অ্যাসাইনমেন্ট : সবজির শ্রেণিবিভাগ ।
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- ২.১ সবজির শ্রেণিবিভাগ
- ২.২ বীজের শ্রেণিবিভাগ
- ২.৩ বীজের পার্থক্য
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
- ১. শ্রেণিবিভাগের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
- ২. বীজের শ্রেণিবিভাগ বর্ণনা করতে হবে
- ৩. বীজের পার্থক্য বর্ণনা করতে হবে
উত্তর সমূহ:
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- ১. শ্রেণিবিভাগের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
শাক - সবজিকে বিভিন্নভাবে শ্রেণিবিভাগ করা যায় । যেমন- মৌসুমভিত্তিক , ব্যবহারভিত্তিক , উৎপত্তি ভিত্তিক , ভক্ষণযােগ্য ভিত্তিক , শেকড়ের গভীরতা অনুযায়ী , মাটির উপরে বা নিচে জন্মানােভিত্তিক , উদ্ভিদতাত্ত্বিক ইত্যাদি ।
ক ) মৌসুম ভিত্তিক শ্রেণি বিভাগ ও মৌসুম অনুযায়ী বাংলাদেশের সবজিগুলােকে ৩ টি ভাগে ভাগ করা হয় । যেমন-
( ১ ) রবি মৌসুমের সবজি- এ সবজি শীতকালে জনে থাকে । উদাহরণ ফুলকপি , বাঁধাকপি , পালংশাক , গাজর , লেটুস , শিম , লকপি , মুথা , টমেটো ইত্যাদি ।
( ২ ) খারিফ সবজি- এ সবজি গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে জন্মে থাকে । উদাহরণ চালকুমড়া , চিচিংগা , কিত্তা , ধুন্দল , ঢেড়শ , লা , ভাঁটা , পুঁইশাক , পটল , কচু , বরবটি ইত্যাদি ।
( ৩ ) বারমাসি সবজি- এ সবজি সারা বছর জন্মে থাকে । উদাহারণ বেজন , মিষ্টি কুমড়া , লালশাক , পেঁপে , শশা ইত্যাদি ।
খ ) ব্যবহার ভিত্তিক শ্রেণিবিভাগ- সবজি কীভাবে ব্যবহার করা হবে তার ওপর ভিত্তি করে সবজিগুলােকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে । যেমন
১। সালাদজাতীয় সবজি- এ সবজিগুলাে সাধারণত সালাদ হিসেবে ব্যবহৃত হয় । উদাহরণ শশা , গাজর , লেটুস , ক্যাপসিকাম , পেঁপে ইত্যাদি ।
২। তরকারিজাতীয় সবজি- এ সবজিগুলাে তরকারি রান্নার জন্য শুধু ব্যবহৃত হয় । উদাহরণ বেগুন , পটল , ঝিঙা , আলু , ধুন্দল ইত্যাদি ।
৩। ভর্তাজাতীয় খাবার তৈরির সবজি- এ সবজিগুলাে অনেক সময় ভর্তা তৈরি করে খাওয়া হয় । উদাহরণ ওলকচু , কাঁচাকলা , পেঁপে , বেগুন ইত্যাদি ।
৪। চাটনী তৈরির সবজি- এ সবজিগুলাে চাটনি তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয় । উদাহরণ- টমেটো , ধনিয়াপাতা , পুদিনা পাতা ইত্যাদি ।
৫। ভাজা খাবার তৈরির সবজি- এ সবজিগুলাে ভাজা খাবার তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয় । উদাহরণ বরবটি , করলা , শিম , লালশাক , পুঁইশাক ইত্যাদি ।
৬। স্যুপ তৈরির সবজি- এ সবজিগুলাে সুপ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয় । উদাহরণ পিয়াজ পাতা , পুদিনা পাতা , গাজর , মৃটরশুটি ইত্যাদি ।
গ ) উৎপত্তিভিত্তিক সবজি- বাংলাদেশে যে সমস্ত শাকসবজির চাষ হচ্ছে সেগুলােকে উৎপত্তিস্থলের ভিত্তিতে দেশি ও বিদেশি হিসেবে ভাগ করা যায় । যথা
১ ) দেশি সবজি - পটল লালশাক কলমিশাক মি মিষ্টি কমানা কামীয় আটক ইলদি সিলারি ,
( ২ ) বিদেশী সবজি- কপিজাতীয় , লেটুস , সিলারী , গিমা কলমি , বীট , গাজর , ব্রোকলী , চিনা বাধাকপি ইত্যাদি ।
ঘ) আহার উপযোগী ভিত্তিক- ফসলের প্রকারভেদ বিভিন্ন অংশ খাওয়া যায় । এর ভিত্তিতে সবজিগুলােকে কয়েকটি ভাগে ভাগ হয় ।
( ১ ) পাতাজাতীয় সবজি - সালশাক , পুঁইশাক , লেটুস , পার্সলি , সিলারি ইত্যাদি ।
( ২ ) ফলজাতীয় সবজি -বেগুন , টমেটো , কুমড়াজাতীয় , শিম , বরবটি ইত্যাদি ।
( ৩ ) কাল সবজি- আলু , মেটে আলু , শাহআলু ইত্যাদি ।
( ৪ ) কাগজাতীয় সবজি- ভঁটা , পানিকুলতা ইত্যাদি ।
(৫ ) কচুজাঙ্গসবজি- মুখীকচু , ল , মনিকচু ইত্যাদি ।
( ৬ ) ফুলজাতীয় সবজি - ফুলকপি , ব্রোকলি , মিষ্টি কুমড়া ফুল , শাপলা ফুল , বকফুল ইত্যাদি ।
( ৭ ) বীজজাতীয় সবজি- শিম বীজ , কাঁঠালৰীজ , মটরগট ইত্যাদি ।
ঙ ) শিকড়ের গজকাভিত্তিক সবজি- এ জাতীয় সবজিকে ২ ভাগে ভাগ করা হয় । যেমন- অঙীয় ও গজব শিকজাতীয় সবজি ।
১। অগীর শেকডযুক্ত সবজি বীট , গাজর ইত্যাদি ।
২। গভীর শিকযুক্ত সবজি ফুল , মেটে আলু ইত্যাদি ।
চ ) জীৰলভিকজি ঞ্জীবনকালের ভিত্তিতে সব সবজিকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন-
( ১ ) বর্ষজীবী
( ২ ) দ্বিবর্ষজীবী ও
( ৩ ) বহুবর্ষজীবী
উপরে শ্রেনিবিভাগ ও তার ব্যাখাগুলো যা দেওয়া হয়েছে আপনারা এগুলো একটি ছকের মাধ্যমে তৈরি করবেন।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- ২. বীজের শ্রেণিবিভাগ বর্ণনা করতে হবে
বীজ বলতে আমরা বীজত্বক দ্বারা আবৃত এবং সুপ্ত ভুণযুক্ত পরিণত , পরিপুষ্ট ও নিষিক্ত ডিম্বককে বীজ হিসেবে বুঝে থাকি । একটি সাধারণ বীজের ২ টি অংশ থাকে । যথা- বীজত্বক ও বীজলার বা কার্পেল । একটি বীতে বীজপত্রের সংখ্যা অনুসারে ২ টি লগে ভাগ করা যায় । যথা- একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী ।
( ১ ) একবীজপত্রী- ধান , গম , স্বা , কলা , খেজুর , কচু ইত্যাদি ।
( ২ ) দ্বিবীজপত্রী- শিম , চিচিংগা , ধুন্দল , বেগুন , ছােলা , কঁঠাল ইত্যাদি ।
এছাড়া আরও এক প্রকাজের উদ্ভিদ আছে যথা - বহুবীজপত্রী বীজ । উদাঃ পাইন । যে কোন বীজেরই একটি বা তার বেশি বীজপ থাকে । বীজপত্রের সংখ্যা যখন একটি থাকে তখন তাকে একবীজপত্রী বীজকল । আর বীজে বীজপত্রের সংখ্যা যখন দুটি থাকে তখন তাকে দ্বিবীজপত্রী শীল বলে ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- ৩. বীজের পার্থক্য বর্ণনা করতে হবে
একবীজপত্রী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য:
- এদের ভ্রূণমূল সাধারণভাবে বিনষ্ট হয়ে গিয়ে কাণ্ডের নিম্নভাগ থেকে গুচ্ছমূল বের হয়।
- কান্ড সাধারণত শাখাপ্রশাখাবিহীন হয়।
- পাতায় সমান্তরাল শিরাবিন্যাস দেখা যায়।
- ফুল সাধারণত একলিঙ্গ হয়।
- বীজে একটি মাত্র বীজপত্র থাকে।
দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য:
- এদের ভ্রূণমূল বৃদ্ধি পেয়ে প্রধান মূল তৈরি করে। প্রধান মূল থেকে শাখামূল ও প্রশাখামূল বের হয়।
- কান্ড শাখাপ্রশাখাযুক্ত হয়।
- পাতায় জালিকাকার শিরাবিন্যাস দেখতে পাওয়া যায়।
- ফুল সাধারণত উভয়লিঙ্গ হয়।
- বীজে দুটি বীজপত্র দেখতে পাওয়া যায়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।