এইচএসসি 2021 সালের পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর

এইচএসসি 2021 সালের পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তরএইচএসসি 2021 সালের পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তরএই
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

অ্যাসাইনমেন্টঃ

“মূল্যবােধ ও নৈতিকতা আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যকে প্রভাবিত করে’- তাৎপর্য বিশ্লেষণ।

শিখনফলঃ

  • আইন ও নৈতিকতার সম্পর্ক বিশ্লেষন করতে পারবে
  •  স্বাধীনতা ও সাম্যের ধারণা। ব্যাখ্যা করতে পারবে ′
  • আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের পারস্পরিক সম্পর্ক মূল্যায়ন করতে পারবে
  • গণতান্ত্রিক মূল্যবোেধ ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মূল্যবােধের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে পারবে

নির্দেশনাঃ

  1. মূল্যবােধ ও নৈতিকতার ধারণা
  2. আইন, স্বাধীনতা ও সামের ধারণা
  3. আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের পারস্পরিক সম্পর্ক ও গুরুত্ব

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

পৌরনীতি ও সুশাসন অধ্যয়নে মূল্যবোধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়। আধুনিক সমাজে নাগরিক হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সুচারুরূপে পালন করার জন্য এ বিষয়গুলোর ধারণা থাকা উচিত। সমাজে বসবাস করতে গেলে অনেক ধরনের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। তাদের মধ্যে কিছু নিয়ম-কানুন মানুষ বিবেকবোধ থেকে মেনে চলে। আবার কতগুলো নিয়ম-কানুন মানুষ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে মান্য করে।

অর্থাৎ মানুষ নিজের যা খুশি তা করতে পারে না। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সমাজে ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। সকল নাগরিকগণ যার-যার যোগ্যতা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে। তাদের মাঝে একটি সাম্যের ভাব বহাল থাকে। যদি কেউই নিয়মকানুন না মানে, যার যা খুশি তাই করে, তাহলে সকলেরই অসুবিধা হয় এবং সমাজ ও রাষ্ট্র বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যায়।

মূল্যবোধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের মতো বিষয়গুলো অনুশীলন করে মানুষ তার মানবিক গুনাবলি বিকাশ ঘটানোর সর্বোত্তম সুযোগ পায়। এ ইউনেটে এ বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করা হয়েছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

মূল্যবােধ ও নৈতিকতার ধারণা আইন,

মূল্যবোধের ধারণা : মূল্যবোধ একটি মানবিক গুনাবলী। এটি একজন মানুষের নীতি-নৈতিকতা ও বিবেকের উপর নির্ভরশীল। মূল্যবোধ সামাজিক আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতি চর্চা ও সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়। এটি অর্জনের বষয়, আরোপিত নয়। মূল্যবোধ এর নির্দিষ্ট কোন মাপকাঠি বা যৌক্তিকতা প্রমাণের সুযোগ নেই।

কেননা একজনের কাছে যা আর্দশ, তা অন্য জনের কাছে বিরক্তির কারণও হতে পারে। তবে অনেকের মতে মানবিক গুনাবলী এবং সঠিক বিবেকবুদ্ধির বহি:প্রকাশই মূল্যবোধ। বিভিন্ন পন্ডিত মূল্যবোধকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সমাজবিজ্ঞানী এইচ এম জনসন এর মতে “সামাজিক মূল্যবোধ হল একটি মানদন্ড”।

ক্লাইড ক্লুখোন (ঈষুফব কষঁড়শযড়হ) বলেন “সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সেসব প্রকাশ্য ও অনুমেয় আচার-আচরণের ধারা যা ব্যক্তি ও সমাজের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বলে স্বীকৃত”। সমাজবিজ্ঞানী এফ ই মেরিল বলেন “সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে বিশ্বাসের এক প্রকৃতি বা ধরণ, যা গোষ্ঠীগত কল্যাণে সংরক্ষণ করাকে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।

অতএব, সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সেসব ধারণার চূড়ান্ত ব্যাপ্তি যা মানুষ হিসেবে একজন ব্যক্তির জীবনে একান্ত কাম্য। সমাজের এসব মূল্যবোধ মানুষের জীবনের জন্য লক্ষ্য ও প্রাপ্তি স্থির করতে সাহায্য করে।

নৈতিকতার ধারণা: নৈতিকতা ব্যক্তিগত একটি বিষয়। পৃথিবীতে ভালো-মন্দ যাচাই করার কোন শ্বাশত মানদন্ড না থাকার ফলে একজনের দৃষ্টিতে যে বিষয়টি ভালো অন্য জনের দৃষ্টিতে তা খারাপ হতে পারে। তবে ভালো-মন্দের একটি গড়পড়তা মানদন্ড সব সমাজে প্রায় একই রকম। সততা, সদাচারী, সৌজন্যমূলক আচরণকারী, প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারি ব্যক্তিকে সব সমাজই নৈতিক গুনসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে।

এ রকম ব্যক্তি কোন বিষয়টি সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য ভালো বা মন্দ তা নির্ণয় করতে পারে। এই ভালো ও মন্দের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারাটাই হল ব্যক্তির নৈতিকতা। নৈতিকতাকে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। উদাহরণস্বরূপডি এন সিডলি’র মতে “সঠিক ও বেঠিক এর মাঝে পার্থক্যই হল নৈতিকতা”।

আইন ও নৈতিকতার সম্পর্ক আইন ও নৈতিকার বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলে দেখা যায় এ দুটি প্রত্যয়ের মাঝে দুই ধরনের সম্পর্ক থাকতে পারে। একটি হল মিল বা সুসম্পর্ক; অন্যটি অমিল বা পার্থক্য। আইন ও নৈতিকতার সুসম্পর্ক উদ্দেশ্যগত: আইন ও নৈতিকতা উভয়েরই উদ্দেশ্য হল সৎ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ও দেশ গঠন। আইনের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে সৎ, যুক্তিসংগত, নিয়মের মাঝে রাখা।

অন্যদিকে, নৈতিকতারও একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। নীতিবান ব্যক্তি তার কর্মে ও কথায় সবসময় সৎ, সদাচারী, সৌজন্যমূলক ও সৎচিন্তাশীল হয়ে থাকে। এসব গুণ সমাজজীবনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য অপরিহার্য। সাধারণত সমাজে যেসব বিষয়গুলো আইন বিরোধী, সেগুলো সাধারণত নীতিবিরোধীও হয়। যেমন, প্রতারণা বিষয়টি নীতিবিরোধী আবার তা আইন বিরোধীও। বাংলাদেশে কেউ প্রতারণা করলে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২০ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায়।

এ ধরনের বিবেচনা থেকে অধ্যাপক আর জি গেটেল বলেন, “আইন ও নৈতিকতার মাঝে নিবিড় সম্পর্ক বিরাজমান।” প্রভাবগত: সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থানকারী ব্যক্তিকে নীতি-নিষ্ঠ আখ্যা দেওয়া হয়। নীতি-নিষ্ঠতা মানুষের কাছ থেকে স্বাভাবিক প্রত্যাশা। কিন্তু স্বার্থের দ্বন্দ্ব, সীমাহীন চাহিদা, হিংসাত্নক মনোভাবের কবলে পড়ে অনেক সময় মানুষ নীতিবোধ বিসর্জন দেয়। আইনের হস্তক্ষেপে মানুষ অনেক সময় নীতিবোধ বিসর্জিত হওয়াটা বুঝতে শিখে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


স্বাধীনতা ও সাম্যের ধারণা আইন,

স্বাধীনতা ধারণা: ’স্বাধীনতা’ নামক প্রত্যয়টি পৌরনীতি ও সুশাসন এর আলোচনায় খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। রাষ্ট্রে একজন নাগরিকের অস্তিত্ব বিভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত স্বাধীনতা থেকেই প্রকাশ পায়। স্বাধীনতা শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল Liberty’ স্বাধীনতাকে শাব্দিক অর্থে বলা যায় নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করা।

কিন্তু একজনের স্বাধীনতার সাথে অন্যের স্বাধীনতা ভোগের বিষয় যেহেতু জড়িত তাই পৌরনীতিতে স্বাধীনতা মানে যা খুশি তাই করা নয়। স্বাধীনতা মানে যৌক্তিক ও আইনসিদ্ধভাবে কোন কিছু করাকেই বুঝায়।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকগণ নানা ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। যেমন- চলাফেরার স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্ম সংক্রান্ত স্বাধীনতা। জাতীয় স্বাধীনতা আবার একটু ভিন্ন। এটি অর্জন করা কঠিন। সাধারণত স্বাধীনতার আন্দোলন বা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের মাধ্যমে একটি জাতি স্বাধীনতা লাভ করে।

নাগরিক বা জাতি সে যা-ই হোক না কেন, এদের স্বাভাবিক অস্তিত্বের জন্য স্বাধীনতা অপরিহার্য। তাই দেখা যায় পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের সংবিধানেই নাগরিকদের স্বাধীনতা ভোগের বিষয়ে নানান ধরনের ধারা সংযুক্ত থাকে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এইচ জে লাস্কি বলেছেন “স্বাধীনতা হল অধিকারের ফল”। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী টি এইচ গ্রিন বলেন, “যা উপভোগ করার এবং সম্পন্ন করার যোগ্য তা উপভোগ ও সম্পাদন করার ক্ষমতাকে স্বাধীনতা বলে”।

প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বাধীনতা ভোগ করতে চায়। স্বাধীনতা হচ্ছে ব্যক্তির অধিকার। জীবনের সুকুমার বৃত্তিগুলোর বিকাশের জন্য এটি অপরিহার্য। আদর্শ নাগরিক সৃষ্টিতে স্বাধীনতা ভোগের বিকল্প নেই। স্বাধীনতার বিপরীত হল পরাধীনতা বা স্বাধীনতাহীনতা। স্বাধীনতাহীনতায় কেউ বাঁচতে চায় না। পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তির জন্য অনেক জাতি যুগের পর যুগ সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আবার আত্নপরিচয়ের এবং ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য নাগরিকদের স্বাধীনতা প্রদান করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।

সাম্যের ধারণা: সাম্য শব্দটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রীসের নগররাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্লেটোর লেখনীতেও সাম্যবাদের কথা পাওয়া যায়। প্লেটোর সাম্যের ধারণা অবশ্য আধুনিক ধারণা থেকে ভিন্ন। আধুনিকযুগে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিলোপ করে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন কার্ল মার্কস।

অষ্টাদশ শতাব্দীতে জন লক, রুশোর মতো চিন্তাবিদদের লেখালেখি এবং আমেরিকার স্বাধীনতা ও ফরাসি বিপ্লব এর মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে সমাজে বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠতে থাকে। ফরাসি বিপ্লবের মূল কথাই ছিল সাম্য। সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্ব এই তিনটি বিষয় প্রতিষ্ঠা করা ছিল ফরাসি বিপ্লবের মূল্য লক্ষ্য। বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে সাম্য বলতে মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের উপযোগী সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে পাওয়াকে বুঝায়।

উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা লাভ করাকে বুঝায়। অধ্যাপক হ্যারল্ড লাস্কির মতে, সকলের সম্মুখে যথার্থ সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্ত রাখার অর্থ হল সাম্য। অর্থাৎ, সাম্য বলতে এমন একটি অবস্থা বা পরিবেশ বুঝায় যেখানে সকল নাগরিক সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করে যথার্থভাবে নিজেদের বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


স্বাধীনতা ও সাম্যের পারস্পরিক সম্পর্ক ও গুরুত্ব;

পৌরনীতি ও সুশাসন আলোচনায় সাম্য ও স্বাধীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমাজে বসবাস করতে হলে সাম্য ও স্বাধীনতা দুটিই প্রয়োজন।

বৈষম্যযুক্ত সমাজে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করে। পক্ষান্তরে, স্বাধীনতাহীন ব্যক্তি বা জাতির বিকাশের সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়। সাম্য ও স্বাধীনতার মাঝে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ দু’ধরনের সম্পর্ক চিহ্নিত করেন। একটি ধারা সাম্য ও স্বাধীনতার মধ্যে সমধর্মীতার কথা বলে অন্য ধারাটি এই দুইয়ের মাঝে কিছু বৈপরীত্য দেখতে পায়।

সমধর্মীতামূলক সম্পর্ক: সাম্য ও স্বাধীনতা নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। স্বাধীনতা ভোগের ক্ষেত্রে অন্যের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করাই হল সাম্যচিন্তা। রুশো, লাস্কি, বার্কার প্রমূখ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ মনে করেন সাম্য ও স্বাধীনতা পরস্পর পরিপূরক। উভয়ের সম্পর্ক অতি নিবিড়। সাম্য ছাড়া স্বাধীনতার অস্তিত্ব নাই।

সমাজে সাম্য না থাকলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি ভেদে বৈষম্য ঘটে। এ অবস্থায় স্বাধীনতা অর্থহীন হতে থাকে। আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই কেবল একজন নাগরিক তার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে। সাম্য ও স্বাধীনতার ধারণা অভিন্ন।

স্বাধীনতা এমন একটি পরিবেশকে বোঝায় যেখানে মানুষ নিজের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটাতে পারে। সাম্যর এমন একটি পরিবেশ বা পরিস্থিতি বোঝায় যা ব্যক্তির পূর্ণ বিকাশে সহায়তা করে। অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানী অর্থনৈতিক সাম্যকে স্বাধীনতার পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করেন।

অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে মানুষের স্বাভাবিক বিকাশও চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তির স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যায়।। এভাবে দেখলে সাম্য ও স্বাধীনতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

বৈপরীত্যমূলক সম্পর্ক: মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সমান নয় এবং প্রত্যেকেই নিজগুণে স্বতন্ত্র। ফলে একেক জনের স্বাধীনতার মাত্রাও ধারণা একেক রকম। এই স্বাতন্ত্র্যগুলো বিবেচনায় না নিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সাম্য বাস্তবায়িত হলে, ব্যক্তির স্বাধীনতার ক্ষেত্রে নানাবিধ বাধা তৈরি হয়।

লর্ড অ্যাকটন, হার্বার্ট স্পেনসার, বেজহট প্রমূখ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ সাম্য ও স্বাধীনতার মধ্যে পরস্পর বিরোধী সম্পর্ক রয়েছে মনে করেন। লর্ড অ্যাকটন এর মতে “সাম্য অর্জনের আগ্রহ স্বাধীনতার আশাকে ব্যর্থ করে”। মার্কসবাদীগণ সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট , ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

Post a Comment

আমাদের সাথে থাকুন
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!