৩য় সপ্তাহের হিসাববিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১ সালের এসএসসি, এসএসসি হিসাববিজ্ঞান ৩য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর 2021

 



জাবেদাঃ

যে হিসাবের বইতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেনসমূহ সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুযায়ী ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় করে তারিখের ক্রমানুসারে ব্যাখ্যাসহ লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে জাবেদা বলে। ইংরেজী ‘Journal’ শব্দটি ফরাসী ‘Jour’ শব্দ থেকে এসেছে।

 

 Jour’ শব্দটির অর্থ দিবস। দৈনন্দিন লেনদেনগুলাে প্রতিদিন এই বইতে লেখা হয় বলে এর নাম হয়েছে Journal বা জাবেদা। প্রতিদিন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য লেনদেন সংঘটিত হয়। এই সমস্ত লেনদেন দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুযায়ী ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় করে তারিখ ক্রমানুসারে ধারাবাহিকভাবে জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়। প্রতিটি লেনদেন কিভাবে সংঘটিত হয়েছে তার প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যাও জাবেদায় লেখা হয়। জাবেদার প্রধান উদ্দেশ্য হল লেনদেনসমূহের হিসাব তারিখ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে লিখে রাখা এবং পরে এই বই হতে লেনদেনসমূহের হিসাব স্থায়ী ও পাকাপাকিভাবে খতিয়ানে স্থানান্তর করা। জাবেদা বিভিন্ন নামে পরিচিত। যথা ঃহিসাবের প্রাথমিক বই (Primary Book), মৌলিক হিসাব বই (Book of Original Entry ), সাহায্যকারী হিসাব বই (Subsidiary Book), দৈনিক হিসাব বই (Day Book), ধারাবাহিক হিসাব বই (Chronological Book) ইত্যাদি।

জাবেদার গুরুত্ব বা প্রয়ােজনীয়তা 

(Importance/Necessity of Journal): 

সংঘটিত লেনদেনসমূহ খতিয়ানে রেকর্ড করতে গেলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কাজেই নির্ভুল হিসাব প্রস্তুতের জন্য জাবেদা বহির প্রয়ােজনীয়তা ও গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে জাবেদার প্রয়ােজনীয়তা নিচে আলােচনা করা হলােঃ

১। তথ্য কেন্দ্র ঃসংঘটিত লেনদেনসমূহ ধারাবাহিকভাবে তারিখের ক্রমানুসারে জাবেদা বহিতে লিপিবদ্ধ হয় বলে যে কোন তথ্য এই বহিতে অতি সহজেই পাওয়া যায় ।

২। লেনদেনের সংখ্যা ও প্রতিদিন কতগুলাে লেনদেন সংঘটিত হয়েছে তা এই বহি থেকে সহজেই হিসাব পাওয়া যায়।

৩। দু’তরফা দাখিলার প্রয়ােগ ঃসংঘটিত লেনদেনগুলাে দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি মােতাবেক ডেবিট এবং ক্রেডিট নির্ণয় করে এই বহিতে লিপিবদ্ধ করা হয়। ফলে হিসাববিজ্ঞানের রীতিনীতি যথাযথ ভাবে অনুসরণ করা হয়।

৪। নির্ভুল খতিয়ান প্রস্তুত : ধরাবাহিকভাবে লেনদেনগুলাে রােজের ক্রমানুসারে জাবেদা বহিতে লেখা হয়। জাবেদা বহি হতে খতিয়ান হিসাব প্রস্তুত করা হয় বলে খতিয়ান বহি নির্ভুল হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন হিসাব বাদ পড়ে না।

৫। ভুল ও জালিয়াতি হ্রাস ঃপ্রাথমিকভাবে লেনদেনসমূহ তারিখের ক্রমানুসারে জাবেদা বহিতে ব্যাখ্যাসহ লিপিবদ্ধ করা হয়। ফলে কোন হিসাব বাদ পড়ে না বা জালিয়াতি করার সুযােগ থাকে না।

৬। সময় হ্রাস ঃবড় বড় প্রতিষ্ঠানসমূহ জাবেদার শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী লেনদেনসমূহ রেকর্ড করে থাকে বলে সময় বাঁচে এবং হিসাবের কাজও নির্ভুল হয়।

৭। ভুল বুঝাবুঝি নিরসন ও ধারাবাহিকভাবে লেনদেনগুলাে লিপিবদ্ধ করা হয় বলে ভুল হয় না এবং পক্ষগণের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হলে অতি সহজেই তা নিরসন করা যায়।

(গ) বিশেষ ও প্রকৃত জাবেদার শ্রেণিবিভাগঃ

ভূমিকাঃ ছােট ছােট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত লেনদেনগুলােকে একটি মাত্র সাধারণ জাবেদা বই এ দাখিলা দিয়ে হিসাব রাখা যায়। কিন্তু ব্যবসায়ের আকার আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে লেনদেনের সংখ্যাও বেড়ে যায়। সুতরাং হিসাবরক্ষকের পক্ষে এতগুলাে লেনদেন সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ করে রাখা সম্ভব পর হয়ে উঠে না। তাই সময় সাশ্রয় এবং কাজের ঝামেলা হ্রাস করার জন্য লেনদেনগুলােকে তাদের নিজস্ব প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার জাবেদা বই এ হিসাব লিপিবদ্ধ করা হয়। এ কারণেই জাবেদাকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করার প্রয়ােজন হয়ে পড়ে। নিচে জাবেদার শ্রেণিবিভাগ দেওয়া হলােঃ

বিশেষ জাবেদাঃ

যে জাবেদা বহিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু সংঘটিত লেনদেন লিপিবদ্ধ করা হয়, তাকে বিশেষ জাবেদা বলে। নিচে বিশেষ জাবেদাগুলাে আলােচনা করা হলােঃ

১। ক্রয় জাবেদা ঃশুধুমাত্র ধারে পণ্য ক্রয় সংক্রান্ত লেনদেনগুলাে ক্রয় জাবেদা বহিতে অন্তর্ভুক্ত হবে।

২। বিক্রয় জাবেদা ঃশুধুমাত্র ধারে পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত লেনদেনগুলাে বিক্রয় জাবেদা বহিতে অন্তর্ভুক্ত হবে।

৩। ক্ৰয় ফেরত জাবেদা ঃধারে ক্রয়কৃত পণ্য ফেরত দিলে ক্রয় ফেরত বহিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

৪। বিক্রয় ফেরত জাবেদা ও ধারে বিক্রীত পণ্য ফেরত পাওয়া গেলে বিক্রয় ফেরত বহিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

৫। নগদান বহি ও প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার নগদ লেনদেনগুলাে নগদান বহিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। আবার নগদান বহিকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। তবে বৃটিশ পদ্ধতি এবং আমেরিকান পদ্ধতি উভয় পদ্ধতি পৃথকভাবে আলােচনা করা হলাে।

বৃটিশ পদ্ধতি নগদান বহি নিম্নরূপঃ

ক) এক ঘরা নগদান বহি : এই নগদান বহির ডেবিট কলাম এবং ক্রেডিট কলাম থাকে। এক ঘরা নগদান বহি নগদান খতিয়ানের অনুরূপ। সাধারণতঃ ছােট ছােট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এক ঘরা নগদান বহি ব্যবহার করে থাকে।

খ) দু’ঘরা নগদান বহিঃ যে নগদান বহির উভয় পার্শ্বে নগদান ত্ত ব্যাংক কলাম থাকে তাকে দঘরা নগদান বহি বলে

ঘ) খুচরা নগদান বহি : ছােট-খাটো খরচের জন্য খুচরা নগদান বহির প্রয়ােজন দেখা যায়। সাধারণত: বড় বড় প্রতিষ্ঠানসমূহ খুচরা নগদান বহি ব্যবহার করে থাকে। আমেরিকান পদ্ধতি ক) নগদ প্রাপ্তি জাবেদা : সকল প্রকার নগদ প্রাপ্তিসমূহ এই জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়।

৬) নগদান প্রদান জাবেদা : সকল প্রকার নগদ প্রদান সংক্রান্ত লেনদেনগুলাে এই বহিতে লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে।

৭) নগদ প্রাপ্তি জাবেদা : সকল প্রকার নগদ প্রাপ্তিসমূহ এই জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়।

2) প্রকৃত জাবেদা:

যে সকল লেনদেনসমূহ বিশেষ জাবেদায় লিপিবদ্ধ হয় না সেগুলাে প্রকৃত জাবেদায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। নিম্নে প্রকৃত জাবেদার শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে ঃ

১। প্রারম্ভিক জাবেদা ও বিগত বছরের হিসাবের জের সমূহ চলতি বছরে আনার জন্য যে জাবেদা দাখিলা দেওয়া হয় তাকে প্রারম্ভিক জাবেদা বলে।

২। সমাপনী দাখিলা ও হিসাব কাল শেষে নামিক হিসাবসমূহ (আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত) বন্ধ করার জন্য যে জাবেদা দাখিলা দেওয়া হয় তাকে সমাপনী দাখিলা বলে।

৩। সমন্বয় জাবেদা ও অসমন্বিত লেনদেনগুলাে একটি নির্দিষ্ট “হিসাব কাল” শেষে সমন্বয়ের জন্য যে দাখিলা দেওয়া হয় তাকে সমন্বয় জাবেদা বলে।

৪। ভুল সংশােধনী জাবেদা ঃলেনদেনগুলাে লিপিবদ্ধকরণের সময় যে সমস্ত ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তা সংশােধনের জন্য যে দাখিলা দেওয়া হয় তাকে ভুল সংশোধন জাবেদা বলে।

দাখিলা দেওয়া হয় তাকে ভুল সংশােধন জাবেদা বলে ।

৫। স্থানান্তর জাবেদা ও একটি হিসাবের জের যখন অন্য কোন হিসাবে স্থানান্তরের প্রয়ােজন পড়ে তখন উহার জন্য যে দাখিলা দেওয়া হয় তাকে স্থনান্তর জাবেদা বলে ।

৬। বিপরীত দাখিলা ও অগ্রীম আয়-ব্যয়ের হিসাবগুলাে পরবর্তী বছরে স্থানান্তর করার জন্য যে দাখিলা দেওয়া হয় তাকে বিপরীত দাখিলা বলে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

0 Comments

আমাদের সাথে থাকুন

Advertisement 2

Advertisement 3

Advertisement 4