এইচএসসি ২০২১ যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

এইচএসসি ২০২১ যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ এইচএসসি ২০২১ যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
শ্রেণি: HSC -2021 বিষয়: পৌরনীতি ও নাগরিকতা / Civics and Citizenship এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04 বিষয় কোডঃ 122
বিভাগ: মানবিক

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ জানা থেকে অজানায় গমনই প্রকৃত আরােহের প্রাণধারণাটির যৌক্তিক বিশ্লেষণ।

বিষয়বস্তু

  • ১. প্রকৃত আরােহের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • ২. প্রকৃত আরােহের প্রকারভেদ বর্ণনা করতে পারবে
  • ৩. বৈজ্ঞানিক আরােহের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • ৪. বৈজ্ঞানিক আরােহের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে পারবে
  • ৫. অবৈজ্ঞানিক আরােহের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • ৬. বৈজ্ঞানিক আরােহের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে পারবে
  • ৭. বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক আরােহের সম্পর্ক মূল্যায়ন করতে পারবে

নির্দেশনা

  • ক) আরােহমূলক লম্ফ, প্রকৃত আরােহ ও প্রকৃত আরােহের প্রকারভেদ উপস্থাপন
  • খ) বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক আরােহের সংজ্ঞা উদাহরণসহ লেখা
  • গ) বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক আরােহের সংজ্ঞা দিয়ে সম্পর্ক ব্যাখ্যা
  • ঘ) জানা থেকে আজানায় গমনই প্রকৃত আরােহের প্রাণ- ধারণাটির যৌক্তিকতা নিরূপন ও নিজস্ব মত উপস্থাপন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • ক) আরােহমূলক লম্ফ, প্রকৃত আরােহ ও প্রকৃত আরােহের প্রকারভেদ উপস্থাপন

কতিপয় বিশেষ দৃষ্টান্ত থেকে একটি সার্বিক সিদ্ধান্ত স্থাপন করার প্রক্রিয়াই হলাে আরােহমূলক লম্ফ। আরােহ অনুমানে আমরা কিছু থেকে ‘সকলে, জানা থেকে অজানায়, নিরীক্ষিত থেকে অনিরীক্ষিততে পদার্পণ করি। এভাবে কতিপয় জানা ঘটনাকে ভিত্তি করে অজানা ঘটনায়, বিশেষ থেকে সার্বিক ঘটনায় উত্তরণ প্রক্রিয়াকে আরোহমূলক লম্ফ বলে। যেমন- আমার চারপাশে যত কাক দেখেছি সেগুলাে সব কালাে। আমার এই অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, সকল কাক হয় কালাে’ । এরূপ বিশেষ থেকে সার্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে বলে আরােহমূলক লম্ফ।

আরােহ হলাে যুক্তিবিদ্যার অন্যতম মৌলিক আলােচনা । গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলের দর্শনে আমরা আরােহের বিষয় নিয়ে আলােচনা দেখতে পাই । পরবর্তীতে আধুনিক পাশ্চাত্য দার্শনিক বেকন , মিল , যুক্তিবিদ হয়েস , বেইন , কার্ভেথ রীড , অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক ডেভিড হিউম প্রমুখের চিন্তা – চেতনায় আরােহ সম্পর্কিত আলােচনা বিকশিত হয় । তাদের চিন্তা চেতনায় আমরা দেখতে পাই , আরােহ অনুমান অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুমান । এ অনুমানের বাস্তবতা নির্ভর করে ঘটনার পর্যবেক্ষণের উপর ।

আরােহ অনুমানের আশ্রয়বাক্যগুলাে প্রকৃতি নির্ভর । বিশেষ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে সার্বিক সংশ্লেষক বাক্য স্থাপন করাই আরােহের প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য । গতানুগতিক যুক্তিবিদেরা অবরােহের মতাে আরােহের ব্যাপারেও অনুমানের ক্ষেত্রে সর্বশেষ গুরুত্ব আরােপ করেন । আরােহ শব্দের ইংরেজি শব্দ ‘ Induction বা ল্যাটন শব্দ Epagogue ( এপাগগ ) থেকে উদ্ভূত । যুক্তিবিদ্যার জনক গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল ( খ্রি.পূ : ৩৮৪-৩২২ ) এ শব্দের উদ্ভাবক । আরােহ হচ্ছে বিশেষ আশ্রয়বাক্যের উপর ভিত্তি করে সার্বিক সিদ্ধান্তে পৌছার পদ্ধতি । এরিস্টটল মনে করেন , বিশেষ দৃষ্টান্তের সাহায্যে সার্বিক যুক্তিবাক্য প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়াকে আরােহ বলে ।

আরােহের লক্ষ্য হলাে বস্তুগত সার্বিক সত্য প্রতিষ্ঠা করা । বিভিন্ন যুক্তিবিদ বিভিন্নভাবে আরােহের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।

১। যুক্তিবিদ মিলের মতে , “ আরােহ হচ্ছে মনের সেই প্রক্রিয়া যার সাহায্যে আমরা অনুমান করি যে , যাকে আমরা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সত্য বলে জানি তা সব ক্ষেত্রেই সত্য হবে।

২l যুক্তিবিদ ফাউলার – এর মতে , “ আরােহ হলাে বিশেষ থেকে সার্বিক অথবা কম ব্যাপক থেকে বেশি ব্যাপক বাক্যের একটি বিধিসঙ্গত অনুমান । “

৩। যুক্তিবিদ যােসেফের মতে , “ বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্তের সাদৃশ্য বিচার – বিশ্লেষণের মাধ্যমে সার্বিক দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠার সারধর্মকে আরােহ বলে ।

৪। যুক্তিবিদ কার্ভেথ রীড বলেন , “ আরােহ বলতে আমরা বুঝি এমন একটি অনুমান যেখানে প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতায় বিশ্বাস স্থাপন করে পর্যবেক্ষণের ওপর নির্ভর করে আমরা সার্বিক সংশ্লেষক যুক্তিবাক্যে পদার্পণ করি ।

আরােহের প্রকারভেদ নিয়ে যুক্তিবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে যুক্তিবিদ মিল প্রদত্ত আরােহের প্রকারভেদই অধিকতর গ্রহণযােগ্য । যুক্তিবিদ মিল আরােহকে প্রথমত দুই ভাগে ভাগ করেন। যথা :

( ক ) প্রকৃত আরােহ ( Induction Proper )
( খ ) অপ্রকৃত আরােহ ( Induction Improper )।

প্রকৃত আরােহ : যে আরােহে আরােহের প্রকৃত গুণ এবং প্রধান মৌলিক বৈশিষ্ট্য বর্তমান থাকে তাকে প্রকৃত আরােহ বলে । অর্থাৎ যে আরােহে আরােহমূলক লক্ষথাকে তাকে প্রকৃত আরােহ বলে । প্রকৃত আরােহকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয় । যথা :

  • ১। বৈজ্ঞানিক আরােহ ( Scientific Induction )
  • ২। অবৈজ্ঞানিক আরােহ ( Unscientific Induction ) এবং
  • ৩। সাদৃশ্যমূলক অনুমান ( Analogy )

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • খ) বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক আরােহের সংজ্ঞা উদাহরণসহ লেখা

বৈজ্ঞানিক আরােহঃ বৈজ্ঞানিক আরােহ (Scientific Induction)ঃআরােহ অনুমানের যে প্রক্রিয়ায় প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি ও কার্যকারণ নিয়মের উপর নির্ভর করে কয়েকটি বিশিষ্ট দৃষ্টান্তের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একটি সার্বিক সংশ্লেষক যুক্তিবাক্য স্থাপন করা হয় তাকে বৈজ্ঞানিক আরােহ বলে। বৈজ্ঞানিক আরােহে অন্যান্য আরােহের ন্যায় কেবল বিশেষ কয়েকটি দৃষ্টান্ত নিরীক্ষণের অভিজ্ঞতা থেকেই সিদ্ধান্ত টানা হয় না।

এক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে কার্যকারণ সার্কও স্থাপন করা হয়। রেহানা হয় মরণশীল,রাজিব হয় মরণশীল।

সকল মানুষ হয় মরণশীল। আলােচ্য দৃষ্টান্তে রাসেল, রাহেলা, রেহানা, রাজিব প্রমুখ কতিপয় ব্যক্তি মানুষের মৃত্যুর বাস্তব ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে মানুষ ও মরণশীলতার মধ্যে একটি কার্যকারণ আবিষ্কার পূর্বক প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতির উপর নির্ভর করে সব মানুষের মরণশীলতা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত অনুমান করা হয়েছে। সুতরাং এটি বৈজ্ঞানিক আরােহের একটি যথার্থ দৃষ্টান্ত।

অবৈজ্ঞানিক আরােহের সংজ্ঞাঃ অবৈজ্ঞানিক আরােহের সংজ্ঞা ও উদাহরণ (Definition and Example of Unscientific Induction) যে আরােহ অনুমানে কার্য-কারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা না করে শুধুমাত্র প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি ও অবাধ বা বিরােধহীন অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্তে একটি সার্বিক সংশ্লেষক যুক্তিবাক্য স্থাপন করা হয় তাকে অবৈজ্ঞানিক আরােহ বলে।

এ অনুমান প্রক্রিয়ায় কার্য-কারণ সম্পর্ক নির্ণয়ের প্রচেষ্টা নেই বলেই এটিকে অবৈজ্ঞানিক আরােহ বলা হয়। আবার এর সিদ্ধান্তে যে সার্বিক যুক্তিবাক্যটি স্থাপন করা হয় তার অন্তর্গত সকল দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ না করে অল্প সংখ্যক সমজাতীয় দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে সার্বিকীকরণ করা হয় বলে একে অপূর্ণ গণনামূলক আরােহও বলা হয়ে থাকে। দৃষ্টান্ত কখনাে দেখিনি। সুতরাং ঘটনাটি সত্য।’

অবৈজ্ঞানিক আরােহের উদাহরণঃ আমি এ পর্যন্ত যত বক দেখেছি, এর সব গুলােই সাদা রঙের দেখেছি, একটি বকও অন্য রঙের দেখিনি। আমার এই বিরােধহীন ও ব্যতিক্রমহীন অভিজ্ঞতা থেকেই অনুমান করলাম যে, ‘সকল বক হয় সাদা’। অর্থাৎ কেবলমাত্র অবাধ বা বাধাহীন অভিজ্ঞতা ও প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতির উপর বিশ্বাস স্থাপন করে আমি একটি সার্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম।

এক্ষেত্রে বক কেন সাদা হলাে তা নির্ণয়ের বা কার্য-কারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়নি। তাই আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণের এ প্রক্রিয়াটি হলাে অবৈজ্ঞানিক আরােহ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • গ) বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক আরােহের সংজ্ঞা দিয়ে সম্পর্ক ব্যাখ্যা

বৈজ্ঞানিক আরােহ ও অবৈজ্ঞানিক আরােহের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে গেলে বিষয় দুটিকে সাদৃশ্য , পার্থক্য এবং পরস্পর নির্ভরশীলতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করতে হয় ।

এই হিসাবে বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক আরােহের সম্পর্ক নির্ণয় করতে গিয়ে আমরা যে সাদৃশ্য ও পার্থক্যগুলাে দেখতে পাই সেগুলাে নিম্নররূপে বর্ণনা করা গেল :

সাদৃশ্যঃ

১. বৈজ্ঞানিক আরোহ যেমন প্রকৃত আরোহ তেমনি অবৈজ্ঞানিক আরোহ প্রকৃত আরোহের অন্তর্গত একটি অন্যতম প্রকরণ।

২. বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক আরোহ উভয়েরই লক্ষ্য থাকে সিদ্ধান্ত হিসাবে একটি সার্বিক সংশ্লেষক বাক্য প্রতিষ্ঠা করা।

৩. বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক আরোহ নির্বিশেষে উভয়েই পর্যবেক্ষণ এবং প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতির উপর নির্ভরশীল।

৪. বৈজ্ঞানিক আরোহের মতো অবৈজ্ঞানিক আরোহ পদ্ধতিতেও রয়েছে প্রকৃত আরোহের মূল বৈশিষ্ট্য আরোহমূলক লম্ফ। 

৫. বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক উভয় প্রকার আরোহের সিদ্ধান্ত সব সময় সার্বিক যুক্তিবাক্য হয়ে থাকে।

বৈসাদৃশ্য 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১. মূলনীতি প্রয়োগের পার্থক্যঃ বৈজ্ঞানিক আরোহে প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি এবং কার্য-কারণ নীতি এ দু’টি পরম নিয়মের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত হিসাবে সার্বিক সংশ্লেষক বাক্যপ্রতিষ্ঠা করা হয়। পক্ষান্তরে, অবৈজ্ঞানিক আরোহে শুধু প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি ব্যবহার করে সার্বিক সংশ্লেষক সিদ্ধান্ত স্থাপন করা হয়।

২. নিশ্চয়তার মাত্রাগত পার্থক্যঃ বৈজ্ঞানিক আরোহে কার্য-কারণ সম্পর্ক স্থাপন করা হয় বলে এর সিদ্ধান্ত নিশ্চিত। অপরপক্ষে অবৈজ্ঞানিক আরোহের সিদ্ধান্ত কার্য-কারণের উপর ভিত্তি করে হয় না বলে এর সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য।

৩. অপনয়ন সুত্র প্রয়োগের পার্থক্যঃ বৈজ্ঞানিক আরোহ বিশ্লেষণের সাহায্যে গ্রহণ করা হয় বলে এই পদ্ধতিতে অপনয়নের মাধ্যমে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো বাদ দেয়া হয়।অপরপক্ষে, অবৈজ্ঞানিক আরোহে বিশ্লেষণের কোন প্রচেষ্টা অবৈজ্ঞানিক আরোহে বিশ্লেষণের কোন প্রচেষ্টা থাকে না বলে এতে অপনয়নের সূত্র প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না।

৪. স্তর অতিক্রমের পার্থক্যঃ বৈজ্ঞানিক আরোহের বেলায় নিরীক্ষণ, বিশ্লেষণ, অপণয়ন, প্রকল্প গঠন, সার্বিকীকরণ এবং সিদ্ধান্ত প্রণয়নের বিভিন্ন স্তরগুলো অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক আরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত টানতে হলে এসব স্তর অতিক্রম করতে হয় না। শুধু প্রতিক‚ল দৃষ্টান্তবিহীন অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এর সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়।

৫. দৃষ্টান্তের পর্যবেক্ষণের পার্থক্যঃ বৈজ্ঞানিক আরোহে সদর্থক ও নঞর্থক উভয় প্রকার দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে সার্বিক সংশ্লেষক সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক আরোহে শুধু সদর্থক দৃষ্টান্তগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ঘ) জানা থেকে আজানায় গমনই প্রকৃত আরােহের প্রাণ- ধারণাটির যৌক্তিকতা নিরূপন ও নিজস্ব মত উপস্থাপন

জানা থেকে অজানা গমনে প্রকৃত আরোহের প্রান নিম্নে তা ব্যাখ্যা করা হলো :

এটি ব্যাখ্যা করার জন্য প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে প্রকৃত আরোহ বলতে কি বুঝায়। আরােহে আরােহের প্রকৃত গুণ এবং প্রধান মৌলিক বৈশিষ্ট্য বর্তমান থাকে তাকে প্রকৃত আরােহ বলে। অর্থাৎ যে আরােহে আরােহমূলক লক্ষ থাকে তাকে প্রকৃত আরােহ বলে।

জানা থেকে অজানায় গমন প্রকৃত আরােহের প্রাণ ধারণার যৌক্তিকতা নিরূপণ- ” আবােহ অনুমানের জানা আশ্রয়বাক্য থেকে অজানা সিদ্ধান্তে যাওয়ার প্রক্র্যিাকে । আরােহমূলক লম্ফ বলে । যেমন- x , yও z নামক ব্যক্তির মৃত্যু দেখে সকল মানুষ হয় মরণশীল ‘ এরূপ অনুমান করার প্রবণতা হলাে আরােহমূলক লম্ফ । আরােহমূলক লক্ষ ছাড়া প্রকৃত আরােহের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না । এ কারণে আরােহমূলক লম্ফকে আরােহের প্রাণ বলা হয়। আরােহে আমরা জানা থেকে অজানায় গমন করি অর্থাৎ দেখা ঘটনা থেকে অদেখা বিশেষ দৃষ্টান্তসমূহ প্রত্যক্ষ করি এবং তা থেকে সার্বিক সিদ্ধান্ত অনুমান করি । এভাবে আমরা জানা থেকে অজানার উদ্দেশ্য লক্ষ্য প্রদান করি । এই লক্ষ্য প্রদানে ঝুঁকি আছে । কিন্তু তা সত্ত্বেও মিল এবং বেইন মনে করেন যে , আরােহমূলক লক্ষ্য হচ্ছে আরােহের প্রাণ। যে অনুমানে এই বৈশিষ্ট্যটি নেই , সে অনুমান আরােহ নয় ।

আরােহ দু’টো পূর্ব অনুমানের উপর নির্ভর করে । যথা-

( ১ ) প্রাকৃতির রাজ্যের নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না । প্রথমেই এই সত্যটা স্বীকার করে নিলে আরােহ জানা থেকে অজানায় বিশেষ থেকে সার্বিক সিদ্ধান্তে আমরা যেতে পারিনা । প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতিতে বিশ্বাসের ফলেই আমরা বিশেষ কয়েকটা দৃষ্টান্ত দেখে সার্বিক সিদ্ধান্ত অনুমান করতে পারি । প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নিয়মের ভিত্তিতে সার্বিক সিদ্ধান্ত উপনীত হবার আগে অবশ্যই কার্যকারণ নিয়মের ভিত্তিতে কার্যকারণ সম্পর্কটা আবিষ্কার করতে হবে।

( ২ ) কার্যকারণ নিয়মের অর্থ হচ্ছে : প্রতিটি ঘটনারই একটি বিশেষ কারণ আছে । সমস্ত পার্থিব ব্যাপারই কার্যকারণ সম্পর্কযুক্ত । যেমন , কার্যকারণ নিয়মের ভিত্তিতেই আমরা মানুষ ‘ ও ‘ মরণশীলতা’র মধ্যে একটা কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কার করি । এর পরেই আমরা প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি আবিষ্কার করি । এর পরেই আমরা প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতির উপর ভিত্তি করে আরও অনুমান করতে পারি যে , সকল মানুষ হয় মরণশীল ‘ । উপরােক্ত আলােচনা থেকে দেখা যায় যে” জানা থেকে অজানা গমন করা হয় তাই এটিকে প্রকৃত আরােহের প্রাণ “-উক্তিটি যথার্থ বলে আমি মনে করি ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট , ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

Post a Comment

আমাদের সাথে থাকুন
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!