অ্যাসাইনমেন্ট : ‘আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের ধারণা অনুযায়ী এ মহাজগতের কোন কিছুই পরম নয়, আপেক্ষিক’ব্যাখ্যা কর।
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- ভৌতজগতের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করতে পারবে
- পদার্থবিজ্ঞানে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধারণা, সুত্র, নীতি, স্বীকার্য, অনুকল্প, মূলনীতি ও তত্ত্বের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- স্থান, সময়, ভর এবং বিভিন্ন প্রতিভাসের কার্যকরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবে।
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
- পদার্থবিজ্ঞান গবেষণায় বিভিন্ন তত্ত্বের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
- স্থানের সনাতন ও আধুনিক ধারণার আলোকে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টি ব্যাখা করতে হবে
- ভরের সনাতন ও আধুনিক ধারণার আলোকে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টি ব্যাখা করতে হবে
- সময়ের সনাতন ও আধুনিক ধারণার আলোকে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টি ব্যাখা করতে হবে
উত্তর সমূহ:
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে লাইক পেজ : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
পদার্থবিজ্ঞান গবেষণায় বিভিন্ন তত্ত্বের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ এবং শক্তির মিথস্ক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে।পদার্থবিজ্ঞান একটি প্রাকৃতিক বিজ্ঞান যা শক্তি এবং বলের মতো ধারণার পাশাপাশি স্থান ও কাল সাপেক্ষে পদার্থের গতি নিয়ে আলোচনা করে থাকে। সংক্ষেপে বললে, মহাবিশ্ব কীভাবে আচরণ করে তা বোঝার প্রয়াসে এটি একটি প্রাকৃতিক অধ্যয়ন।পদার্থবিজ্ঞান (Physics) শব্দটি এসেছে মূলত গ্রিক শব্দ 'ফুসিকে (Fusiky)' থেকে, যার অর্থ– ‘প্রকৃতি সম্পর্কিত জ্ঞান
পদার্থবিজ্ঞান শক্তি এবং পদার্থ সম্পর্কিত মৌলিক নীতিগুলি উদঘাটন করতে এবং এই নীতিগুলোর প্রভাব আবিষ্কার করতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে। এটি ধরে নেওয়া হয় যে এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যার দ্বারা মহাবিশ্ব পরিচালিত হয় এবং সেই নিয়মগুলোর খুব সামান্য অংশ মানুষ বুঝতে পারে।
সাধারণত বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, যদি আমরা শক্তি ও পদার্থের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করতে পারি, তাহলে সে জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমরা ভবিষ্যতে বিশ্বজগত কেমন আচরণ করবে তার পূর্বাভাস পেতে পারব। আর এই পথে পদার্থবিজ্ঞান সবচেয়ে বড় সহায়ক।
নীতি
যেসব সাধারণ সূত্র বিজ্ঞান বা পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি তাদেরকে বলা হয় নীতি। কোন যুক্তিতর্ক বা কাজের হিসাবে যে মৌলিক শর্ত বা তত্ত্বকে বিবেচনা করা হয় তাই নীতি। যে সকল প্রাকৃতিক সত্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা যায় এবং যার সাহায্যে অনেক প্রাকৃতিক ঘটনা দেখাও প্রমাণ করা। যায় তাকে নিতে বলা হয়।
সূত্র
সাধারণভাবে কোনাে নির্দিষ্ট শর্ত বা অবস্থায় সব সময় কি করবে তার বর্ণনা হল সূত্র। যখন যুক্তিও পর্যবেক্ষণে কোন তত্ত্ব অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সাহায্যে প্রমাণিত হয় এবং এর মূল কথাগুলাে এক বা একাধিক বাক্যের মাধ্যমে বা সমীকরণ আকারে প্রকাশ করা হয় তখন তাকে সূত্র বলা হয়। সকল সূত্র তত্ত্ব কিন্তু সকল তত্ত্ব সূত্র নয়। কোন কোন সূত্র রয়েছে এর আবিষ্কারক ও প্রতিষ্ঠানের নামে যেমন রয়ালে সূত্র ও চার্লসের সূত্র। যেমন ভরবেগের নিত্যতা সূত্র শক্তির নিত্যতা বা সংরক্ষণ সূত্র। আবার কোন | কোন সূত্রের নামকরণ করা হয়েছে আবিষ্কারক ও বিষয় ও বিষয়ের। নামে। যেমন নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র ও গ্যালিলিওর পড়ন্ত বস্তুর সূত্র।
স্বীকার্য
যে সার্বিক বিবৃতি দিয়ে কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব শুরু হয় তাকে স্বীকার্য। বলা হয়। সাধারণত কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব একটি সার্বিক বিবৃতি দিয়ে শুরু হয়। স্বীকার্য হলাে তা যা বিনা প্রমাণে সত্য বলে স্বীকার করে নিয়ে এর উপর ভিত্তি করে কোন যুক্তি বা তথ্য প্রদান করা হয়। যেমন গ্যাসের অণুসমূহের গতি সম্পর্কে কিছু ধারনা কে সত্যের উপর ধরে নিয়ে গ্যাসের গতি সূত্র ব্যবহার করে গ্যাসের আচরণ ব্যাখ্যা করা হয়। আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত দটি মৌলিক স্বীকার্য উপর প্রতিষ্ঠিত।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
স্থানের সনাতন ও আধুনিক ধারণার আলোকে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টি ব্যাখা করতে হবে
বিজ্ঞানী নিউটনের মতে স্থান একটি পরম জিনিস যা তার | নিজের মধ্যে অবস্থান ও বাইরের পরিবেশে সঙ্গে সম্পর্ক নয় | এবং পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয় না। যেমন কোন বস্তুর দৈর্ঘ্য বা পর্যবেক্ষণের গতির উপর নির্ভরশীল নয় এবং স্থির | অবস্থায় অপরিবর্তনীয়।
স্থানের জ্যামিতির ধারণা প্রথম উপস্থাপন করে গণিতবিদ ইউক্লিড। তার মধ্যে আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে সবই স্থান। চিরায়ত পদার্থ বিজ্ঞানের মতে স্থান হল ত্রিমাত্রিক ইউক্লিডীয় স্থান যেখানে যে কোন অবস্থার তিনটি স্থানাঙ্ক ধারা বর্ণনা করা যেতে পারে। গ্যালিলিও গতি ও ত্বরণের সূত্র স্থান কে ব্যবহার করেছেন। তার মতে স্থানের কোন শেষবার শুরু নেই।
স্থান নিরবচ্ছিন্ন অতি ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা যায়। স্থান সময় বাকাল দ্বারা প্রভাবিত হয় না। স্থান মহাবিশ্বের একটি ধর্ম যা অভিলম্বিক ঘটনাকে পরস্পর অভিলম্বিক | ত্রিমাত্রিক স্থানের বিবৃতি করতে সক্ষম করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ভরের সনাতন ও আধুনিক ধারণার আলোকে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টি ব্যাখা করতে হবে
নিউটনীয় বলবিদ্যা বস্তুর ভর একটি মৌলিক রাশি যা তার গতির উপর নির্ভরশীল নয় এবং নিত্যতা সূত্র। অনুসারে কোন স্বতন্ত্র প্রক্রিয়াধীন বস্তুসমূহের বড়ই প্রক্রিয়াধীন দুই বা ততােধিক বস্তু ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার দরুন হয়। এর কোনাে পরিবর্তন ঘটে না।
ভর হলাে জড়তার পরিমাপ। ভর কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হলাে জড় ভর যা বল প্রয়ােগে বস্তুর গতিকে বাধা দেয় বা দিতে চায়। সব সময়ই দেখা যায় বস্তুর উপর বল প্রযুক্ত হলে | বস্তুর ত্বরণ হয়। যেখানে M হলাে কোন আদর্শ বা প্রমিত বস্তুভর।
আইনষ্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ব অনুসারে ভর ধ্রুব নয়। তবে বস্তুর বেগ আলাের বেগের কাছাকাছি না আসলে এটা উপেক্ষা করা যায়। | সুতরাং, চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানে স্থান,কাল ও ভর পরম ধ্রুব ও | অপরিবর্তনীয় বলা হলেও আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের মতে। স্থান,কাল ও ভর পরম বা ধ্রুব কিছু নয়। এগুলাে আপেক্ষিক। সময় ও অবস্থানের কারণে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে এগুলাে ভিন্ন হতে পারে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সময়ের সনাতন ও আধুনিক ধারণার আলোকে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টি ব্যাখা করতে হবে
নিউটনের মতে সময় বা কাল প্রকৃতিগতভাবে একটি পরম রাশি যা বাইরের কিছুর উপর নির্ভর করে সমভাবে এগিয়ে চলে। সুতরাং সময়। সর্বজনীন এবং নির্দিষ্ট হারে এগিয়ে চলেন যা পর্যবেক্ষকের গতির উপর নির্ভরশীল নয়।।
কোন জোর ও বাসের কাঠামােতে সংঘটিত ঘটনা উক্ত কাঠামাে সাপেক্ষে গতিশীল কোন কাঠামাে থেকে লক্ষ করলে দেখা যাবে ঘটনার সময় ব্যবধান বৃদ্ধি পেয়েছে এ বিষয়ে কে কাল দীর্ঘ সময় | প্রসারণ বলে। অর্থাৎ গতির সাথে সময়েরও প্রসারণ ঘটে। সময়ের আধুনিক ধারণা আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব বা মিনকোওয়াল্কির স্থান-কালের ধারণার ভিত্তিতে করা যেখানে বিভিন্ন স্থানে সময় পৃথকভাবে চলে এবং স্থান ও কাল একত্রিত হয়ে স্থান-কালে সন্তরিত হয়েছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে লাইক পেজ : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।