এস.এস.সি (ভোক) দশম শ্রেণি ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন ২য় পত্র ১ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২১

এস.এস.সি (ভোক) দশম শ্রেণি ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন ২য় পত্র ১ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২১ এস.এস.সি (ভোক) দশম শ্রেণি ফুড প্রসেসিং
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 


অ্যাসাইনমেন্ট:  খাদ্য সংরক্ষণের সাধারণ পদ্ধতি বিশ্লেষণকরণ।

 

শিখনফল :

 

১.খাদ্য সংরক্ষণের সংজ্ঞা লিখতে পারবে।

 

২.খাদ্য সংরক্ষণের সাধারণ পদ্ধতিগুলি বর্ণনা করতে পারবে। 

 

৩.খাদ্য সংরক্ষণের প্রয়ােজনীয়তা বর্ণনা করতে পারবে।

 

নির্দেশনা :

 

  • খাদ্য সংরক্ষণের সংজ্ঞা।
  • খাদ্য সংরক্ষণের সাধারণ পদ্ধতিগুলি।
  •  খাদ্য সংরক্ষণের প্রয়ােজনীয়তা।

 

উত্তর সমূহ:

 

খাদ্য সংরক্ষণের সংজ্ঞা ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যদ্রব্য বিভিন্ন রােগজীবাণুর আক্রমণ ও ক্ষতি থেকে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি । কার্যকর খাদ্য সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্য খাদ্যবস্তুতে যথাসম্ভব মূল বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখা ও পুষ্টিমান বজায় রাখার পদ্ধতিকে খাদ্য সংরক্ষণ বলে ।

 

খাদ্যের গুণাগুণ সঠিক রাখার জন্য এবং পুষ্টিমান ঠিক রেখে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য খাদ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে রেখে দেওয়াকে খাদ্য সংরক্ষণ বলে । আমরা জানি খাদ্যদ্রব্য রেখে দিলে ব্যাকটেরিয়া বা অণুজীব আক্রমণ চালায় এবং খাদ্যে টক্সিন তৈরি করে । ফলে খাদ্যকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে । 

 


খাদ্য সংরক্ষণ ( Food preservation ) হল খাদ্যদ্রব্যকে ব্যাকটেরিয়া , ছত্রাক ( যেমনঃ ঈস্ট ) এবং অন্যান্য অণুজীবের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং খাদ্যের জারণ না ঘটতে দিয়ে এর পচন রােধ করে খাদ্যের স্বাদ ও গুণমান অক্ষুন্ন রাখার প্রক্রিয়া ।

 

 

শুঙ্ককরণ
খাদ্যদ্রব্যের পচন রােধের জন্য যেসকল পদ্ধতি প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে , তার মধ্যে শুষ্ককরণ অন্যতম । প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ১২ ,০০০ সালে মধ্য - পূর্ব এবং প্রাচ্যে সূর্যালােকের সাহায্যে খাদ্যদ্রব্যকে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হত । সবজি এবং ফলমূল স্বাভাবিকভাবেই সূর্যালােকের মাধ্যমে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা গেলেও মধ্যযুগের বাড়িঘরের গঠনের কারণে বাড়ির ভেতরে যথেষ্ট পরিমাণে সূর্যালােক প্রবেশ করতে পারত না । তাই অনেক সময় আগুনের সাহায্যও নেওয়া হত । 

 

• ঠাণ্ডা : এটা 0 ° C এবং -4c মধ্যে তাপমাত্রা খাদ্য বিষয় , যাতে তাপ নিষ্কাশন করার জন্য মধ্যে রয়েছে এই পদ্ধতিটি অস্থায়ীভাবে অণুজীবের বিকাশ থামানাে সম্ভব করে এবং এনজাইমগুলি যে গতিতে কাজ করে তার গতি কমিয়ে দেয় ।

 


• রেফ্রিজারেশন : 5 ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে কম তাপমাত্রায় খাদ্য সঞ্চয় করার বৈশিষ্ট্যযুক্ত ; এটি খাবার টাটকা রাখতে এবং কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় । 

 


শুকানাে বা ডিহাইড্রেশন : এটি প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম হতে পারে । এই পদ্ধতির সাহায্যে অণুজীবগুলি বিকাশ পায় না বা শুকনাে খাবারগুলিতে এনজাইমগুলি তাদের ক্রিয়াকলাপটি ব্যবহার করে না । প্রাকৃতিক শুকানাের ক্ষেত্রে সূর্যের হস্তক্ষেপে , এটি ফল ( কিসমিস ) , শস্য , লেবুতে ব্যবহার করা যেতে পারে । আজকাল এগুলি ওভেন , টানেল বা ড্রায়ার ব্যবহার করে শুকানাে যেতে পারে ।

 


saiting এবং ধূমপান : খাদ্য লবণ যােগ করে , এটা তার পানি মানেনা , এবং ব্যাকটেরিয়া এবং এনজাইমের কার্যকলাপ গতি নিচে । যখন খাবার কাঠের ধোঁয়া ( বিচ , ওক , বার্চ ) এর শিকার হয় , তখন অনেকগুলি রাসায়নিক পদার্থের উদ্ভব হয় দুর্দান্ত জীবাণুমুক্ত শক্তি দিয়ে এবং এটি ছাড়াও , খাবারে একটি সাধারণ সুগন্ধ এবং গন্ধ দেয় । 

 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপি বা চুরি করা থেকে বিরত থাকুন (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

 

ক্যানিং : খাবার ও পাত্রে নির্বীজন করে । পাত্রে কাচ , টিন , অ্যালুমিনিয়াম এবং পিচবাের্ড দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে । প্যাকেজ হওয়ার আগে , খাবারটি রান্না করে পরিষ্কার করা হয় , রান্নায় বিভিন্ন তাপমাত্রা এবং সময়গুলি এটি মাংস , মাছ বা ফল কিনা তার উপর নির্ভর করে ব্যবহৃত হয় । 

 


• আচার : এটি বাঁধাকপি , শসা , ফুলকপি , শস্য , জলপাই ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয় ভােজ্যগুলি সল্ট করা হয় এবং তারপরে মশলা দিয়ে বা ছাড়াই ভিনেগারে সংরক্ষণ করা হয় । এই কৌশলটিতে নিরাময় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এর মধ্যে ধূমপান , স্যাল্টিং এবং ব্রিন বা ভিনেগারে মেরিনেড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রথম দুটি লাল মাংসে ব্যবহৃত হয় ।

 


ঘনীভূত চিনি :, হাই কেন্দ্রীকরণ প্যারাফিন বা পৃষ্ঠ আচ্ছাদন করে কিছু ছত্রাক ছাড়া অণুজীবের বিস্তার রােধ , তাদের বৃদ্ধি বন্ধ করতে , অক্সিজেন পাত্রে থেকে মুছে ফেলা হবে ফল এবং / অথবা উদ্ভিদ প্রস্তুতি চিনি যােগ নিয়ে গঠিত ভ্যাকুয়াম সিল পাত্রে ।

 

 

আধুনিক ও উন্নত ধরনের পদ্ধতি । এই পদ্ধতিতে খাদ্যদ্রব্যকে বায়ুরােধী অবস্থায় বা আগুনে শােধিত করে সাধারণত প্রিজারভেটিভ যােগ করে কৌটার মধ্যে রেখে সংরক্ষণ করা হয় , যেন এর খাদ্যমান ও স্বাদ অক্ষুণন থাকে । এই খাদ্যদ্রব্যকে বহুদিন পর্যন্ত ভালাে রাখা যায় । এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন দূর করে খাদ্যকে জারণের হাত থেকে রক্ষা করা যায় । এছাড়াও এনজাইম বিনষ্ট এবং অনাকাঙ্খিত ব্যকটেরিয়া ধ্বংসের । জন্যেও এই পদ্ধতি অত্যন্ত জারণের হাত থেকে রক্ষা করা যায় । এছাড়াও এনজাইম বিনষ্ট এবং অনাকাঙ্খিত ব্যকটেরিয়া ধ্বংসের জন্যেও এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর । এই পদ্ধতিতে মাছ , মাংস , ফল , সবজি এমনকি দুধও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় । এই পদ্ধতি ব্লাঞ্চিং , একজস্টিং , সিলিং , স্টেরিলাইজিং  এনজাইম বিনষ্ট এবং অনাকাঙ্খিত ব্যকটেরিয়া ধ্বংসের জন্যেও এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর । এই পদ্ধতিতে মাছ , মাংস , ফল , সবজি এমনকি দুধও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় । এই পদ্ধতি ব্লাঞ্চিং , একজস্টিং , সিলিং , স্টেরিলাইজিং সহ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয় ।

 


রাসায়নিক সংযােজনসমূহ : এগুলি হ'ল পুষ্টিকর পদার্থগুলি ইচছাকৃতভাবে অল্প পরিমাণে খাবারে যুক্ত করা হয় , চেহারা , স্বাদ , ধারাবাহিকতা বা রাখার বৈশিষ্ট্যগুলি উন্নত করতে । খাদ্য সংরক্ষণের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত হ'ল সােডিয়াম বেনজোয়াট , এসিটিক অ্যাসিড , সােডিয়াম সাইট্রেট , সালফার এবং সােডিয়াম নাইট্রাইট ।

 

 অন্যান্য আধুনিক পদ্ধতি : এক্স - রে , অতিবেগুনী আলাে ইত্যাদির মতাে কিছু বিকিরণগুলি এমন একধরণের শক্তি যা জীবিত পদার্থকে প্রভাবিত করে এবং মারাত্মকভাবে এটিকে প্রভাবিত করে , খাদ্যকে অণুজীব থেকে মুক্ত রাখে এবং দীর্ঘকাল ধরে সংরক্ষণ করে ।

 


খাদ্য সংরক্ষণের প্রয়ােজনীয়তাঃ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য বিভিন্ন সময়ে পাওয়া যায় । যেমন বাংলাদেশে বর্ষাকালে অধিক পরিমাণে মাছ পাওয়া যায় । ইলিশ মাছ সহ আরাে বেশকিছু ধরনের মাছ বর্ষাকালেই পাওয়া যায় । খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে এদেরকে সংরক্ষণ করতে পারলে সারাবছরই আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়, মাছের দামও তুলনামূলকভাবে কম হয়। অধিকাংশ খাবারই পচনশীল । এদেরকে বেশিদিন মানসম্মত অবস্থায় দীর্ঘদিন রাখা সম্ভব হয়না । কিন্তু খাদ্যকে যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় , তাহলে এর মান দীর্ঘদিন , এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত অক্ষুন্ন থাকে ।

 


নিন্মে খাদ্য সংরক্ষণের কিছু প্রয়ােজনীয়তা দেওয়া হলঃ 
* মাছ , মাংস , সবজি , ফল , দুগ্ধজাত খাদ্য ইত্যাদি খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পচে নষ্ট হয়ে যায় । খাদ্য সংরক্ষণ খাবারে পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয় । * খাদ্য সংরক্ষণ অপচয় রােধ করে ।*খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায় । * খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে অনেক দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ করা যায় । * খাদ্যদ্রব্যকে টাটকা ও তাজা রাখে । * পরিবারের তথা দেশের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করে ।

 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

 

  • ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

 

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

إرسال تعليق

আমাদের সাথে থাকুন
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!