সফলতা অর্জনের উপায় প্রসঙ্গ সবর
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
(ক)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ (153)
"হে বিশ্বাসীগণ! ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে তোমরা আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গী।" (২:১৫৩)
মানুষের জীবনে অনেক সংকট ও সমস্যা আসে। সেগুলো মোকাবেলা করার শক্তি যদি তার না থাকে তাহলে বলতে হবে সে ব্যর্থ। কিন্তু ঈমানদার মানুষ এইসব বাধা বিপত্তির মোকাবেলায় দু'টি কাজ করে। তারা বিপদ ও সংকটের সময় ধৈর্য ধারণ করে এবং নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য কামনা করে। অর্থাৎ ঈমানদার নিজের ভেতরের শক্তি ও পাশাপাশি আল্লাহর অসীম শক্তির ওপর নির্ভর করে বিপদ মোকাবেলা করে। আল্লাহও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি ধৈর্যশীল নামাজীদের সহায়তা করবেন এবং সর্বাবস্থায় তিনি তাদের সাথে থাকবেন। আর বিপদের সময় আল্লাহর সাহায্যের চেয়ে বড় আর কি হতে পারে?
এরপর ১৫৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে-
وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَكِنْ لَا تَشْعُرُونَ (154)
"আল্লাহর পথে যারা নিহত হয়, তাদের মৃত বল না। তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝতে পার না।" (২:১৫৪)
আগের আয়াতে ধৈর্য ও প্রতিরোধের কথা বলার পর এই আয়াতে আল্লাহর পথে জিহাদ ও শাহাদত সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়েছে, মানুষের জীবনে আর্থিক ও নানা ধরনের সংকট আসতে পারে। তবে এক শ্রেণীর কপট ও বিভ্রান্ত মানুষ নিজেরা তো জিহাদ বা আল্লাহর পথে সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করেই না বরং তারা অন্যদেরকে বিভিন্ন কৌশলে এ পথ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। তারা আল্লাহর রাস্তায় শহীদদের সম্পর্কে বলে থাকে, আহা এই লোকটি অনর্থক নিজের জীবনটা নষ্ট করল। বদরের যুদ্ধে চৌদ্দ জন মুসলমান শহীদ হয়েছিলেন। তখন কেউ কেউ শহীদদেরকে মৃত বলে উল্লেখ করেছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়, এবং মুসলমানদেরকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, শহীদদেরকে মৃত বলা যাবে না বরং তারা জীবিত, যা মানুষের পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।
সূরা বাকারাহ'র ১৫৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ (155)
"নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা, জান ও মাল এবং ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করব। (হে পয়গম্বর!) আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন।"(২:১৫৫)
এই পার্থিব জগত হলো একটি পরীক্ষার জায়গা। আল্লাহ তা'লা প্রত্যেক মানুষকেই পরীক্ষা করেন। তবে সবার পরীক্ষা একই স্তরের নয়। আল্লাহ যাকে যেমন জ্ঞান, মেধা এবং জীবনোপকরণ দিয়েছেন তাকে ঠিক তার অনুপাতেই পরীক্ষা করা হবে। সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কিংবা জালেমের হাত থেকে মজলুমকে উদ্ধার করার জন্য যুদ্ধে যাওয়ার বিষয়টিও একটি পরীক্ষা। আল্লাহ পাক দেখতে চান মানুষ তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে কি না। এছাড়া আর্থিক অনটন, দারিদ্র, জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি এসবই পরীক্ষা হিসেবে মানুষের জীবনে আসে। মানুষ এসব বালা-মুসিবতের সময় কি ধরনের আচরণ করে তাই পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। তবে আল্লাহ তা'লা মানুষকে পরীক্ষা করার অর্থ এই নয় যে, তিনি মানুষকে চেনেন না, মানুষের প্রকৃতি তাঁর জানা নেই। এর অর্থ হচ্ছে- আল্লাহ পাক মানুষকে পরীক্ষার মাধ্যমে তার ভেতরে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে চান এবং মানুষকে পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পুরস্কার লাভের উপযোগী করতে চান।
এর পরের আয়াত অর্থাৎ ১৫৬ নং আয়াতে আল্লাহ পাক বলেছেন-
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
(খ)
আমরা অনেকেই মনে করি সবর শুধুমাত্র কষ্ট ও বিপদের সময় প্রয়োজন হয়। কিন্তু আসলে তা নয়। বরং ভালো ও সত্য পথে চলার ধারা বজায় রাখতে সবরের প্রয়োজনীয়তা আরো বেশী। কিছুদিন খুব ভালো হয়ে হকের পথে থাকলাম কিন্তু কয়েকদিন যাওয়ার পর এই অবস্থান ধরে রাখতে না পেরে আবার আগের অবস্থায় চলে যায়।
সবর তিন প্রকার। যথা :
প্রথম : আল্লাহ তা’আলার আদেশ-নির্দেশ পালন ও ইবাদত-বন্দেগী সম্পাদন করতে গিয়ে ধৈর্য ধারণ করা।
দ্বিতীয় : আল্লাহ তা’আলার নিষেধ এবং তার বিরুদ্ধাচরণ থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে অটুট ধৈর্য রাখা। এবং
তৃতীয় : তাকদীর ও ভাগ্যের ভালো-মন্দে অসন্তুষ্ট না হয়ে ধৈর্য্য ধরা।
ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ তাকদীর। ঈমান অপূর্ণ রয়ে যাবে যদি ভাগ্যের ভালো মন্দের উপর বিন্দু পরিমান অনাস্থা থাকে। সবরের উপর ইস্তেকামাত বা সুদৃঢ় থাকার পিছনে যে শর্ত বিরাট ভুমিকা রাখে তা হলো তাকদিরে পূর্ণ আস্থা রাখা। তাই এই বিষয়টিকে তুলে ধরার হলো প্রথমেই।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
(গ)
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের ধৈর্যশীলদের অফুরন্ত প্রতিদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদেরকে অপরিমিত পুরস্কার পুরোপুরিভাবেই দেয়া হবে।’ (সুরা যুমার : আয়াত ১০)
বিপদ-আপদে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাই সবর বা ধৈর্যধারণের শেষ কথা নয়; বরং ইসলামের বিধান পালনে ধৈর্য ধারণ করা অনেক জরুরি। অর্থাৎ সবর সফলতা লাভের মূলমন্ত্র হওয়ার বাস্তব ও যুক্তিসঙ্গত কারণ হলো- ইসলাম যে রুকনগুলোর ওপর প্রতিষ্ঠিত, সেগুলো পালন করার জন্য সবরের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
মানুষ ঈমান গ্রহণ থেকে শুরু করে সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠা; জাকাত আদায়ের ব্যবস্থা; মাসব্যাপী কামরিপু নিবারণ ও উপবাস করে রোজা পালন; অর্থ ও কষ্ট সহ্য করে হজ পালন করা মহা ধৈর্যের ব্যাপার।
দুনিয়ায় ধর্মীয় রীতি-নীতি না মেনে জীবন-যাপন যেমন আনন্দদায়ক; ঠিক ধর্মীয় নীতি-রীতি মেনে জীবন পরিচালনা করা অনেক কষ্টকর। তাই ইসলামের বিধান পালনে ধৈর্যধারণ করা আবশ্যক।
এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবর বা ধৈর্যধারণকে ঈমানের পরিচায়ক বলে উল্লেখ করেছেন। সবরের গুরুত্ব তুলে ধরে বিশ্বনবি বলেন, ‘ধৈর্যের বিনিময় হলো জান্নাত।’
আল্লাহ তাআলাও ধৈর্যধারণকারীদের শ্রেষ্ঠ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। সুরা নাহলের ৯৬নং আয়াতে এসেছে, ‘যারা ধৈর্যধারণ করে আমি নিশ্চয়ই তাদেরকে তারা যে কাজ করে তা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব।’
পরিশেষে...
উল্লেখিত কুরআনের আয়াত ও হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, সত্যিকারার্থে মানব জীবনে সফলাতা লাভের অন্যতম মাধ্যম হলো সবর বা ধৈর্যধারণ করে দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ ইসলামের নিয়মানুযায়ী যথাযথ পালন করা।
সবর বা ধৈর্য ছাড়া যেমন ঈমানের পরিপূর্ণতা আসে না। ঠিক তেমনি নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের বিধান পালনেও ধৈর্যের বিকল্প নেই।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার সব বিপদাপদে ইসলামের বিধান পালনে ধৈর্যধারণ করে পরকালের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট , ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট