hsc (bm) class 11 business organization -1 science 2nd week assignment solution 2021

অ্যাসাইনমেন্ট: উদ্যোক্তা উন্নয়নে ব্যবসায় পরিবেশের উপাদানগুলোর ভূমিকা নিরূপণ।

শিখনফল: 

  • ব্যবসায়ের ধারণা 
  • উদ্যোক্তা উন্নয়নে ব্যবসায় পরিবেশের ধারণা
  • বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিবেশের উপাদান
  • উদ্যোক্তা উন্ন য়নের প্রকারভেদ

নির্দেশনা :

  • ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
  • উদ্যোক্তা উন্নয়নে ব্যবসায় পরিবেশের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
  • বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিবেশের উপাদান বর্ণনা করতে হবে
  • উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রকারভেদ বর্ণনা করতে হবে

উত্তর সমূহ:

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে লাইক পেজ : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

১. ব্যবসায়ের ধারণা

 সাধারণত মুনাফার উদ্দেশ্যে পরিচালিত, নিয়ন্ত্রিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে ব্যবসায় বলে। গত কয়েকদিন আগে আমি মাঠে খেলতে গিয়ে কয়েকজন বন্ধুদের কাছ থেকে জিঞ্জেস করলাম যে, তাদের কার বাবা কি করে। অনেকেই বলল ঔষধের দোকান, মুদির দোকান, শাড়ির দোকান, কসমেটিকস এর দোকান ইত্যাদি পেশায় নিয়োজিত থাকে। তাদের অভিভাবকদের সবগুলো অর্থনৈতিক কাজ ব্যবসায়ের অন্তর্ভূক্ত হবে যদি তারা জীবিকা নির্বাহ ও মুনাফার আশায় উক্ত কাজগুলো করে থাকেন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

মূলত মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে ব্যবসায় বলে। পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করা, হাস-মুরগি পালন করা, সবজি চায় করাকে ব্যবসায় বলা যায় না। কিন্তু যখন কোনো কৃষক মুনাফার আশায় ধান চাষ করে বা সবজি চাষ করাকে ব্যবসায় বলে গণ্য হবে। তবে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যবসা বলে গণ্য হবে যদি সেগুলো দেশের আইনে বৈধ ও সঠিক উপায়ে পরিচালিত হয়। ব্যবসায়ের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা একে অন্য সব পেশা থেকে আলাদা করেছে।

ব্যবসায়ের সাথে জড়িত পণ্য বা সেবার অবশ্যই আর্থিক মূল্য থাকতে হবে। ব্যবসায়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এর সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক। মূলত মুনাফা অর্জনের আশাতেই ব্যবসায়ী অর্থ বিনিয়োগ করে। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডর মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অবশ্যই সেবার মনোভাব থাকতে হবে।

২. উদ্যোক্তা উন্নয়নে ব্যবসায় পরিবেশের ধারণা

আমরা জানি যে কোন ব্যবসায়ের সাফল্য-ব্যর্থতা ও প্রসার নির্ভর করে পরিবেশের উপর। ব্যবসায় উদ্যোগের সাথেও পরিবেশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে তোলার জন্য ব্যবসায় পরিবেশের প্রাকৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তিগত নানা উপাদানের সহায়ক ভূমিকা ছাড়া সম্ভব নয়। উন্নত বিশ্বের দিকে যদি লক্ষ করি তাহলে দেখা যায় যে, তাদের অগ্রগতির অন্যতম কারণ হলো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও সম্প্রসারণের অনুকূল পরিবেশ। আমাদের দেশে মেধা, মনন ও দক্ষতা এবং সৃজনশীলতার কোন ঘাটতি নেই। শুধুমাত্র অনুকূল পরিবেশের অভাবে আমাদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে উঠার জন্য নিম্নোক্ত অনুকূল পরিবেশ থাকা

আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতা: অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা যেমন ব্যবসায় উদ্যোগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে, তেমনি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা ব্যবসায় উদ্যোগের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। সরকারের গৃহিত অর্থনৈতিক নীতিমালা যেমন কর নীতিমালা, রাজস্ব নীতিমালা, শিল্পনীতি, বাণিজ্যনীতি, বিনিয়োগ নীতি, মুদ্রানীতি উদ্যোগ উন্নয়নকে প্রভাবিত করে। অন্যদিকে দেশের জনগণের রুচিবোধ, মূল্যবোধ, ক্রয়-ক্ষমতা ইত্যাদিও উদ্যোগ উন্নয়নে প্রভাব রাখে।

উন্নত অবকাঠামো: ব্যবসায় পরিচালনার জন্য আনুষঙ্গিক কিছু সুযোগ সুবিধা, যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা দরকার। ব্যবসায়ের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এই সকল উপাদান থাকা বাঞ্ছনীয়। কেননা যখন কোন ব্যবসায় উদ্যোক্তা ব্যবসায় স্থাপন বা বিদ্যমান ব্যবসায় প্রসার ঘটানোর জন্য মনঃস্থির করেন তিনি তখন বিদ্যমান অবকাঠমোগত সুযোগ-সুবিধা যেমন, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও যাতায়াত ব্যবস্থা বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে উঠার অনুকূল পরিবেশ

আর্থ-সামাজিক

স্থিতিশীলতা উন্নত অবকাঠামো

সরকারি পৃষ্ঠাপোষকতা

অনুকূল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি

প্রশিক্ষণের সুযোগ

পর্যাপ্ত পুঁজির প্রাপ্যতা

সরকারী পৃষ্ঠাপোষকতা: সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায় উদ্যোগের আরও সম্প্রসারণ ও সমৃদ্ধি সম্ভব। সরকারি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত যেমন কর মওকুফ, স্বল্প বা বিনা সুদে মূলধন প্রাপ্তি, আমলাতান্ত্রিকতা ও লাল ফিতার দৌরাত্ব্য থেকে মুক্তি ইত্যাদি ব্যবসায় উদ্যোগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।

অনুকূল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি: আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালনা সহজ হয়। অন্যদিকে অস্থিতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে। ঘন ঘন হরতাল, অবরোধ, চাদাঁবাজি ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দলাদলি কোন নতুন উদ্যোক্তাকে সামনে অগ্রসর হতে নিরুৎসাহিত করে।

পর্যাপ্ত পুঁজির প্রাপ্যতা: যে কোনো ব্যবসায় উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ পুঁজি বা মূলধন। মূলধনের স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। এজন্য দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে যাতে করে নতুন উদ্যোক্তারা পূঁজির যোগান পেতে পারে।

প্রশিক্ষণের সুযোগ: কোনো বিশেষ কাজ যথার্থভাবে সম্পাদন করার স্বার্থে এবং জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ একান্ত প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধি করে। অনেক উদ্যোক্তার মধ্যে সফল উদোক্তার বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ও গুণ জন্মগতভাবেই থাকে। কিন্তু অনেক সময় উদ্যোক্তা নিজেই নিজের গুণগুলো সম্পর্কে জানে না।

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিদ্যমান গুণগুলোকে আরো শাণিত করা যায় এবং যে দক্ষতাগুলো প্রয়োজন সেগুলো অর্জন করা যায়। এভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যবসায়ের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৩. বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিবেশের উপাদান বর্ণনা

পরিবেশ দ্বারা মানুষের জীবনধারা, আচার-আচরণ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং ব্যবসা প্রভাবিত হয়। পরিবেশ হলো কোনো অঞ্চলের জনগণের জীবনধারা ও অর্থনৈতিক কার্যাবলিকে প্রভাবিত করে এমন সব উপাদানের সমষ্টি। পারিপার্শ্বিক উপাদানের মধ্যে রয়েছে ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, নদ-নদী, পাহাড়, বনভূমি, জাতি, ধর্ম, শিক্ষা ইত্যাদি। যে সব প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা ব্যবসায়িক সংগঠনের গঠন, কার্যাবলি, উন্নতি ও অবনতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয় সেগুলোর সমষ্টিকে ব্যবসায়ির পরিবেশ বলে। কোনো স্থানের ব্যবসায় ব্যবস্থার উন্নতি নির্ভর করে ব্যবসায়িক পরিবেশের উপর। বহু প্রকারের ব্যবসায়িক পরিবেশ দেখতে পাওয়া গেলেও ব্যবসায়িক পরিবেশের উপাদান গুলোকে প্রধানত ছয়ভাগে ভাগ করা যায়।

ক. প্রাকৃতিক পরিবেশ

খ. অর্থনৈতিক পরিবেশ

গ. রাজনৈতিক পরিবেশ

ঘ. সামাজিক পরিবেশ

ঙ.আইনগত পরিবেশ

চ. প্রযুক্তিগত পরিবেশ

প্রাকৃতিক পরিবেশঅর্থনৈতিক পরিবেশসামাজিক পরিবেশরাজনৈতিক পরিবেশআইনগত পরিবেশপ্রযুক্তিগত পরিবেশ
ক. জলবায়ু,
খ. ভূমি,
গ. প্রাকৃতিক সম্পদ,
ঘ. নদ-নদী,
ক. সঞ্চয় ও বিনিয়োগ,
খ. মূলধন
গ. অর্থ ব্যাংকিং
ক. জাতি,
খ. ধর্মীয় বিশ্বাস,
গ. মানব সম্পদ,
ঘ. শিক্ষা ও সাংষ্কৃতি,
ঙ. ঐতিহ্য ,
ক. সরকার,
খ. সার্বভৌমত্ব,
গ. আইন শৃঙ্খলা
ঘ. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা,
ঙ. সরকারি নীতিমালা,
চ. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক,
ক. বাণিজ্যিক আইন,
খ. শিল্প আইন,
গ. পরিবেশ সংরক্ষণ আইন,
ঘ. ভোক্তা আইন,
ক. প্রযুক্তি শিক্ষা,
খ. কারিগরি দক্ষতা,
গ. উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান,
ঘ. প্রযুক্তি আমদানির সুযোগ সুবিধা,
ঙ. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি,

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১. প্রাকৃতিক পরিবেশ ঃ কোন দেশের জলবায়ু, ভূ-প্রকৃতি, মৃত্তিকা, নদ নদী, আয়তন, অবস্থান ইত্যাদি সমন্বয়ে যে পরিবেশ গড়ে উঠে তাকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিচিত্র ধরনের। এ সকল উপাদানের পার্থক্য হেতু দেশের ব্যবসায় কার্যকলাপও ভিন্নতর হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পাট শিল্প, নরওয়েতে মৎস্য শিল্প, কুয়েতে পেট্রোলিয়াম শিল্প গড়ে উঠার পিছনে এরূপ কারন বিদ্যমান।

২. অর্থনৈতিক পরিবেশ ঃ জনগনের আয় ও সঞ্চয়, অর্থ ও ঋণ ব্যবস্থা, বিনিয়োগ, মূলধন ও জনসম্পদ ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে কোন দেশে যে পরিবেশের সৃষ্টি হয় তাকে অর্থনৈতিক পরিবেশ বলে।

৩. সামাজিক পরিবেশ ঃ কোন দেশের সামাজিক পরিবেশ সেদেশের মানুষের আচার আচরন, অভ্যাস, রুচি, পছন্দ- অপছন্দ, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সামাজিক, সাস্কৃতিক ও ধর্মীয়, শিক্ষা, ঐতিহ্য ইত্যাদি উপাদানে গঠিত হয়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ যত বেশী অনুকূল ও উদার হবে ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রসারও তত দ্রুত হবে।

৪. রাজনৈতিক পরিবেশ ঃ ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রসার ও উন্নয়নে রাজনৈতিক পরিবেশের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের কাঠামো ও স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক মতাদর্শ, সুষ্ঠুআইন শৃংখলা পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং অনুকূল শিল্প ও বাণিজ্য নীতি, প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের সাথে সুসম্পর্ক ব্যবসায় বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করে।

৫. প্রযুক্তিগত পরিবেশ ঃ বর্তমানকালে ব্যবসায়ের উপর প্রযুক্তিগত পরিবেশের ব্যাপক প্রভাব লক্ষণীয়। বিজ্ঞান ও কারিগরী শিক্ষা, এতদসংক্রান্ত গবেষণা, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রযুক্তি আমদানির সুযোগ ইত্যাদি মিলিয়ে সৃষ্ট পরিবেশকে প্রযুক্তিগত পরিবেশ বলে।

৬. আইনগত পরিবেশ ঃ জনগনের কল্যাণে সরকার নানান ধরনের আইন পাস করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও নানান সুযোগ সুবিধা অর্জনের জন্য আইন পাস করা হয়। আর এ আইনের বেড়াজালের মধ্য থেকেই ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই সকল আইনের সম্মিলনে যে পরিবেশ গড়ে উঠে তাকে আইনগত পরিবেশ বলে।

৪.উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রকারভেদ বর্ণনা

বড় বড় উদ্যোক্তা যারা পৃথিবীতে সফল হয়েছেন তাদের দিকে দৃষ্টি দিলে আমরা দেখতে পাই, মানুষের সমস্যাকে নিজের সমস্যা হিসাবে দেখেছেন। তাদের সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে মানুষের উপকারের কথা চিন্তা করেছেন, কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়। সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে কত মানুষ উপকৃত হয় তা নিয়ে ভেবেছেন। এভাবে উদ্যোক্তারা অন্যের প্রয়োজন মেটাতে এগিয়ে এসেছেন। যেমন ফেসবুকের প্রতিষ্টাতা মার্ক জুকারবার্গ তার পুরনো সহপাঠীদের মধ্যে যারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে যোগাযোগ ও লেখা-পড়া করতে পারছিলেন না।

আবার অনেক সহপাঠিই তাদের নিকট আত্মীয় তাদের কাছে আসতে ও দেখা করতে পারতো না। এসব বিষয় তিনি লক্ষ্য করলেন এবং দূর থেকে তাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সাথে সহজে যোগাযোগ করা যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং পরবর্তী ফেসবুকের মত একটি সামাজিক যোগাযোগ সাইটের সৃষ্টি হয়।

আমার মতে উদ্যোক্তা মোট তিন প্রকার। যথা:
১. ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা
২. সামাজিক উদ্যোক্তা
৩. সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তা
    
যখন কোনো ব্যক্তি ব্যবসার মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং নিজের প্রতিষ্ঠানে অন্যের কর্মস্থান সৃষ্টি করে তখন তাকে আমরা ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা বলে থাকি। পৃথিবীর সকল সফল ব্যবসায়ী এক একজন সফল উদ্যোক্তা। ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বেকার সমস্যার সমাধান ও দেশে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সৃষ্টির ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখে। একটি দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন, বিনিয়োগ, বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন, প্রযুক্তি বিনিময় ইত্যাদি অনেকাংশে নির্ভর করে ব্যবসায়িক উদ্যোক্তার ওপর।

সামাজিক উদ্যোক্তা সমাজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যেমন- এনজিও, ফাউন্ডেশন, মিশন, ট্রাস্ট, সংগঠন ইত্যাদি সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজ সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করে এবং নিজের সৃষ্টি প্রতিষ্ঠান অন্যের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মানবিক সেবা তৈরিতে এই সামাজিক উদ্যোক্তাদের দ্বারা সৃষ্ঠ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জনগণের প্রকৃত সেবা তৈরি পাশাপাশি সামাজিক সমস্যা সমাধান ও সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

সামাজিক ব্যবসাও সামাজিক উদ্যোক্তার হাত ধরে হয়ে থাকে। সামাজিক উদ্যেক্তারা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে সমাজের চিন্থিত মানবিক সমস্যাগুলো সমাধান করে জনগণের জন্য কল্যাণকর ব্যতিক্রমধর্মী মানবিক ও সামাজিক সেবা সৃষ্টি করে জনগণকে সামাজিক সমস্যাগুলোকে চিরতরে মুক্তি দিতে পারে।  

সামাজিক ব্যবসা একটি শক্তিশালী মানবকর্ম। সামাজিক উদ্যোক্তারা সমাজের দর্পণ স্বরূপ। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ যখন নিজের কর্ম নিয়ে ব্যস্ত তখন সেই একই সমাজের নিবেদিত একটি নিঃস্বার্থ, পরোপকারী শ্রেণী সামাজিক উদ্যোক্তা হিসাবে আবির্ভাব হয়, যাদের প্রধান লক্ষ্য বিশ্বকে একটি শান্তিময় স্থান হিসাবে তৈরি এবং সামাজিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ও পুঁজি সৃষ্টি করে জনগণকে প্রকৃত সেবা দেওয়া।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে লাইক পেজ : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

আমাদের YouTube এবং Like Page

0 Comments

আমাদের সাথে থাকুন

Advertisement 2

Advertisement 3

Advertisement 4