অ্যাসাইনমেন্ট: তাপগতীয় প্রক্রিয়ায়প্রসারণশীল গ্যাস দ্বারা কৃত কাজের পরিমাণ নির্ণয়করণ।
নির্দেশনা :
- তাপ ও তাপগতিবিদ্যার ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
- সমচাপ প্রক্রিয়ায় কৃত কাজের পরিমাণ নির্ণয় করতে হবে
- সমআয়তন প্রক্রিয়ায় কৃত কাজের পরিমাণ নির্ণয় করতে হবে
- সমোষ্ণ প্রক্রিয়ায় কৃত কাজের পরিমাণ নির্ণয় করতে হবে
- রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়ায় কৃত কাজের পরিমাণ নির্ণয় করতে হবে
উত্তর সমূহ:
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে লাইক পেজ : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
তাপ ও তাপগতিবিদ্যা
তাপ একপ্রকার শক্তি যা আমাদের শরীরে ঠান্ডা বা গরমের অনুভূতি জাগায় । তাপের আন্তর্জাতিক একক জুল । তাপমাত্রা হচ্ছে বস্তুর তাপীয় অবস্থা যা অন্য বস্তুর তাপীয় সংস্পর্শে আনলে বস্তুটি তাপ গ্রহণ করবে না বর্জন করবে তা নির্ধারণ করে । তাপ সাধারণত তিনটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সঞ্চালিত হয়ে থাকে । এগুলাে হলাে - পরিবহন , পরিচলন ও বিকিরণ । তাপ সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়ােজন হয় । তাপ পরিমাপক যন্ত্রের নাম হলাে ক্যালরিমিটার ।
তাপগতিবিদ্যার মৌলিক সূত্র চারটি , মূলত পরীক্ষামূলক সত্য প্রকাশ করে এবং তাপীয় সাম্যাবস্থায় তাপগতীয় প্রক্রিয়া ও তাপগতীয় সিস্টেমকে বৈশিষ্ট্য প্রদানকারী তাপমাত্রা , তাপ , তাপগতীয় কাজ ও বিশৃঙ্খলা - মাত্রা ( এনট্রপি ) এসব ভৌত পরিমাণসমূহ সংজ্ঞায়িত করে । তাপগতিবিদ্যার পাশাপাশি পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নেও সূত্রগুলাের প্রয়ােগ লক্ষ্য করা যায় ।
ঐতিহ্যগতভাবে , তাপগতিবিদ্যার তিনটি সূত্র রয়েছে : প্রথম সূত্র , দ্বিতীয় সূত্র ও তৃতীয় সূত্র । আরাে মৌলিক একটি বক্তব্যকে পরবর্তীতে ' শূন্যতম সূত্র ' তকমা দেওয়া হয় ।
তাপগতিবিদ্যার শুন্যতম সূত্র তাপীয় সাম্যাবস্থাকে সংজ্ঞায়িত করে এবং তাপমাত্রাকে সংজ্ঞায়িত করার ভিত্তি তৈরী করে । এটি বলে , যদি দুটি সিস্টেমের উভয়েই তৃতীয় আরেকটি সিস্টেমের সাথে তাপীয় সাম্যাবস্থায় থাকে , তবে তারা প্রত্যেকেই পরস্পরের সাথে তাপীয় সাম্যাবস্থায় থাকবে ।
তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র বলে , যখন কোনাে সিস্টেমের ভেতর দিয়ে শক্তি ( তাপ , কাজ বা পদার্থ ) প্রবাহিত হয় তখন সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ শক্তি , শক্তির নিত্যতা সূত্র অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় ।
তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র মূলত দুইভাবে বিবৃত করা যায় । সম্ভাব্য প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে , রুডলফ ক্লসিয়াস বলেছেন , “ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিম্ন তাপমাত্রা থেকে উচ্চ তাপমাত্রার স্থানে তাপের স্থানান্তর সম্ভব নয় । বিশৃঙ্খলা - মাত্রার হিসাবে , একটি স্বাভাবিক তাপগতীয় প্রক্রিয়ায় সিস্টেমগুলাের বিশৃঙ্খলা - মাত্রার যােগফল সর্বদাই বৃদ্ধি পায় ।
তাপগতিবিদ্যার তৃতীয় সূত্র বলে , কোনাে সিস্টেমের তাপমাত্রা পরম শূন্যের দিকে ধাবিত হলে বিশ্বখুলা - মাত্র একটি মানের দিকে ধাবিত হয় । অ - স্ফটিক সিস্টেমের পরম শূন্য তাপমাত্রায় সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি হয় ।
সমচাপ রেখা
সমচাপ রেখা ( Isober Line ) : কোনাে নির্দিষ্ট সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের বায়ুর চাপ নির্ধারণ করে যখন মানচিত্রে প্রকাশ করা হয় তাকে সমচাপ রেখা মানচিত্র এবং রেখাসমূহকে সমচাপ রেখা বলে । সাধারণত ৪ মিলিবার পরপর সমচাপ রেখা অঙ্কন করা হয় । যে স্থানে বায়ুর চাপ বেশি সেই স্থানে উচ্চচাপ এবং যে স্থানে বায়ুর চাপ কম সে স্থানে নিম্নচাপ অবস্থা প্রকাশ করা হয় । সমচাপ রেখার মাধ্যমে কোনাে স্থানের বায়ুর চাপের ও গতির পার্থক্য সম্পর্কে জানা যায় । সাধারণত সমুদ্রগামী জাহাজ , নদীবন্দরে অবস্থিত নৌযান চলাচলে কোনাে সতর্কবার্তা প্রেরণের ক্ষেত্রে এই সমচাপ রেখা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে । সমচাপ রেখার মাধ্যমেই বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এলাকাগুলাে সহজে চিহ্নিত করা যায় ।
সমচাপ রেখা অঙ্কন পদ্ধতি ও বিশ্লেষণ : সমচাপ রেখা সাধারণত বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপকে মানচিত্রে রৈখিক বিন্যাস দ্বারা প্রকাশ করে । সমচাপ রেখা দুটি পদ্ধতিতে অঙ্কন করা যায় ১. ঘূর্ণিবাত , নিম্নচাপ বা অবনমন এবং ২. প্রতীপ ঘূর্ণিবায়ু বা উচ্চচাপ ।
১. ঘূর্ণিবাত , নিম্নচাপ বা অবনমন ( Cyclone , Low Pressure or Depression ) : ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় । বায়ু উত্তর গােলার্ধে বাম দিকে বেঁকে ( Anti - Clockwise ) এবং দক্ষিণ গােলার্ধে ডানদিকে বেঁকে ( Clockwise ) যায় । এভাবে ঘুরতে ঘুরতে বায়ু ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্রেস্থলের দিকে বায়ু উর্ধ্বগামী হয় এবং উষ্ণ বায়ুর সাথে মিলিত হয়ে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে । এ সময় ঐ এলাকায় নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় ।
২. প্রতীপ ঘূর্ণিবায়ু বা উচ্চচাপ ( Anti - Cyclone or High Pressure ) : প্রতীপ ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্রে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয় । অল্প পরিসর স্থানের বায়ু শীতল হয়ে উচ্চচাপ তৈরি হয় । প্রতীপ ঘূর্ণিবায়ু “ ডিম্বাকৃতি " আকারের রৈখিক বিন্যাসের দ্বারা অঙ্কিত হয় এবং তা বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকে ।
সমআয়তন প্রক্রিয়া
সমআয়তন প্রক্রিয়া, যাকে স্থির - আয়তন বা আইসােমেট্রিক প্রক্রিয়াও বলা হয় , হলাে এমন একটি তাপগতীয় প্রক্রিয়া , যাতে প্রক্রিয়াধীন বদ্ধ ব্যবস্থার আয়তন স্থির থাকে । একটি সমআয়তন প্রক্রিয়া , বদ্ধ ও অস্থিতিস্থাপক পাত্রে রাখা উপাদান উত্তপ্ত বা শীতলীকরণের মাধ্যমে দেখানাে হয় : তাপগতীয় প্রক্রিয়াটি হলাে তাপ সংযােজন বা অপসারণ ; পাত্রটির উপাদানের বিচ্ছিন্নতা বদ্ধ সিস্টেম তৈরী করে ; এবং বিকৃতি ঘটাতে পাত্রটির অক্ষমতা , স্থির আয়তন শর্তটি প্রতিষ্ঠিত করে । তবে এখানে তাপগতীয় প্রক্রিয়াটিকে ধীর গতির প্রক্রিয়া ( কোয়াসি স্ট্যাটিক ) হতে হবে ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
উদাহরণঃ সমােষ্ণ প্রক্রিয়া , উচ্চ কাঠামােগত মেশিন থেকে জীবন্ত কোষ , তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী যে কোন সিস্টেমেই ঘটতে পারে । তাপ ইঞ্জিন চক্রের কয়েকটা ধাপ সমােষ্ণ প্রক্রিয়ায় চলে , যেমন কার্নো ইঞ্জিন । [ ১ ] রাসায়নিক বিক্রিয়ার তাপগতীয় বিশ্লেষণের সময় প্রথমে সমােষ্ণ প্রক্রিয়া কি ঘটবে তা বিশ্লেষণ করে তারপরে তাপের প্রভাব বিবেচনা করে । [ ২ ] সমান চাপে দশা পরিবর্তন যেমন গলে যাওয়া বা বাষ্পে পরিনত হওয়া হল সমােষ্ণ প্রক্রিয়া । [ ৩ ] প্রায়ই সমােষ্ণ প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয় এবং আরও জটিল , অ - সমােষ্ণ প্রক্রিয়া বিশ্লেষণের একটি সূচনা পয়েন্ট ।
আদর্শ গ্যাসগুলির জন্য সমােষ্ণ প্রক্রিয়া বিশেষ ভাবে প্রযােজ্য । জুলের ২ য় সুত্রানুসারে নির্দিষ্ট পরিমান আদর্শ গ্যাসের অভ্যন্তরীণ শক্তি শুধুমাত্র তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে । সুতরাং সমােষ্ণ প্রক্রিয়ায় আদর্শ গ্যাসের অভ্যন্তরীণ শক্তি ধ্রুবক । ফলে আদর্শ গ্যাসে আন্তঃআণবিক শক্তি থাকে না । মনে রাখবেন , এটা শুধু আদর্শ গ্যাসের জন্য , তরল , কঠিন এনং বাস্তব গ্যাসের অভ্যন্তরীন শক্তি তাপ ও চাপের উপর নির্ভরশীল । একটি গ্যাসের সমােষ্ণ সংকোচনে যে কাজ হয় তাতে গ্যাসের আয়তন হ্রাস পায় এবং চাপ বাড়ে ।
ফলে অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং তাপমাত্রা বাড়ে । ধ্রুব তাপমাত্রা বজায় রাখতে সিস্টেমটিকে তাপ পরিবেশে ছেড়ে দিতে হবে । আদর্শ গ্যাসে অভ্যন্তরীণ শক্তি পরিবর্তন হয় না ফলে পরিবেশে প্রবেশ করা শক্তির পরিমাণ গ্যাসের কাজের সমান হবে । সমােষ্ণ প্রসারণে সিস্টেমে সরবরাহ করা শক্তি চারপাশে কাজ করে । উভয় ক্ষেত্রেই উপযুক্ত সংযােগের সহায়তায় গ্যাসের আয়তনের পরিবর্তন কার্যকর যান্ত্রিক কাজ সম্পাদন করতে পারে । বিস্তারিত হিসাবের জন্য , কাজের হিসাব দেখুন । কর দেয়াল জল ভরে রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়ায় , ধারকের দেয়াল ভাল ভাবে অন্তরীত থাকার জন্য কোন তাপ বাহিরে যায় না বা ভিতরে আসে না , Q = 01 যদি কোনও কাজ না করা হয় , অর্থাৎ একটি মুক্ত সম্প্রসারণ , অভ্যন্তরীণ শক্তিতে কোনও পরিবর্তন হয় না । একটি আদর্শ গ্যাসের জন্য , এই অর্থে এই প্রক্রিয়াটিও সমােষ্ণ । এতদনুসারে , একটি প্রক্রিয়া সমােষ্ণ হলে তাকে একক প্রক্রিয়া বলা যায় না ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে লাইক পেজ : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।