Posts

আলিম শ্রেণি: ১২শ অর্থনীতি ২য় পত্র ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১, আলিম বিষয়:অর্থনীতি ২য় পত্র ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার্থীদের ২০২২

আলিম শ্রেণি: ১২শ অর্থনীতি ২য় পত্র ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১, আলিম বিষয়:অর্থনীতি ২য় পত্র ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার্থীদের ২০২২ আলিম
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
শ্রেণি: HSC -2022 বিষয়: অর্থনীতি ২য়  এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04 বিষয় কোডঃ 110
বিভাগ: ব্যবসায় শাখা

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর। দ্রুত শিল্পোন্নয়নে কোন ধরণের শিল্প স্থাপন করা যুক্তিযুক্ত মতামত দাও।।

শিখনফলঃ

  • বাংলাদেশের শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস ব্যাখ্যা করতে পারবে।
  • রপ্তানিমুখী শিল্পের তালিকা প্রস্তুত করতে পারবে।
  • সরকারি ও বেসরকারি অংশিদারিত্বে শিল্পোন্নয়নের সরকারি নীতির যথার্থতা বিশ্লেষণ করতে পারবে।

নির্দেশনাঃ

  1. শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস
  2. রপ্তানিমুখী শিল্প
  3. সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের শিল্পোন্নয়নে সরকারি নীতির যথার্থতা বিশ্লেষণ

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

(ক) শিল্প :

যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কারখানার অভ্যন্তরে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে প্রাথমিক দ্রব্যকে মাধ্যমিক দ্রব্যে এবং মাধ্যমিক দ্রব্যকে চূড়ান্ত দ্রব্যে পরিণত করা হয় তাকে শিল্প বলে । কারখানার অভ্যন্তরে শিল্পের উৎপাদন কার্য পরিচালিত হয় । এরূপ এক একটি কারখানাকে ফার্ম বলে । সাধারণভাবে কোন নির্দিষ্ট দ্রব্য উৎপাদনে নিয়ােজিত দেশের সকল ফার্মের সমষ্টি হল শিল্প । 

শিল্পের শ্রেণিবিভাগ : বাংলাদেশ শিল্পে উন্নত নয় তবে উদীয়মান । বাংলাদেশের শিল্পের আকার ও গঠন কাঠামাে নিচে ব্যাখ্যা করা হল : 

ক ) আকার অনুযায়ী শিল্পের শ্রেণিবিভাগ : বাংলাদেশের শিল্পসমূহ আকার অনুযায়ী মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন  

১। বৃহৎ শিল্প : বৃহৎ শিল্প বলতে বড় শিল্প বুঝায় , অর্থাৎ যে শিল্পে অধিক মূলধন , অনেক শ্রমিক ও চুর পরিমান কাঁচামাল ব্যবহার করে আধুনিক তথ্য ও উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে।  বিপুল পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন করা হয় তাকে বৃহৎ বা বৃহদায়ন শিল্প বলে । এখানে উল্লেখ্য , বাংলাদেশের শিল্প আইন অনুযায়ী যে শিল্প কারখানায় ২৩০ জনের অধিক শ্রমিক কাজ করে তাকে বৃহৎ শিল্প বলে । পাট , বস্ত্র , সিমেন্ট , কাগজ , সার ইত্যাদি বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পের উদাহরণ । 

২ । মাঝারি শিল্প : বাংলাদেশের শিল্প আইন বা কারখানা আইন অনুযায়ী যে কারখানায় ২০।  জনের বেশি কিন্তু ২৩০ জনের কম শ্রমিক নিয়োেজিত আছে । তাকে মাঝারি শিল্প বলে । মাঝারি শিল্প মূলত বৃহৎ ও ক্ষুদ্র শিল্পের মাঝামাঝি অবস্থান করে । মাঝারি শিল্প , বৃহৎ | শিল্পের ন্যায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে , তবে মূলধন তুলনামূলকভাবে বৃহৎ শিল্প অপেক্ষা কম ব্যবহৃত হয় । বাংলাদেশে বহু সংখ্যক মাঝারি শিল্প গড়ে উঠেছে এবং উঠছে । এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল চামড়া শিল্প , সিগারেট শিল্প, সাবান শিল্প ও দিয়াশলাই শিল্প।  

৩। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প : সাধারণ অর্থে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প একই অর্থে ব্যবহৃত হয় , পরদেশল্প , সাবান শিল্প ও দিয়াশলাই শিল্প । তবে সুক্ষ্ম অর্থে দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে । তবে এখানে উল্লেখ্য , ক্ষুদ্র শিল্পে ভাড়া করা শ্রমিক ও বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহৃত হয় । তাছাড়া ক্ষেত্র বিশেষে উন্নত প্রযুক্তিও ব্যবহৃত হয় । কুটির  শিল্প মূলত পারিবারিক শ্রমিক দ্বারা পরিচালিত হয় । মােট কথা স্থানীয় কাঁচামাল , কম । মূলধন এবং পরিবারের সদস্য দ্বারা কুটির শিল্প বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদন করে থাকে । বাংলাদেশে তাঁত শিল্প , বাঁশ ও বেত শিল্প , বিড়ি শিল্প , লবণ শিল্প ইত্যাদি হল কুটির শিল্প । 

খ ) কাঠামাে অনুযায়ী শিল্পের শ্রেণীবিভাগ : 

কাঠামাে অনুযায়ী বাংলাদেশের শিল্পসমূহকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । নিচে এগুলাে ব্যাখ্যা করা হলাে : 

১। ভােগ্য দ্রব্য শিল্প : যে সকল শিল্প কারখানা সরাসরি মানুষের ভােগ উপযােগী দ্রব্য তৈরী করে তাকে ভােগ দ্রব্য শিল্প দ্রব্য বলে । যেমন- সাবান শিল্প , চিনি শিল্প , সিগারেট শিল্প ইত্যাদি । বাংলাদেশ একটি অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশ । তাই এখানে ভােগ্য শিল্পের গুরুত্ব অত্যাধিক । 

২। মাধ্যমিক দ্রব্য শিল্প : যে সকল উৎপাদিত পণ্য পুনরায় অন্য দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় তাকে মাধ্যমিক দ্রব্য বলে । আর এই মাধ্যমিক দ্রব্য যে সকল কারখানায় তৈরী হয় তাকে।  মাধ্যমিক দ্রব্যের শিল্প বলে । যেমন- সুতা একটি উৎপাদিত দ্রব্য যা বস্ত্র শিল্পে উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় । তাই সুতা শিল্পকে মাধ্যমিক শিল্প বলা হয় । 

৩। মূলধনী দ্রব্যের শিল্প : বাংলাদেশে মূলধনী বা ভারী শিল্প নেই বললেই চলে । তবে একটি দেশের অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করতে হলে অবশ্যই প্রয়ােজন মূলধনী শিল্প । মূলধনী দ্রব্য যে কারখানায় তৈরী হয় তাকে মুলধনী শিল্প বলে । যেমন- জয়দেবপুর মেশিন ও টুলস্ ফ্যাক্টরী , চিটাগাং স্টিল মিল ইত্যাদি । 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

( খ ) রপ্তানীমুখী শিল্প : বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম । রপ্তানিমুখী শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে এবং এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নতির চরম শিখরে পৌছতে পারে । বাংলাদেশের রপ্তানীমুখী শিল্পের মধ্য গুরুত্বপূর্ণ । কয়েকটি শিল্প হচ্ছে- পাট , বস্ত , চা , চামড়া তৈরি পোশাক ইত্যাদি।  

১। পাট শিল্প : পাটকে সােনালি আঁশ বলা হয় । পাট বাংলার ঐতিহ্য । বাংলাদেশের ভূমি ও আবহাওয়া পাট চাষের জন্যে খুবই উপযােগী । বাংলাদেশে বর্তমানে ৭৭ টি পাট কল আছে । এর মধ্যে ৪০ টি সরকারি খাতে এবং ৩৭ টি ব্যক্তিগত খাতে । এই পাটকলগুলােতে মােট ১ লক্ষ ৪৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিক কাজ করে । বর্তমানে বছরে প্রায় ৪ লক্ষ মেট্রিক টন পাটজাত দ্রব্য উৎপাদিত হয় এবং এর প্রায় ৮৫ ভাগই বিদেশে রপ্তানি হয় । পাটকলগুলােতে চট , থলে , দড়ি , কার্পেট , পর্দার কাপড় , জিড প্লাস্টিকের আসবাবপত্র ইত্যাদি উৎপাদিত হয় । পাট থেকে মােটা সুতা , কাগজ ইত্যাদি তৈরির চেষ্টা চলছে । তবে তা এখনও বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি । পাটজাত দ্রব্য থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের শতকরা ৮ ভাগে আসে । 

২। বস্ত্র শিল্প : বন্ত্র শিল্পের ৪ টি অংশ সুতা উৎপাদন , বস্ত্র উৎপাদন , রংকরণ ও প্রিন্টিং। এবং তৈরি পােশাক । বিভিন্ন পর্যায়ের সমস্যার মধ্যে বিভিন্নতা রয়েছে এবং সমাধানের মধ্যেও এজন্য পার্থক্য রয়েছে । বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে সুতা উৎপাদনের পরিমাণ বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । ১৯৯১-৯২ সালে বাংলাদেশে ৫৯.৮ মিলিয়ন কেজি সুতা উৎপাদিত হয় । ১৯৯৬-৯৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৯.৯ মিলিয়ন কেজিতে । এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশ সুতা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় । মােট চাহিদার শতকরা ৪০ ভাগ সুতা দেশে উৎপাদিত হয় । অবশিষ্ট সুতা আমদানি করা হয় । বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে বন্ত্র উৎপাদনের পরিমাণ বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । তবে এই সময়ে রাষ্ট্রীয় খাতে পরিচালিত বৃহদায়তন মিলগুলাের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে । উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও তা দেশের চাহিদা সম্পূর্ণ মেটাতে সক্ষম নয় । বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বস্ত্রের ব্যবহার দ্বিবিধ । 

প্রথমত , দেশের মানুষের বন্ত্রের চাহিদা পূরণ । 

দ্বিতীয়ত , দেশের রপ্তানিমুখী পােশাক শিল্পের চাহিদা আংশিকভাবে পূরণ । বস্তু উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বিধায় বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বস্ত্র আমদানি করে । বাংলাদেশ রপ্তানীমুখী পােশাক শিল্পের জন্য গড়ে ২-৩ বিলিয়ন গজ ব আমদানি করে । 

৩। চা শিল্প : চা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ও রপ্তানী ফসল । চা শিল্প গ্রামীণ কর্মনিয়ােগের সুযােগ বিশেষতঃ মহিলাদের কর্মনিয়ােগের সুযােগ দেয় এবং গ্রাম অঞ্চলে দারিদ্র বিমােচনে অবদান রাখে । বাংলাদেশে চা উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে । গত ১০ বছরে এই বৃদ্ধির গড় বার্ষিক হার শতকরা ৩ ভাগ । বাংলাদেশে ১৯৯৭-৯৮ সালে মােট ৫৮.৬১ হাজার মেট্রিক টন চা উৎপাদিত হয় । সাম্প্রতিককালে দেশে উৎপাদনের তুলনায় অভ্যন্তরীণ চাহিদার পরিমাণ বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । এজন্য রপ্তানির পরিমাণ কমে গেছে । বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫৮ টি চা বাগান আছে । এর অধিকাংশই বৃহত্তর | সিলেট জেলায় অবস্থিত । 

৪। চামড়া শিল্প : চামড়া শিল্প একটি রপ্তানিমুখী শিল্প । বর্তমানে বাংলাদেশে ২০০ টিরও অধিক চামড়াজাত দ্রব্য তৈরির কারখানা আছে । এর মধ্যে চামড়া পাকা করার কারখানা আছে ৪০ টি । দেশে ১৪০ মিলিয়ন বর্গফুট চামড়া উৎপাদিত হয় । এর শতকরা ৮০ ভাগ গরুর চামড়া ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৫। তৈরি পোশাকঃ ও নীট ওয়্যার শিল্প বাংলাদেশের একটি বিকাশমান শিল্প । এটি পুরােপুরি রপ্তানীমুখী শিল্প । ১৯৭৭ ৭৮ সালে তৈরি পােশাক কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র ৯ টি । বর্তমানে এই সংখ্যা ৩ হাজারের কাছাকাছি । ১৯৮১ - ৮২ সালে দেশে ০.১৩ মিলিয়ন ডজন পােশাকে তৈরি হয় এবং ১৯৯৮-৯৯ সালে প্রায় ৭৪ মিলিয়ন ডজন তৈরি পােশাক উৎপাদিত হয় এবং এ থেকে ৩.২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয় ।

একই বছরে নীট ওয়্যার দ্রব্য রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১.১৫ বিলিয়ন ডলার । এই উভয় উৎস থেকে দেশের শতকরা ৭৫ ভাগ রপ্তানি আয় হয় । বাংলাদেশের তৈরি পােশাকের | প্রধান বাজার আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা । নীটওয়্যার দ্রব্যের প্রধান বাজার ইউরােপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ । বাংলাদেশী রপ্তানি পণ্য এসব দেশে কিছু বাণিজ্যিক সুবিধা ভােগ করে । এটি একটি আমদানি নির্ভর শিল্প । এই শিল্পের প্রয়ােজনীয় উপাদান আমদানি করতে এই শিল্পের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৭০ ভাগ ব্যয়িত হয় । 

( গ ) সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব : 

সরকারি অনুমােদন ও সহায়তায় বেসরকারি | অর্ধায়ন ও পরিকল্পনায় যে ব্যায় কার্যক্রম সম্পাদিত হয় তাকে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব ভিত্তিক ব্যবসায় বলে । যা সংক্ষেপে চচচ ( Public Private Partnership Business ) । বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে যে সকল ব্যবসায়ের ধারণা আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে চচচ অন্যতম । একটা দেশের সরকারকে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হয় এবং এতে প্রচুর অর্থের প্রয়ােজন হয় । তখন সরকার এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদন ও পরিচালনার দায়িত্ব বেসরকারি খাতের উপর ছেড়ে দেয় । অর্থাৎ সরকার প্রকল্প অনুমােদন করে দেয় আর বেসরকারি খাত এসব প্রকল্পে অর্থায়ন করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে । প্রকল্পের চুক্তি মােতাবেক প্রকল্পটি পরিচালনা করে বেসরকারি পক্ষ ।

সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের শিল্পোন্নয়নে সরকারি নীতির যথার্থতা : সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব ভিত্তিক ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হল বর্তমান প্রতিযােগিতাশীল বিশ্বে সরকারি অর্থায়নের অভাবে কোন সম্ভাবনাময় খাত থেকে যেন জনগণ সুবিধা বঞ্চিত না হয় । অন্যদিকে বিদেশী ঋণের উপর ভিত্তি করে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা না করার মাধ্যমে বিদেশী / দাতা সংস্থার ঋণের নির্ভরশীলতা কমাননাও এই ধরনের অংশীদারিত্বমূলক ব্যবসায়ের অন্যতম উদ্দেশ্য ।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে পৃথকভাবে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাইরে সরকারি - বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। 

বিশেষত : ভৌত অবকাঠামােগত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল । ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মােট ১,৪৩২ টি বেসরকারি প্রকল্পে বিনিয়ােগ প্রস্তাবনার পরিমাণ ছিল ৬৮,২৯১ কোটি টাকা । যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ( জুলাই - ফেব্রুয়ারি ) দাঁড়িয়েছে ৮৯৪ টি প্রকল্পে মােট ৫৩,৬৯৭ কোটি টাকা । ব্যক্তিখাতে তৈরি পােশাক ও নীটওয়ার শিল্পের বিকাশ শিল্প খাতকে গতিশীল করে তুলছে এবং দেশে বিনিয়ােগ - সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখছে । ফলে এ খাতে বিদেশি বিনিয়ােগ আকৃষ্ট হয়েছে ।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে ( ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত ) মােট উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২২,৬৯১ মিলিয়ন | কিলােওয়াট আওয়ার যার ৪৫.৫১ শতাংশই বেসরকারি খাতে উৎপাদিত হয়েছে এবং ৬.৯১ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি খাত হতে এসেছে । অর্থবছরে দেশের মােট বিনিয়ােগ | জিডিপির ২৮.৯৭ শতাংশ যার মধ্যে বেসরকারি খাতের অবদান ২২.০৭ শতাংশ । দেশের খসছে ! ২০১৪-১৫ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানাের ক্ষেত্রে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Post a Comment

আমাদের সাথে থাকুন
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!