এসএসসি ভোকেশনাল ৯ম শ্রেণির এগ্রোবেসড ফুড-২ ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট ৩য় সপ্তাহের সমাধান/উত্তর ২০২১

অ্যাসাইনমেন্ট: ফল ও সবজির পরিচিতিকরণ

শিখনফল: 

  • ফল ও সবজির পরিচিতি সম্পর্কে জানতে পারবে

নির্দেশনা :

  • ফল ও সবজির পরিচিতি
  • ফল ও সবজির অর্থনৈতিক গুরুত্ব
  • ফল ও সবজির সংগ্রহোত্তর পোকামাকড় ও জীবাণু র আক্রমণ সম্পর্কে বর্ণন

উত্তর সমূহ:

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে লাইক পেজ : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • ফল ও সবজির পরিচিতি

ফল

ফল শব্দটি বিভিন্ন পরিস্থিতে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়। যেমন খাবার তৈরিতে এবং আর জীববিজ্ঞানে ব্যবহৃত ফল শব্দটি সমার্থক নয়। ফল বলতে কোন সপুষ্পক উদ্ভিদ, যা বীজ ছড়ায়। এ বীজ গাছে থাকলে তাকে অনেক সময় ফল বলা যায় আবার বীজ ফলের মধ্যও অবস্থান করে তবে সকল বীজই ফল হতে আসে না।আবার কোনো কোন ফল ফুল থেকে নাও হতে পারে।

উদ্ভিদবিজ্ঞানের ফল এবং রান্নার ফল

ভ্যান চিত্রে রান্নার সবজি এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান এর ফলের মধ্যে সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। এমন কিছু সবজি আছে যেমন টমেটো যা দুটো ভাগেই পরে।

উদ্ভিদবিজ্ঞানের মতে ফল এমন অনেক ফলই রান্নায় বা খাবার তৈরিতে সবজি হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এগুলো মিষ্টি নয়। এ ধরনের ফলের মধ্যে রয়েছে, টমেটো, বেগুন, মটরশুটি, সিম, ভুট্টা, কুমড়া, লাউ, নানা ধরনের মরিচ এবং মসলা ইত্যাদি। এমন খুব কম রান্নার ফল রয়েছে যা উদ্ভিদবিজ্ঞানের মতে ফল নয়।

শাক সবজি

শাক সবজি সাধারনভাবে মানুষের খাদ্যপোযোগী উদ্ভিদ ও তার অঙ্গসমূহকে শাকসব্জি বা শুধুই শাক অথবা সব্জি বলা হয়ে থাকে। কেবল শাক সবজি খাওয়া ব্যক্তিদের শাকাহারি বা নিরামিষভোজী বলা হয়। সাধারণত গাছের পাতা যা ভাজি করে খাওয়া হয়, তাকে শাক বলা হয়। যেমন লাল শাক, পুঁই শাক, কলমি শাক প্রভৃতি।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

শব্দটি "সবজি" কিছুটা নির্বিচারে, এবং মূলত রন্ধনসম্পর্কীয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যির দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়। এটা সাধারণত ফল, বাদাম এবং খাদ্যশস্য হিসাবে উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য খাদ্য এবং ডাল বীজ সবজি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এখনও জীববিজ্ঞানে উদ্ভিজ্জ শব্দের মূল অর্থ "উদ্ভিদ জগৎ" এবং "উদ্ভিজ্জ সমন্ধে" হিসাবে, গাছের সমস্ত ধরনের বর্ণনা করে। মূলত, সবজি উৎপাদনকারী প্রথম বন থেকে সংগ্রহ করেছিল এবং সম্ভবত এভাবেই জীবনের একটি নতুন সংযোজন কৃষি নামে বিকশিত হলে ৭,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সময়ের ১০,০০০ বিসি, সময়, বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মধ্যে চাষাবাদ শুরু হয়।

প্রথমে স্থানীয়ভাবে চাষাবাদ বৃদ্ধি পায়, কিন্তু পরবর্তী সময়, বাণিজ্য গার্হস্থ্য ধরনের চাষাবাদ করায় অন্য কোথাও থেকে বহিরাগত ফসল আনা হত। আজকাল অধিকাংশ সবজি মৌসুমী ফসল হিসেবে সারা বিশ্বজুড়ে সবজি জন্মায়, এবং ফসল কম উপযুক্ত স্থানেও ভালভাবে চাষ করা যেতে পারে। চীন সবজির বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ, এবং কৃষি পণ্য বিশ্ব বাণিজ্য ভোক্তাদের জন্য রপ্তানি করা যায়।

উৎপাদন স্কেলে একটি পণ্য ফসলের সুবিশাল acreages সঙ্গে কৃষি বাণিজ্য খাদ্য জন্য পরিবারের চাহিদা মেটায়,এবং কৃষকদের জীবিকার পরিবর্তিন হয়। সবজি উৎপাদন নির্ভর করে, ফসল ফলানো, সংরক্ষণকারী, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন এর উপর।

সবজি কাঁচা খাওয়া যায় বা রান্না করেও খাওয়া যায়, যা মানুষের পুষ্টির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে চর্বি ও শর্করা খুব কম পরিমাণ রয়েছে, কিন্তু ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং ফাইবার উচ্চ মাত্রায় বিদ্যমান। অনেক দেশের সরকার প্রচুর ফল এবং সবজি চাষে তাদের নাগরিকদের উৎসাহিত করে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ফল ও সবজির অর্থনৈতিক গুরুত্ব

আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশ। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা মলয়জ শীতলা এক অপরূপ অনিন্দ্য সুন্দর বাংলাদেশ। বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের-রূপসী বাংলা,  রূপের যে নাইকো শেষ - বাংলাদেশ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রক্ষ্মপুত্র ও বুড়িগঙ্গা বিধৌত বাংলার রূপ ও সৌন্দর্য সবই মনোমুগ্ধকর। বাংলাদেশ সবুজের দেশ। ষড়ঋতুতে বাংলাদেশ  বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়। ষড়ঋতুতে প্রায় শত রকমারি ফলের সমারোহে সমৃদ্ধ এই বাংলাদেশ। কবি তাই যর্থাথই বলেছেন,  এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।


খাদ্য ও পুষ্টি : আমাদের খাদ্য গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হলো সুস্থ, সবল ও কার্যক্ষম হয়ে বেঁচে থাকা। যে কোনো খাবার খেয়ে পেট ভরানো যায় কিন্তু  তাতে দেহের চাহিদা মিটিয়ে সুস্থ থাকা যায় না। কাজেই প্রকৃত খাদ্য ও পুষ্টি সম্বন্ধে আমাদের প্রত্যেকেরই ধারণা থাকা দরকার। পুষ্টি জ্ঞানের অভাবে সুষম খাদ্য গ্রহণের প্রতি আমরা মোটেই সচেতন নই। তাতে যারা পেট ভরে দুই বেলা খেতে পায় না তারাই যে শুধু পুষ্টিহীনতায়  ভুগছে তা নয়, সে সঙ্গে ধনীরা ও অপুষ্টির শিকার থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত নন। এ অবস্থায় পুষ্টি বিষয়ক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রচারণার প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি করে দেখা দিয়েছে।  


দেহের ক্ষয় পূরণ, পুষ্টি সাধন এবং দেহকে  সুস্থ ও নিরোগ রাখার জন্য নানা ধরনের ফল-সবজি অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য। এগুলো ছাড়া আমাদের সুষম খাদ্যের বিষয় চিন্তা করা যায় না। খাদ্য বিজ্ঞানীরা একজন প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য প্রতিদিন ৪০০ গ্রাম ফল-সবজি খাবার পরামর্শ দেন। এর মধ্যে শাকপাতা ১১০ গ্রাম, ফুল-ফল-ডাঁটা জাতীয় সবজি ৮৫ গ্রাম, মূল জাতীয় ৮৫ গ্রাম ও ফল ১১০ গ্রাম ধরা হয়েছে। ফল সবজি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হলেও সংরক্ষণ, খাবার পরিবেশন ও ত্রুটিপূর্ণ রান্নার কারণে এসব খাবারের  প্রকৃত গুণাগুণ থেকে আমরা বঞ্চিত হয়ে থাকি। তাজা অবস্থায় ফল সবজি খেলে তাতে খাদ্য মান বেশি পাওয়া যায়। প্রায় সব রকম ফলে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। শাকসবজিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভিটামিন-সি থাকে তবে রান্না করার  সময় তাপে প্রায় ৮০% ভিটামিন ‘সি’ নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই সালাদ হিসেবে শাকসবজি খেলে ভিটমিন-সিসহ আরো কিছু উপাদানের (ভিটামিন ও মিনারেলস্) পুরো ফায়দা পাওয়া যায়। তবে যাদের সবজি কাঁচা খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে তাদের হালকা সিদ্ধ করে খাওয়াই উত্তম।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


আপেল, নাশপাতি, পেয়ারা, শসা ইত্যাদি ধরনের ফলের ছিলকা বা ওপরের খোসা আমরা অনেকেই ফেলে দেই। তাতে অনেক খাদ্যমান অপচয় হয়। ফল সবজি উভয় ক্ষেত্রে সম্ভব হলে খোসা না ফেলাই ভালো। বেশি পাকা ফলে খাদ্যমান কমে যায়। যেমন পাকা পেঁপে থেকে আধাপাকা পেঁপে বেশি পুষ্টিমান সম্পন্ন। তাছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বেশি নজর দেয়া প্রয়োজন। ফল সবজি আগেই ভালোভাবে ধুয়ে কাটা উচিত। আগে কেটে পরে ধোয়া হলে পানির সাথে অনেক খাদ্য উপাদান/ভিটামিন মিশে বের হয়ে যায়। অনেকে করলার তিতা স্বাদ কমানোর জন্য সিদ্ধ করে পানি ফেলে দেন। কোনো মতেই এটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সবজি কাটার আগে হাত, বাসন ও বঁটি (কাটার যন্ত্র) ভালভাবে ধুয়ে নেয়া প্রয়োজন। সবজি কুচি কুচি করে কাটলে পুষ্টিমানের অপচয় হয়, তাই তরকারির টকুরোগুলো বড় রাখা প্রয়োজন। অনেকের ধারণা বেশি তেল মসলা দিলেই রান্না ভালো হয়। অথচ কম তেলে-মসলা ও কম সিদ্ধ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।


ফল আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ, খাদ্য চাহিদা পূরণ, পুষ্টি সরবরাহ, মেধার বিকাশ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বহুমাত্রিক অবদানে  ফলজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ফল দেহে আনে বল, মনে আনে প্রশান্তি; ভিটামিন ও মিনারেলসের অন্যতম উৎস। প্রতিদিন একজন লোকের ১৫০-২০০ গ্রাম ফল খাওয়া দরকার। আমাদের দেশে বর্তমানে মাথাপিছু ফলের উৎপাদন প্রায় ৭০-৭৫ গ্রাম যা চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল, সেখানে ভারতে উৎপাদন ১১১ গ্রাম, ফিলিপাইনে উৎপাদন হয় ১২৩ গ্রাম, থাইল্যান্ডে উৎপাদন হয় ২৮৭ গ্রাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রচলিত ফলের সাথে সাথে হারিয়ে যাওয়া অপ্রচলিত ফল যেমন -আঁতা, শরিফা, সফেদা, ডেউয়া, গাব, কাউফল, ক্ষুদিজাম, লটকন  ইত্যাদি ফলের আবাদ বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ ফল ভাণ্ডার। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৭০ প্রকারের ফল জন্মে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, বিগত ২০১৫-১৬ সালে বাংলাদেশের প্রধান ফলগুলো যেমন- আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, কলা, পেঁপে, আপেল কুল, আনারস, নারিকেলসহ সব ফলের চাষের আওতায় জমির পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমি এবং এতে মোট ফলের উৎপাদন প্রায় ১১০ লাখ ৩০ হাজার মে. টন। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে বছরে প্রায় ৩৩ ভাগ ফল নষ্ট হয়ে যায় (ড. রহিম, আমাদের সময়- মে ২০১৭)। প্রতিজনের দৈনিক ১৫০ গ্রাম হিসেবে বার্ষিক ফলের চাহিদা প্রায় ৭৮ লাখ মে. টন। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে ফল নষ্ট হওয়াতে প্রতি বছর প্রায় ২০-৩০ লাখ টন ফল আমদানি করতে হয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি জনের দৈনিক ১৫০ গ্রাম হিসেবে বর্তমানে আমাদের বছরে ৪৮-৫০ কেজি ফল খাওয়া উচিত, কিন্তু খাচ্ছি মাত্র ২৮-৩০ কেজি।


সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য একজন কর্মক্ষম মহিলা ও পুরুষের দৈনিক যথাক্রমে ২৪০০ ও ২৮০০  ক্যালোরি খাদ্যের প্রয়োজন হয়। এই খাদ্য পূরণের জন্য পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, একজন মানুষ প্রতিদিন ২৫০-৩০০ গ্রাম চাল, আমিষ ১৫০-২০০ গ্রাম (মাছ/মাংস), ডিম-১টি, দুধ-২৫০ গ্রাম, চর্বি/তৈল ৩৫-৪০ গ্রাম, সবজি ২৫০ গ্রাম, ফল ১৫০-২০০ গ্রাম, আঁশ জাতীয় খাবার (মটর, ডাল, শিম, ত্বকসহ ফলমূল, বাদাম ইত্যাদি) ১০০ গ্রাম এবং পরিমাণ মতো পানি (কমপক্ষে ২.৫ লিটার/১০-১২ গ্লাস) খাওয়া উচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, মানব দেহের সুষ্ঠু গঠন ও রোগ প্রতিরোধের জন্য ভিটামিন, খনিজ পর্দাথ, লবণ ও পানিসহ প্রায় ৪০ রকমের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান জরুরি।


ভেজাল য্ক্তু খাবারের প্রভাব : অপরিকল্পিত বালাইনাশক ব্যবহারে ফলে পোকামাকড়, রোগ-বালাইয়ের প্রাকৃতিক শত্রু বন্ধু পোকা ধ্বংস হচ্ছে। শত্রু পোকার বালাইনাশক সহনশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফসলে যথেচ্ছা কীটনাশক ব্যবহার, ফলে ও মাছে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য  (ফর্মালিন, কার্বাইড) মেশানোর ফলস্বরূপ মানবদেহে সৃষ্টি হচ্ছেÑ ব্লাড ক্যান্সার, ব্রেন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার ইত্যাদি। খাদ্যে ভেজালের কারণে গ্যাসট্রিক, আলসার, হৃদরোগ, অন্ধত্ব, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস,  ¯œায়ু রোগসহ প্রভৃতি জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী আজ অসহায় হয়ে পড়েছে। বাতাসে সিসা, পানিতে আর্সেনিক, চালে-ক্যাডমিয়াম, মাছে ফরমালিন, ফলে কার্বাইড, ফলের রসে বিভিন্ন ক্ষতিকারক গার্মেন্টস রং, মুরগির মাংসে- ক্রোমিয়াম সর্বদিকে বিষ আর বিষ আমরা যাব কোথায়? এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, খাদ্য ভেজালের কারণে শুধু দক্ষিণ এশিয়ায়  বছরে ৭৯ লাখ মানুষ মারা যায়, সে কারণেই ভেজালমুক্ত খাবার আমাদের প্রয়োজন 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ফল ও সবজির সংগ্রহোত্তর পোকামাকড় ও জীবাণু র আক্রমণ সম্পর্কে বর্ণন

বা ংলাদেশে প্রায় ৫০ প্রকারের দেশি-বিদেশি ফলের চাষ হয়। এসব ফলের অর্ধেকেরও বেশি ফল পাওয়া যায় গরমকালে অর্থাৎ এপ্রিল মাস থেকে শুরু করে আগস্ট মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে। তবে বর্ষার পর শীতের শুরুতে বা শীতেও বেশ কিছু ফল পাওয়া যায়। আবার এ সময়ের মধ্যে গরমকালের ফলগাছগুলোতে মুকুল বা ফুল বা কুঁড়ি আসাও শুরু হয়। এসব ফলগাছে অনেক রোগ ও পোকামাকড়ের সমস্যা ছাড়াও আরো বেশ কিছু সমস্যা দেখা যায়।

সেসব সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রধান প্রধান কিছু সমস্যা ও সেসব সমস্যার প্রতিকারে কি কি করণীয় সেসব বিষয়ে জানা থাকলে সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। বাংলাদেশে জনপ্রিয় ফলের মধ্যে আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, কুল, নারিকেল, কলা, পেঁপে, লেবু, আমড়া, বেল, কতবেল জামরুল, লটকন, জলপাই অন্যতম। এসব ফলে সাধারণত যেসব সমস্যা দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- অনিয়মিত ফল ধারণ, ফল ঝরেপড়া এবং রোগ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব।

অনিয়মিত ফল ধারণ সমস্যাটি প্রধানত দেখা যায় আমগাছে। নিয়ম মাফিক ছাঁটাই ও সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ এবং প্রয়োজনীয় সেচ প্রদান করে এ সমস্যা অনেকটাই দূর করা যায়। তবে কোথাও কোথাও বিশেষ কিছু হরমোন ব্যবহার করে প্রতি বছর ফল ধরানোর ব্যবস্থা করা হয়। এটি একটি সাময়িক ব্যবস্থা, এতে গাছের বেশ ক্ষতি হয় ও খুব দ্রম্নতই গাছ ফল ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ না করলে বা মাটিতে বোরনের ঘাটতি হলে বা মাটিতে রসের অভাব হলে বা বাতাসের আর্দ্রতা কম ও তাপমাত্রা বেশি হলে অনেক সময় ফলের মুকুল ও গুটি ঝরা সমস্যা দেখা যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আম, লিচু, পেয়ারায় ফল ঝরা সমস্যা বেশি দেখা যায়। বোরনের অভাবে পেঁপে, নারিকেলের গুটিও ঝরে পড়ে। প্রতি লিটার পানিতে ১-২ মিলিলিটার হারে বোরিক অ্যাসিড বা সলুবর মিশিয়ে স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।

নারিকেলের ভেতরে অনেক সময় পানি হয় না বা নারিকেল ফেটে যায়। এটি গাছে পটাশের অভাবজনিত কারণে হয়। নিয়মিত বছরে দুইবার সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগের সময় পটাশ কিছু পরিমাণে বেশি প্রয়োগ করলে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বিভিন্ন ফলে বিভিন্ন রোগের কারণে ফল উৎপাদন কমে যায় বা ফলনে বিপর্যয় দেখা দেয়।

ফলগাছের কচি পাতায় ফোস্কা পড়া রোগ বা এনথ্রাকনোজ রোগ দেখা দিলে কচি পাতা কালো হয়ে কুঁকড়ে যায় এবং গাছের শাখার বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, কলায় এনথ্রাকনোজ রোগ দেখা যায়। এ রোগে প্রথমে পাতা আক্রান্ত হলেও পরে তা কচি শাখা বা ডালে আগামরা ও পরে ফলে ফলপচা হিসেবে দেখা যায়। মেনকোজেব বা প্রপিকোনাজল জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

আম ও কাঁঠাল গাছের পাতা লাল মরিচা রোগে প্রথমে বাদামি রং ধারণ করে পরে কালো হয়ে ছোট ছোট ছিদ্র হয়ে যায়। কপার যুক্ত ছত্রাকনাশক স্প্রে করে লালমরিচা রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলগাছে সাদাগুঁড়া রোগ বেশ সমস্যার সৃষ্টি করে। আম ও কুল গাছে যখন ফুল আসে এবং ফল যখন কচি অবস্থায় থাকে তখন সাদাগুঁড়া রোগে ফলের বেশ ক্ষতি হয়ে থাকে। ৮০% সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

কাঁঠালের মুচিপচা একটি সাধারণ সমস্যা মনে হলেও অনেক সময় এ কারণে গাছে কাঁঠালের সংখ্যা উলেস্নখযোগ্য হারে কমে যায়। আসলে পুরুষ মুচিগুলোতে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে পরাগরেণু নষ্ট হয়ে পচন শুরু হয়। কাঁঠাল গাছে বয়স অনুযায়ী সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ এবং ফল সংগ্রহের পর পুরনো মরা, চিকন ও গাছের ভেতরের দিকের ডাল হালকা ছাঁটাই করলে গাছে পুরুষ ও স্ত্রী মুচি মোটামুটি একই সময়ে আসে এবং পরাগায়নের মাধ্যমে ফল ধারণ হয়। এ ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের পর পচামুচি গাছ ও গাছের নিচ থেকে সংগ্রহ করে পুঁতে ফেলতে হয়। পেয়ারা, লেবু ফল স্ক্যাব ও ক্যাংকার রোগে আক্রান্ত দেখা যায়। স্ক্যাব ও ক্যাংকার রোগে ফলে দাগ পড়ে ও ক্ষত তৈরি হয়। এতে ফলের বাজারমূল্য কমে যায়। কপার যুক্ত ছত্রাকনাশক স্প্রে করে লালমরিচা রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

আম, কাঁঠাল, লিচু, কুল, ডালিম ও পেয়ারাসহ অনেক ফলেই ফল ছিদ্রকারী পোকার উপদ্রব দেখা যায়। ফল যখন ছোট থাকে তখন পোকা ফলের গায়ে ডিম পেড়ে যায় এবং ডিম থেকে কীড়া বের হয়েই কচি ফলের ভেতরে ঢুকে শাঁস খেয়ে নষ্ট করে। গাছের মরা বাকল, ডাল ও গাছের নিচের আবর্জনার মধ্যে এ পোকার কীড়া সুপ্তকাল কাটায়। এ জন্য ফল সংগ্রহের পর ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে গাছের ভেতরে আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করলে এবং গাছের নিচের আবর্জনা ও আগাছা পরিষ্কার করলে এ পোকার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কচি ফল আক্রান্ত হলে ও ঝরে পড়লে গাছে প্রতি লিটার পানির সঙ্গে ২ মিলিলিটার হারে ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক ১৫ দিন পর পর দুইবার স্প্রে করতে হয়। কাঁঠাল গাছে এ সমস্যা দেখা দিলে ঘন হয়ে থাকা কাঁঠাল ফল ছাঁটাই করে পাতলা করে দিলে এ পোকার আক্রমণ কমে।

আম যখন পুষ্ট হয় তখন ফলে মাছি ও পোকার আক্রমণ দেখা যায়। এ মাছি ও পোকার আক্রমণে প্রায় সংগ্রহযোগ্য আম নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট বা পোকা আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হয়। বিষটোপ বা ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে এ পোকা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। গ্রীষ্মকালে গরম বেশি পড়লে লিচু ও নারিকেল গাছে মাকড়ের সমস্যা দেখা যায়। লিচুর পাতা বাদামি রংয়ের হয়ে কুঁকড়ে যায়। পাতার নিচের দিকে মখমলের মতো হয়। ৮০% সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে মাকড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কলার বিটল পোকা থেকে ফলকে রক্ষা করতে কাঁদি বের হওয়ার পরপরই ফলের কচি অবস্থায় সাদা বা নীল রংয়ের পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হয়।

পেয়ারা গাছের পাতার নিচে সাদামাছি পোকা জালের মতো আস্তরণ তৈরি করে পাতা থেকে রস চুষে খায়। এতে পাতা বিবর্ণ হয়ে ঝরে পড়ে ও গাছ দুর্বল হয়। আক্রান্ত গাছে ফুল ও ফল কম হয়। প্রাথমিক অবস্থায় পাতা ছিঁড়ে পায়ের তলায় পিষে এ পোকা মেরে ফেলা যায়। আক্রমণ বেশি হলে সামান্য কেরোসিন মিশ্রিত পানি পাতার নিচের দিকে খুব জোরে স্প্রে করে এ পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ পোকা আলোক ফাঁদ স্থাপন করেও মেরে ফেলা যায়।

শাকসবজির পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন করার জন্য রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।

কীটনাশক মানবদেহে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিষাক্ততা সৃষ্টি করে। কীটনাশক প্রয়োগের ২১ দিনের মধ্যে জমি থেকে শাকসবজি সংগ্রহ করলে তা বিষ সমতুল্য। কীটনাশক ছাড়া পোকামাকড় ও রোগদমন করে বিষমুক্ত শাক- সবজি উৎপাদনের কিছু পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করা হলঃ

ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, ওলকপি, শালগম, গাজর ও ব্রুকলিঃ পোকা, প্রজাপতি এসব সবজির পাতা ও ডগা খায়। ফলে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ফুলকপি ও বাঁধাকপির মাথা ছোট হয় বা বাধে না।
দমনঃ বন গাজর, সরিষা, শালগম এসব উদি্‌ভদ এই সবজি ক্ষেতে রাখা যাবে না। হাতজাল দিয়ে ধরা যায়। আঠা লাগিয়ে আটকানো যায়। বাঁধাকপিতে কালোপচন রোগ হয়।

রোগের লক্ষণঃ চারাগাছের বীজপাত্রের কিনার কালচে দাগ হয়। পাতায় দাগ পড়ে। বীজ ১০ মিনিট গরম পানিতে ডুবিয়ে বপন করলে এ রোগ হয় না। এছাড়াও বোর্দমিকচার দেয়া যেতে পারে। বিকৃতমূল রোগ বাঁধাকপিতে হলে মূল স্ফীত হয়ে বিভিন্ন আকারের হয়। এ রোগ দমনের জন্য মাটি শোধন করে নিরোগ বীজতলায় চারা উৎপাদন করতে হবে। উক্ত সবগুলো সবজিতে হলদে হওয়া রোগ হয়। আক্রা- গাছের পাতার নিম্নাংশ বৃ- বরাবর খানিকটা অংশ প্রথম ঢলে পরে এবং পরে মরে যায়।
দমনঃ বীজ শোধন, শস্য পর্যায় অবলম্বন ফানজিসাইড প্রয়োগ এবং রোগক্রা- অংশ কেটে অন্যত্র ফেলে দিতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

পাতায় দাগ রোগ হলে এসব সবজি পাতায় গোলাকার হলুদ দাগ পরে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বীজ গরম পানিতে ডুবিয়ে রেখে পরে বপন করতে হবে। ডাউনি মিলডিও রোগে উক্ত সবজিগুলোর পাতা সাদা পাউডারের মত আবরণ পড়ে। রোগ দমনের জন্য বীজ গরম পানিতে ডুবানো, শস্য-পর্যায় অবলম্বন, পরিস্কার বীজতলায় চারা উৎপাদন ও সরিষা জাতীয় আগাছা দমন করতে হবে।

সিম, বরবটি, ফরাসি সিম, মটারগুটিঃ পোকামাকড়ঃ জাবপোকাঃ ফলের কচি অংশের রস চুষে খায়। এতে ফলন খুব কম হয়। ঝাঁক ধরে গাছের কচি ডগায় বসে রস খায়।

দমনঃ লেডিবার্ড বিটল, টাইগার বিটল নামক শিকারী পোকা গাছে রাখা। এরা জাবপোকা এর লার্ভা খায়। ছাই ছিঁটিয়ে, পানি স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায়।

ফল ছেদক পোকাঃ সিমের কুঁড়ি ,ফুল ও ফল খেয়ে ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে। ভেতরে ঢুকেও ফল খায় ও মলত্যাগ করে। দমনঃ আক্রা- সিম তুলে মাটিতে পুঁতে ফেলা। শুককীট পরজীবী দ্বারা আক্রা- হয়।

রেড মাইটঃ গাছের পাতা ও ফুলের কুঁড়ি থেকে রস চুষে খায়।

দমনঃ গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলা। সঠিক দূরত্বে গাছ রোপণ করা।

অ্যানথাকনোজঃ সিমে বাদামি-কালো আঁকাবাঁকা দাগ পড়ে।

দমনঃ ফসল উঠানোর পর পরিত্যক্ত কাণ্ড -পাতা পুড়িয়ে ফেলা। নিরোগ বীজ বপন করা। ক্ষেত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
মরিচা

রোগঃ গাছের কাণ্ডে, পাতায়, ফলে সাদা-হলুদ বর্ণের দাগ পড়ে ও পাতা শুকিয়ে যায়।

দমনঃ রোগ প্রতিরোধী জাত- ফ্লোরি, গ্রীন, ক্যানফ্রিজার, সেমিনোল জাতের শিম চাষ করা। সুস্থ, নিরোগ বীজ বপন করা। আক্রা- অংশ ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলা।

টমেটো ও বেগুনঃ ফল ছেদক পোকাঃ বেগুন ও টমেটো কচি অবস্থায় ছিদ্র করে রস খায়। ফলে টমেটো নষ্ট হয় বা পচে যায়। এর লার্ভা কচি ডগাও খায়। ফলে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

দমনঃ আক্রা- ডগা ও ফল ছিঁড়ে কীড়া মারতে হবে। ক্ষেত সবসময় পরিস্কার রাখতে হবে। ছাই ছিঁটিয়ে, আলোর ফাঁদ দিয়ে ও হাতজাল দিয়ে মাছি আটকানো যায়। কাজলা ও ঝুমকা জাতের বেগুনে এ পোকা আক্রমণ করে না বলে এগুলো চাষ করা উচিত।

নেতিয়ে পড়া রোগঃ চারা অবস্থায় ছত্রাক দ্বারা আক্রা- হয়ে গাছ নেতিয়ে পড়ে। বীজ বপনের পরেই বীজ ছত্রাক দ্বারা আক্রা- হলে চারা হয় না।
দমনঃ হালকা ঝুরঝুরে মাটিতে বীজ বপন করা, সেচ না দেয়া, মাটি সবসময় শুকনো রাখা। বীজ ও মাটি শোধন করে বীজ বপন করা।
লেইট ব্লাইট রোগঃ পাতা, কাণ্ড ও ফলে সাদা সাদা দাগ পরে।
দমনঃ আলু ও টমেটো পাশাপাশি জমিতে চাষ না করা। আক্রা- অংশ ছিড়ে পুড়িয়ে ফেলা।

আরলি ব্লাইট রোগঃ চারা গাছের কাণ্ড এবং বড় গাছের পাতায় বাদামি দাগ পড়ে।

দমনঃ আগাছা দমন, সুষম সার ব্যবহার ও প্রয়োজন মত সেচ দিতে হবে। বীজ শোধন করে বপন করা।

ফিউজেরিয়াম উইন্টঃ টমেটোর চারা গাছের বয়স্ক পাতাগুলো নিচের দিকে বেঁকে ঢলে পড়ে এবং মারা যায়।

দমনঃ মাটি শোধন ও বীজ শোধন করে বীজ বপন করতে হবে। রতন, অপূর্ব ও লালিমা জাতের টমেটোতে ঢলে পড়া রোগ হয় না।
অ্যানথ্রাকনোজ রোগঃ টমেটো ও বেগুনে কালো দাগ পড়ে। দাগগুলোতে পরে পচন ধরে ফল পড়ে যায়।

দমনঃ যে সব জমির ফসলে এই রোগ হয় সেখানে ৩ থেকে ৪ বছর পর পর টমেটো চাষ করা উচিত।

মোজাইক রোগঃ টমেটোর পাতায় সবুজ হলদে দাগ পড়ে। এতে ফলন কম হয়।

দমনঃ আক্রা- গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। জমিতে কাজ করার সময় বিড়ি সিগারেট খাওয়া উচিত না। ক্ষেত পরিস্কার রাখতে হবে। জাবপোকা ছাই দিয়ে দমন করতে হবে।

মড়ক রোগঃ বেগুন গাছের কাণ্ডে ক্যাঙ্কার হয়। বাকল খসে পড়ে, বাতাসে ভেঙে পড়ে। বেগুন শুকিয়ে যায়। পাতায় দাগ পড়ে। গাছ মারা যায়।
দমনঃ নীরোগ বীজ বপন করা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে লাইক পেজ : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

আমাদের YouTube এবং Like Page

0 Comments

আমাদের সাথে থাকুন

Advertisement 2

Advertisement 3

Advertisement 4