে কাজ করানো যায় না। কম্পিউটারে কাজ করতে হলে আরও একটি উপাদান দরকার হবে যার নাম সফটৃ ওয়্যার। এই সফট্ওয়্যারের আবার অনেকগুলো শ্রেণি ভাগ আছে তাও পূর্বে আলোচনা করেছি। এবার আরও একটি সফট্ওয়্যার যার নাম অপারেটিং সফট্ওয়্যার বা উইন্ডোজ নিয়ে দু’একটি কথা বলবো।

অপারেটিং সফটওয়্যারঃ

কম্পিউটার চালাতে গেলে শুধু হার্ডওয়্যার দিয়ে কাজ হবেনা বা চলবে না, এর সাথে চাই উপযুক্ত সফটওয়্যার। কম্পিউটারকে প্রাথমিকভাবে চালু করার জন্য বেশ কয়েকটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। তবে তার মধ্যে যে সফটওয়্যারটি সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত সেটার নাম হচ্ছে ডিস্ক অপারেটিং সিষ্টেম বা সংক্ষেপে ‘ডস’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এই ডস-এর সাহায্যে কম্পিউটার ওপেন করে ডস ভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় কাজ করতে হতো। কিন্তু আমরা ভাগ্যবান,কারণ আধুনিক বিজ্ঞানের প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটি সফটওয়্যার পেয়েছি যেটা ডসের সাহায্যে চালু হলেও পরবর্তীতে এই সফটওয়্যারটি ডসের মতই কাজ করতে পারে। এর অধীনের চমৎকার সব এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলো খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। এই সফটওয়্যারটির নাম হচ্ছে ‘উইন্ডোজ’। আমেরিকার সর্ববৃহৎ ও বিখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এর আবিষ্কর্তা।

উইন্ডোজ হচ্ছে এক ধরণের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বা অপারেটিং সফটওয়্যার। তবে এর সাথে সিষ্টেম সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ডাটা থাকে বলে একে অন্য কথায় সিষ্টেম সফটওয়্যারও বলা হয়ে থাকে। এর অধীনে রয়েছে অসংখ্য এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার। সর্বপরী উইন্ডোজের রয়েছে এক চমৎকার যাদুকরী কার্যক্ষমতা।মাইক্রোসফট কর্পোরেশন নামের প্রতিষ্ঠানটি সর্বপ্রথম ১৯৮৫ সালে উইন্ডোজের একটি প্রাথমিক প্রোগ্রাম তৈরি করে বাজারে ছাড়ে। সে সময় ঐ প্রোগ্রামের ছিল অনেক বাধ্যবাধকতা। সেজন্য ওটা জনপ্রিয় হতে পারেনি। পরবর্তীতে উক্ত সফটওয়্যারটি কিছু পরিমার্জন করে নতুন ভার্সন হিসেবে ১৯৮৭ সালে বাজারে আসে উইন্ডেজ ২.০১ ভার্সন। তারপর ১৯৯০ সালে উইন্ডোজ ৩.০ ভার্সন, ১৯৯২ সালে ৩.১ ভার্সন, ১৯৯৩ সালে ৩.১১ ভার্সন। এভাবে একের পর এক ভার্সন বদলে উইন্ডোজের কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠলো বিশাল আর স্বাচ্ছন্দময়। কিন্তু তখনও উইন্ডোজ প্রোগ্রামটি সরাসরি কম্পিউটারে চালানো যেত না। প্রথমে ডস এর মাধ্যমে কম্পিউটার ওপেন করে তারপর উইন্ডোজ চালু করতে হতো।

১৯৯৫ সালে ঘটে যায় শতাব্দীর সেরা ঘটনা। সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের নির্মাতা বিল গেটস নামের এক বিজ্ঞানী উইন্ডোজের সম্পূর্ণ নতুন ভার্সন বাজারে ছাড়লেন, নাম দিলেন উইন্ডোজ ৯৫। এই সফটওয়্যারটির বৈশিষ্ঠ্য হলো এটাকে চালতে ডসের প্রত্যক্ষ সহায়তা লাগে না।কম্পিউটার প্রাথমিকভাবে ডস চালু করবে বটে তবে সেটা অনেকটা প্রচ্ছন্নভাবে, মূল কাজটা করবে উইন্ডোজ।সুতরাং ব্যবহারকারী কম্পিউটার ওপেন করলেই সরাসরি উইন্ডেজের ডেস্কটপে উপস্থিত হতে পারবে। আর এর অধীনের এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারেও আনা হলো বেশ কিছু পরিবর্তন। ফলে একজন সাধারণ বা নতুন কোন ব্যবহারকারীর পক্ষেও কম্পিউটারে কাজ করার পরিবেশে কোন সমস্যা থাকলো না। উইন্ডোজ ৯৫ ভার্সন নিয়ে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন তার সফল যাত্রা শুরু করলেও প্রায় প্রতিবছরই পুরাতন উইন্ডোজের ভার্সনকে আরও কিছু সুবিধা যোগ করে নতুন নতুন ভার্সন বাজারে আসতে থাকে। তবে যে ভার্সনই থাকুক না কেন, অপারেটিং সিষ্টেমে কোন পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ যে ব্যবহারকারী যে ভার্সনই ব্যবহার করুক না কেন, ব্যবহারকারীর কাজের কোন অসুবিধা হবে না। বর্তমানে বাজারে উইন্ডোজের অনেক আপগ্রেড ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে এবং তা জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উইন্ডোজ এক্সপি, ভিস্তা, উইন্ডোজ সেভেন, এইট ইত্যাদি। ভাবতেও অবাক লাগে, শুধু এই উইন্ডোজ সফটওয়্যার বিক্রি করেই বিশ্বের সেরা ধনীদের একজন মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের মালিক বিল গেটস।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Post a Comment

আমাদের সাথে থাকুন
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!