এইচএসসি ( বিএম ) বিষয়ের নাম : মার্কেটিং নীতি ও প্রয়ােগ -১৮২৮ তাত্ত্বিক চুড়ান্ত মূল্যায়নের
অ্যাসাইনমেন্ট: ‘মূলধন গঠনের চক্র এবং গুরুত্ব ব্যাপকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে’ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন
শিখনফল :
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন এর ধারণা
- মূলধন ও মূলধন গঠন এর ধারণা
- মূলধন গঠন এর চক্র
- মূলধন গঠন এর গুরুত
নির্দেশনা :
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
- মূলধন ও মূলধন গঠন এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
- মূলধন গঠন এর চক্র বর্ণনা করতে হবে
- মূলধন গঠন এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে
উত্তর সমূহ:
অর্থনৈতিক উন্নয়ন এর ধারণা ব্যাখ্যা
প্রবৃদ্ধি অর্থনীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপাদানগুলোকে নিয়ে আলোচনা করে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে একটি দীর্ঘকালীন সময়ে একটি দেশের মাথাপিছু উৎপাদন বৃদ্ধির পরিমাণ। বিভিন্ন দেশের মাথাপিছু উৎপাদনের মধ্যে পার্থক্য দেখানোর জন্য এক ধরনের একক ব্যবহার করা হয়। বেশির ভাগ উপাদানই বিনিয়োগ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের হারকে অন্তর্ভুক্ত করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এই উপাদানগুলো তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ভাবে (নিওক্লাসিক্যাল প্রবৃদ্ধি মডেল অনুসারে) এবং প্রবৃদ্ধি পরিমাপে প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। নির্দিষ্ট কিছু স্তরে, উন্নয়ন অর্থনীতি স্বল্প আয়ের দেশসমূহ সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় কাঠামোগত পরিবর্তন, দারিদ্রতা এবং অর্থনৈতিক প্রগতিকে সামনে রেখে অর্থনৈতিক হাতিয়ার সমূহকে বিশ্লেষণ করে। উন্নয়ন অর্থনীতি কর্পোরেটবিহীন সামাজিক ও রাজনৈতিক উপাদানসমূহকে কাজে লাগায়
মূলধন ও মূলধন গঠন এর ধারণা ব্যাখ্যা
অর্থনীতিতে মূলধন বলতে মানুষের শ্রমের দ্বারা উৎপাদিত সম্পদের সেই অংশকেই বোঝায় যা পুনরায় উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হয়। মি বয়ার্কের মতে , “ মূলধন হল উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান।”
অধ্যাপক জে এফ.সিল বলেন,“ মুলধন হল ভবিষ্যৎ সম্পদ উৎপাদনের জন্য অতীত শ্রমের সংগৃহীত উপাদন” । আধুনিক কালে মূলধনের আওতা ও পরিধি ব্যাপক হয়েছে। উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত মানুষের বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী আয়ের ঐ অংশ মূলধন বলে বিবেচিত হয় যা অধিক উৎপাদনের জন্য পুনরায় উৎপাদন কাজে নিযুক্ত হয়।
মূলধন গঠন : সাধারণভাবে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূলধনের বৃদ্ধি ঘটানো হয় তাকে মূলধন গঠন বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুদ্রার সঞ্চয়, সঞ্চিত অর্থ সংগ্রহ ও এর বিনিয়োগ ঘটে তাকে অর্থনীতিতে মূলধন গঠন বলে। অধ্যাপক বেনহামের মতে,“কোন নির্দিষ্ট সময়ে একটি সমাজ তার মূলধনের যে পরিমান বৃদ্ধি সাধন করে তাকে উক্ত সময়ের মূলধন গঠন বলা হয়।”
ধরি, বাংলাদেশে ২০০৫ সালে মূলধনের পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি টাকা এবং ২০০৬ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৫০ কোটি টাকা। এখানে বাৎসরিক মূলধন গঠনের পরিমান (১৫০-১০০) ৫০ কোটি টাকা এবং মূলধন গঠনের হার ৫০%।
মূলধন গঠন এর চক্র ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে
মূলধন গঠন মুলত সঞ্চয় ও বিনিয়োগের উপর নির্ভর করে। মূলধন গঠনের প্রক্রিয়াটি তিনটি স্তরে বিভক্ত।
যথা :
১) সঞ্চয়ের সার্মথ্য
২) সঞ্চয়ের ইচ্ছা
৩) বিনিয়োগের সুবিধা
১)সঞ্চয়ের সামর্থ্য ঃ মানুষের সঞ্চয়ের পরিমাণ তার সামর্থ্যরে উপর নির্ভর করে। সঞ্চয়ের সামর্থ্য আবার আয় ও ব্যয়ের ব্যবধানের ওপর নির্ভর করে। আয় ও ব্যয় সমান হলে সঞ্চয় হবে শূন্য। ব্যয় থেকে আয় বেশি হলে সঞ্চয়ের সামর্থ্য তথা সঞ্চয় হবে এবং এর একটি অংশ মূলধনে পরিণত হবে। যাদের আয় যত বেশি তাদের সঞ্চয়ের সামর্থ্যও তত বেশি। অনুন্নত দেশের আয়ের পরিমাণ, মূল্যস্তর, পরিবারের আয়তন, রুচি, অভ্যাস, কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা জীবনযাত্রার মান ইত্যাদি সঞ্চয়ের সামর্থ্য নির্ধারণ করে।
২) সঞ্চয়ের ইচ্ছা: ইচ্ছার উপর সঞ্চয় নির্ভর করে। এমন অনেক লোক আছে যাদের প্রচুর আয় থাকা সত্বেও কোন সঞ্চয় নেই। বস্তুত সঞ্চয়ের পরিমাণ বহুলাংশে সঞ্চয়ের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। সঞ্চয়ের ইচ্ছা আবার নিম্নের কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন১. দূরদৃষ্টি : ব্যক্তি যদি দূরদর্শী হয় অর্থাৎ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বর্তমান আয় থেকে কিছু কিছু সঞ্চয় করে।
২. প্রতিপত্তি লাভের আকাক্সক্ষা : অনেক ব্যক্তি সমাজে সম্পদশালী, প্রভাব প্রতিপত্তি ও আধিপত্য বিস্তার করার জন্য আয়ের সম্পূর্ন ভোগ ব্যয় না করে সঞ্চয় করে, এ সঞ্চয় মূলধনে পরিণত হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৩. অধিক সুদের হার : সমাজে সুদের হার যখন বেশি হয়, তখন জনগন বর্তমান ভোগ থেকে বিরত থেকে সঞ্চয়ে আগ্রহী হয়। এতে মূলধন গঠিত হয়।
৪. নিরাপত্তা : সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ও জানমালের নিরাপত্তা ও সঞ্চিত সম্পদের নিরাপত্তা থাকলে মানুষ সঞ্চয়ে আগ্রহী হয়।
৫. কৃপনতা : সমাজে অনেক ব্যক্তি আছে যারা খরচ করতে কৃপনতা করেন। তারা দৈনন্দিন খরচ বাঁচিয়ে সঞ্চয় করেন।
৬. বিনিয়োগের সুবিধা : যে সমাজে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে, অর্থাৎ বিনিয়োগ লাভজনক, সে সমাজের মানুষ সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ হয়।
৭. কর ব্যবস্থা : কর ব্যবস্থা যদি এমন হয়, সে সঞ্চিত অর্থের উপর কোন কর দিতে হবে না, তখন মানুষ বেশি করে সঞ্চয় করতে উদ্ধুদ্ধ হয়। অর্থাৎ সরকারের করব্যবস্থা ও নীতি জনসাধারনের সঞ্চয় অভ্যাসকে প্রভাবিত করে।
৮. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা : ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত সম্পদ আহরণকে উৎসাহিত করা হয়। তাই ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সঞ্চয় ও মূলধন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
৩) বিনিয়োগের সুবিধা: মূলধন গঠন অনেকাংশে বিনিয়োগের সুযোগ সুবিধার উপর নির্ভর করে। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বিরাজ করে। হরতাল, ধর্মঘট, সন্ত্রাস ইত্যাদির কারণে জনগনের মধ্যে জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার অভাব দেখা যায়।
দেশে বা সমাজে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ বিদ্যমান থাকলে একদিকে উদ্যোক্তাগণের লাভ হবে, অন্যদিকে বিনিয়োগের পরিবেশ অনুকূল হলে সাধারণ জনগনের মধ্য থেকে অনেকে উৎসাহিত হয়ে ব্যবসা বাণিজ্যের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এর জন্য মূলধন গঠনের প্রচেষ্টা চালাবেন।
মূলধনের উৎপাদন ক্ষমতাকে মূলধনের দক্ষতা বুঝায়। মূলধন নিয়োগের ফলে দ্রব্যের উৎপাদন যে পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাকে মূলধনের উৎপাদন ক্ষমতা বলে। উৎপাদনের আয় থেকে অন্যান্য উপাদান ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বাদ দিয়ে মূলধন ব্যবহারের জন্য যে লাভ পাওয়া যায় তা হল মূলধনের উৎপাদনের ক্ষমতা।
তবে প্রকৃতপক্ষে উৎপাদনে প্রত্যেকটি উপাদানের অবদান কতটুকু তা নির্ধারণ শক্ত ব্যাপার। যে মূলধন পণ্যের প্রান্তিক উৎপাদন ক্ষমতা সর্বাধিক, উৎপাদনকারী সেই মূলধন পণ্য ব্যবহারে তত আগ্রহী। কোন কোন বিষয়ের উপর মূলধনের ক্ষমতা নির্ভর করে। বিষয়সমূহের উপর মূলধনের উৎপাদন ক্ষমতা নির্ভর করে
১) উৎপন্ন দ্রব্যের চাহিদা : উৎপন্ন দ্রব্যের চাহিদার উপর মূলধনের দক্ষতা নির্ভর করে। উৎপন্ন দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে সেখানে উৎপাদনকারী আরো মনোযোগী হয়, বৈচিত্র্যময় দ্রব্য উৎপাদন করে এবং মূলধনের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
২) উন্নত প্রযুক্তি ও উৎপাদন পদ্ধতি : উন্নত প্রযুক্তি ও উৎপাদন পদ্ধতি প্রয়োগের উপর মূলধনের উৎপাদন ক্ষমতা নির্ভর করে। পুরাতন যন্ত্রপাতির পরিবর্তে আধুনিক ও নতুন যন্ত্রপাতি অধিকতর উৎপাদনশীল ও দক্ষ।
৩) শ্রমিকের কর্মদক্ষতা : শ্রমিকের কর্মদক্ষতার উপর উৎপাদনের দক্ষতা নির্ভর করে। একই যন্ত্রপাতির সাহায্যে দক্ষ শ্রমিক অদক্ষ শ্রমিকের চাইতে অধিক উৎপাদন করে। বস্তুত: দক্ষ শ্রমিক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি একত্রে মিলিয়েই এরূপ উৎপাদন সম্ভব হয়।
৪) মূলধনের পরিমাণ : উৎপাদন কাজে মূলধনের পরিমাণ পর্যাপ্ত হলে মূলধনের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। মূলধনের পরিমাণ অপর্যাপ্ত হলে উৎপাদিকা শক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার বিঘ্নিত হয়। ফলে উৎপাদন কম হয়। সুতরাং মূলধনের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হলে মূলধনের পরিমাণ যথোপযুক্ত হতে হবে।
৫) মূলধনের মান : মূলধনের মান উন্নত হলে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। উন্নত ও নতুন যন্ত্রপাতি পুরাতন যন্ত্রপাতি অপেক্ষা অধিক উৎপাদনশীল।
৬) মূলধনের উপযুক্ত বিনিয়োগ : মূলধনের উপযুক্ত বিনিয়োগের দ্বারা এর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। মূলধনের ব্যবহার যথার্থ না হলে তার উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়।
৭) উৎপাদনে বৈচিত্র্য প্রবর্তন : উৎপাদন ক্ষেত্রে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি আবিষ্কৃত হচ্ছে, বৈচিত্র্যময় উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে এবং মূলধনের প্রান্তিক উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এভাবে উপাদানের নতুন আবিষ্কার, কাঁচামালের নতুন উৎস আবিষ্কার, শিল্প কারখানাকে নতুনভাবে সংগঠিত করা হলে মূলধনের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৮) ব্যবসায়ীদের মনোভাব : মূলধন বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীগণ আশাবাদী হলে, ঝুঁকি গ্রহণে ইচ্ছুক হলে মূলধনের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। অপরপক্ষে, নৈরাশ্য মূলধন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে।
পরিশেষে বলা যায়, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার উপর মূলধনের উৎপাদন ক্ষমতা নির্ভর করে। ব্যবসা পরিচালনার দক্ষতা মূলধনের যথোপযুক্ত ব্যবহারকে নিশ্চিত করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ । কৃষির উন্নতির ওপর এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সার্বিকভাবে নির্ভরশীল । কিন্তু বাংলাদেশের । গেড়ে বসে আছে । নিম্নে কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণের বিভিন্ন সমস্যা , অসুবিধা ও অস্তরায় সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে
১। সরকারের উদাসীনতা ও সরকারি উদ্যোগে দেশের বিপণন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না । সরকারি পর্যায়ে কৃষকদের ঋণ প্রদানের কার্যকরী কর্মসূচি প্রায় নেই । অথচ গ্রাম্য মহাজনদের কাছ থেকে অত্যন্ত চড়া সুদে ঋণ নেওয়া । সম্পূর্ণরূপে অলাভজনক । তাই সরকারের এহেন উদাসীনতা বাংলাদেশে কৃষিজাত পণ্য বিপণনে প্রতিকূল প্রভাববিস্তার করে ।
২৷ মধ্যস্থকারবারিদের সংখ্যাধিক্য ও আমাদের দেশে কৃষিজাত পণ্য বিপণনের কাজে অসংখ্য মধ্যস্থকারবারি জড়িত থাকে , যেমন- ব্যাপারি , ফড়িয়া , আড়তদার , দালাল , পাইকার , খুচরা কারবারি ইত্যাদি । এদের কাজকর্মের ফলে বিপণন ব্যবস্থা অনেকগুণ বৃদ্ধি পায় , ফলে পণ্যের ওপর এর প্রতিকূল প্রভাব ফেলে ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৩। প্রতারণামূলক প্রথা ও আমাদের কৃষিজাত পণ্য বিপণনে বিভিন্ন রকম প্রতারণামূলক প্রথা চালু আছে , যেমন- অসত্য ওজন ও পরিমাপ ব্যবহার , নানা ধরনের চার্জ ইত্যাদি । কৃষিপণ্যের বিক্রয়কালে বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় প্রথাভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের ওজন ও পরিমাপের ব্যবহার সবার জন্য দুঃখজনক ।
81 আর্থিক সমস্যা ও আমাদের দেশের দরিদ্র কৃষকগণ আর্থিক দৈন্যতায় জর্জরিত থাকে । এজন্য তারা ফসল কাটার মৌসুমেই দেনা পরিশােধ করার জন্য স্বল্পমূল্যে ফসল বিক্রয় করে দিতে বাধ্য হয় । আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে , উৎপাদনের আগেও আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য আগাম ফসল বিক্রয় করে থাকে । ফলে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয় ।
৫। সমবায় বিপণনের অভাব ও বর্তমান বিশ্বের অনেক উন্নত কৃষিপ্রধান দেশে সমবায় বিপণনের মাধ্যমে কৃষকদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয় । আমাদের মতাে কৃষি উন্নয়নশীল দেশে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির জন্য কৃষি সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম । কিন্তু বাংলাদেশের কৃষকরা যেমন নিজেদের উদ্যোগে কৃষিকাজ চালায় তেমনি নিজেদের উদ্যোগে বাজারজাতকরণ করে । ফলে মধ্যস্থকারবারিরা কৃষকদের শােষণ করার সুযােগ পায় । এজন্যই কৃষকদের সমবায় বিপণন পদ্ধতির প্রয়ােজন ।
৬। প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণ সমস্যা ও কৃষিজাত পণ্যের বাজারজাতকরণের জন্য প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণ খুবই প্রয়ােজনীয় । আমাদের দেশে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের একটি বৃহত্তম সমস্যা হলাে প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণের অভাব । আমাদের দেশের কৃষকরা প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণ একেবারেই বুঝে না ।
৭। সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাব ও বাংলাদেশে কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য সঠিক এবং সুগঠিত পণ্যাগার ও হিমাগারের যথেষ্ট অভাব রয়েছে । আর যাও বা আছে তা এদেশের কৃষকের নাগালের বাইরে । এজন্য কৃষকরা অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তাদের নিজস্ব পন্থায় পণ্য সংরক্ষণ করে । এর ফলে বিভিন্নভাবে পণ্যের ক্ষতিসাধন হয় ।
৮। পরিবহন ব্যবস্থার অভাব ঃ বাংলাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা অনুন্নত বলে কৃষি উৎপাদনকারীর কাছ থেকে ব্যবহারকারী বা ভােক্তার কাছে দ্রব্য বা কৃষিপণ্য প্রেরণ করা খুবই ব্যয়সাপেক্ষ । অপর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থার ফলে পণ্য চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে প্রাথমিক বাজারজাতকরণের ব্যয় অনেকগুণ বেড়ে যায় ।
১০। অন্যান্য বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য বিপণনে উল্লিখিত সমস্যাগুলাে ছাড়া আরও যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলাের মধ্যে অসংগঠিত বাজারজাতকরণ , ভেজাল মিশ্রণ , ঝুঁকি , মূল্যের ওঠানামা , প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাব , প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার অভাব অনিশ্চিত উৎপাদন ও বণ্টন , চাহিদার পূর্বানুমানের অভাব ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য । কৃষিপণ্যের বিপণন ব্যবস্থা নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত । নানাবিধ কারণে এদেশে কৃষিপণ্যের বিপণনে অনেক ত্রুটি – বিচ্যুতি শিকড় ।
১১। পরিচ্ছন্নকরণ ও শুষ্ককরণ ও কৃষিপণ্যের সঠিক মূল্য পেতে হলে বিপণনের পূর্বে এসব দ্রব্য সুন্দরভাবে পরিষ্কার ও শুদ্ধ করা খুবই প্রয়ােজন । কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় , সুযােগ – সুবিধার অভাবে কৃষকরা তা করতে পারে না এবং মাঠ থেকে যে অবস্থায় ফসল সংগ্রহ করে প্রায় সে অবস্থাতেই তারা সেগুলাে বাজারে আনয়ন করে । ফলে কৃষকরা স্বিল্পমূল্যে সেগুলাে বিক্রয় করতে বাধ্য হয় ।
পরিশেষে বলা যায় যে , আমাদের দেশে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে বহুবিধ সমস্যা রয়েছে । তাই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে এসব সমস্যার আশু সমাধান হওয়া প্রয়ােজন । এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত , সামাজিক ও সরকারিভাবে কৃষিপণ্য
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।