মাধ্যমিক ৯ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা ৮ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১

মাধ্যমিক ৯ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা ৮ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১ মাধ্যমিক ৯ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা ৮ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

মাধ্যমিক ৯ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা ৮ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১

একজন ধানচাষী চটের বস্তায় ধানের বীজ সংরক্ষণ করে বীজতলায় বপন করলে খুব কম সংখ্যক বীজ অংকুরিত হয়। অন্যদিকে এক জন। দুগ্ধ খামার মালিক বছরব্যাপী তার গাভীগুলােকে কাচা ঘাস সরবরাহ করেন।

কিন্তু হঠাৎ বন্যার কারণে তার গাভীগুলাে মারাত্মক খাদ্য সংকটে পড়ে। উপরােক্ত ধানচাষী ও দুগ্ধ খামারী কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে বীজ ও ঘাস সংরক্ষণ করলে এ সংকটে পড়তেন না। এ ব্যাপারে তােমার মতামতসহ একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

নির্দেশনাঃ

১. শিক্ষার্থী পাঠ্যপুস্তকের প্রথম অধ্যায়ের চতুর্থ ও পঞ্চম পরিচ্ছেদের ধারণা নিবে।
২. প্রয়ােজনে অভিজ্ঞ কৃষকের ও দুগ্ধ খামারির পরামর্শ নিবে।
৩. বাবা মায়ের পরামর্শ নিতে পারে।
৪. বিষয় শিক্ষকের সাথে আলােচনা করতে পারে।
৫. প্রয়ােজনে ইন্টারনেটের সাহায্য নিবে।
৬. নিজ হাতে অ্যাসাইনমেন্ট লিখবে

উত্তর সমূহ:

তারিখ : ২৩ জুন , ২০২১ খ্রি .
বরাবর , প্রধান শিক্ষক বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস
 স্কুল ,ঢাকা।
বিষয় : বীজ ও ঘাস সংরক্ষণে যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

জনাব,
বিনতি নিবেদন এই যে , আপনার আদেশ নং বা.উ.বি.৩৫৫-১ তারিখ ২৩/৬/২০২১ অনুসারে উপরােক্ত বিষয়ের উপর আমার স্বব্যখ্যাত প্রতিবেদনটি নিন্মে পেশ করলাম ।

বীজ উৎপাদন থেকেই বীজ সংরক্ষণের শুরু। জমিতে এর বপন বা রোপনের মাধ্যমে বীজ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শেষ হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে বীজ সংরক্ষণ বলতে বীজের উৎপাদন, শুকানো, প্রক্রিয়াজাতকরণ, মাননিয়ন্ত্রণ, বিপণন যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাকেই বোঝায়।

উপরোক্ত ধান চাষে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বীজ সংরক্ষণ করলে সংকটে পড়তেন না তা নিম্নে লেখা হলো-
বীজ সংরক্ষণ এর শর্তসমূহ: উৎপাদন বীজ শস্য উৎপাদনের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার-

  • নির্বাচিত জমির আশেপাশের জমিতে ওই নির্দিষ্ট বীজ ফসলের অন্য জাতের আবাদ না করা ;
  • কেবল বীজের জন্য জন্যই ফসলের চাষ করা ;
  • উৎপাদনের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান থেকে বীজ সংগ্রহ করা;
  • বীজের চারা বৃদ্ধিকালে জমি থেকে ভিন্ন জাতের গাছ তুলে ফেলা;
  • বীজের ক্ষেত ঘন ঘন ঘনঘন পরিদর্শন যাতে- আগাছা দমন, ভিন্ন জাতের গাছ তোলা এবং রোগ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়;
  • ফসলের পরিপক্বতার দিকে দৃষ্টি রাখা;
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে ফসল কাটা, মাড়াই করা ও ঝাড়া।
  • বীজ শুকানো


দীর্ঘায়ু ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য বীজকে শুকানো প্রয়োজন। বীজের জীবনীশক্তি ও অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বাড়াতে বীজ শুকানোর কোনো বিকল্প নেই। প্রকৃতপক্ষে বীজের আর্দ্রতা একটি স্ট্যান্ডার্ড মাত্রায় আনার জন্যই বীজ শুকানো হয়। ক্ষেত থেকে যখন ফসল কাটা হয় তখন এর আর্দ্রতা থাকে ১৮% থেকে ৪০% পর্যন্ত।
এই আর্দ্রতা বীজের জীবনীশক্তি নষ্ট করে ফেলে। তাই বীজকে পরবর্তী মৌসুমে ব্যবহারের নিমিত্তে বীজের আর্দ্রতাকে ১২% বা তার নিচে নামিয়ে আনা আবশ্যক। আর এজন্যই বীজ শুকানোর প্রয়োজন হয়।

 

বীজ শুকানোর পদ্ধতি
দুই প্রকারের বীজ শুকানো যায় যথাঃ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  1. প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক বাতাসের শুকানো
  2. উত্তপ্ত বাতাসে শুকানো।


বীজের চারপাশে বাতাসের আর্দ্রতা যদি বীজের আর্দ্রতা থেকে বেশি হয় তবে বাতাস থেকে আর্দ্রতা বীজের মধ্যে প্রবেশ করে যতক্ষণ না বীজ ও বাতাসের আর্দ্রতা সমান হয়। বীজের আর্দ্রতা প্রয়োজনীয় মাত্রায় রাখতে হলে চারপাশে বাতাসকে শুকনো রাখা প্রয়োজন।

বীজ শুকানোর সময় নির্ভর করে- (১)বীজের আর্দ্রতার মাত্রা, (২)বাতাসের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এর মাত্রা, ( ৩)বাতাসের গতি এবং (৪)বীজের পরিমাণের উপর।

মনে রাখতে হবে যে,

(১)বেশি তাপমাত্রায় বীজ শুকালে বীজের সমূহ ক্ষতি হয়। যেমনঃ বীজের জীবনীশক্তি ও অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা হ্রাস পায়।
(২)অপর্যাপ্ত তাপে বীজ শুকালেও একই রকম ক্ষতি হয়। অর্থাৎ বীজের জীবনীশক্তি ও অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা হ্রাস পায়।
পরিমিত তাপে দক্ষতার সাথে বীজ শুকালে –

  • সর্বোচ্চ মানের বীজ পাওয়া যায়।
  • বীজ দীর্ঘকাল সংরক্ষণ করা যায়।
  • বীজের ব্যবসায় আর্থিক লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।


বীজের প্রক্রিয়াজাতকরণঃ
ফসল কাটার পর ফসলের দানাকে বীজে পরিণত করা এবং পরবর্তী বপনের পূর্ব পর্যন্ত বীজের উন্নতমান ও অঙ্কুরোদগম ক্ষমতাকে বজায় রাখার জন্য নিজের সর্বপ্রকার পরিচর্যা কে বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ বলে। বীজ শুকিয়ে মান ও আকার অনুযায়ী ভাগ করা এবং সর্বশেষ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণের গুরুত্বপূর্ণ কার্যকলাপ।

বীজকে সুষ্ঠুভাবে প্রক্রিয়াজাত করলে যে সুফল পাওয়া যায়-

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • বীজের বিশুদ্ধতা বৃদ্ধি পায়,
  • বীজ দেখতে আকর্ষনীয় হয়,
  • বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বাড়ে।


বীজের মান নিয়ন্ত্রণঃ
কৃষিতাত্বিক কলা কৌশল প্রয়োগ করে উৎপাদন হয়েছে কি না, সঠিকভাবে ফসল কর্তন, মাড়াই ও ঝাড়াই হয়েছে কি না, সঠিকভাবে বীজ শুকিয়ে নির্দিষ্ট আওতায় আনা হয়েছে কি না তাই বীজের মান নিয়ন্ত্রণ। প্রতিটি কাজেই বীজের গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণে সুযোগ রয়েছে।

 

মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একটি বীজের নমুনার মধ্যে (১)বিশুদ্ধ বীজ, (২)ঘাসের বীজ, (৩)অন্যান্য শস্য বীজ ও (৪)পাথর থাকে। এদের মধ্যে বিশুদ্ধ বীজের শতকরা হার বের করাই বীজের বিশুদ্ধতার পরীক্ষা।

বীজের অঙ্কুরোদগম পরীক্ষাঃ
নমুনা বীজের শতকরা কতটি বীজ গজায় তা বের করাই বীজের অঙ্কুরোদগম পরীক্ষা। যখন বীজের আর্দ্রতা ৩৫-৬০% বা তার উপর হয় তখন অঙ্কুরোদগম শুরু হয়। এর হার শতকরা প্রকাশ করা হয়। ১০০ টি বীজ গুণে একটি বেলে মাটি পূর্ণ মাটির পাত্রে রেখে বা পানি দ্বারা ভিজিয়ে রাখতে হবে।প্রতিদিন দেখতে হবে পানি যাতে শুকিয়ে না যায়। নির্ধারিত সময়ের পরে বীজের অঙ্কুরোদগম শুরু হবে। যতটি বীজ গজাবে ততটি হবে বীজের অঙ্কুরোদগম হার।

বীজের আর্দ্রতা পরীক্ষাঃ
বীজ থেকে আর্দ্রতা বের করে দিয়ে তাতে কতটুকু আর্দ্রতা আছে তা জানার পদ্ধতিকে বীজের আর্দ্রতা পরীক্ষা বলা হয়।

আর্দ্রতা শতকরা হারে নিম্মোক্ত সূত্র দ্বারা প্রকাশ করা হয়ঃ

আদ্রতার শতকরা হার =নমুনা বীজের ওজন- নমুনা বীজ শুকানোর পর ওজন /নমুনা বীজের ওজন ×১০০

বীজের জীবনীশক্তি পরীক্ষাঃ
এই পরীক্ষার জন্য বীজ গজানোর একটি প্রতিকূল অবস্থা সৃষ্টি করা হয়।

এই প্রতিকূল অবস্থায় যে বীজ বেশি গজাবে সে বীজেরই জীবনীশক্তি বেশি বলে প্রতীয়মান হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বিপণনঃ
বীজ বিপণন বীজ প্রযুক্তির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। সংগ্রহ, প্যাকেজ করা, বিক্রি পূর্ব সংরক্ষণ, বিজ্ঞপ্তি,বিক্রি এসব কাজকে এক কথায় বীজ বিপণন বলে। বীজ বিপণন কালে ক্রেতাদের নিম্মোক্ত তথ্য প্রদান করতে হবে।

  • বীজের জাত নির্ধারণ
  • বীজের পরিমাণ নির্ধারণ
  • বীজ অনুমোদনপ্রাপ্ত বা প্রত্যাগত কি না
  • বীজের অঙ্কুরোদগমের হার
  • বিশুদ্ধতার হার
  • বীজের আর্দ্রতা
  • জীবনকাল
  • উৎপাদনকারী সংস্থার নাম
  • অনুমোদন সংস্থার নাম
  • বীজ বপন পদ্ধতি
  • সংরক্ষণের নির্দেশ
  • বীজের মূল্য

 


বীজ সংরক্ষণের গুরুত্বঃ
বীজ অনুভূতিপ্রবণ। একটু অসতর্কতার জন্য বিপুল পরিমাণ বীজ নষ্ট হয়। কৃষকরা তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বীজ সংরক্ষণ করেন। একটা উদ্দেশ্য সামনের মওসুমে যাতে সুস্থ সবল বীজ বাজারে বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু তবুও কিভাবে বীজের জীবনীশক্তি যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বীজ সংরক্ষণের পদ্ধতি উদ্ভাবন হয়েছে। ফসল বাছাই মাড়াই ও পরিবহনকালে বীজ নষ্ট হয় বেশি। ইঁদুর, পাখি, ছত্রাক, আদ্রতা ইত্যাদির কারণে প্রায় দশ ভাগ ফসল নষ্ট হয়। বীজের সাথের ধুলাবালি, নুড়িপাথর ও বীজের গুণাগুণ নষ্ট করে।

এটি সংরক্ষণের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল বীজের গুণগত মান রক্ষা করা এবং যেসব বিষয় বীজকে ক্ষতি করতে পারে সেগুলো সম্পর্কে সতর্ক হওয়া ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বীজ সংরক্ষণের পদ্ধতিঃ
বাংলাদেশের বীজ সংরক্ষণের অনেক পদ্ধতি আছে। এক এক ফসলের বীজ এর জন্য একেক রকম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেমন দানা জাতীয় শস্য ধান, গম, ভুট্টা, বীজের জন্য ধানগোলা, ডোল মাটির পাত্র, চটের বস্তা, পলিব্যাগ ও বেড ব্যবহার করা হয়। নিম্নে ফসল সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

বীজ শুকানো ও চটের বস্তা সংরক্ষণঃ
বীজ শুকানোর অর্থ হচ্ছে বীজকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা সরানো এবং পরিমিত মাত্রায় আনা।আদ্রতা তাপমাত্রা ১২-১৩% হলে ভালো হয়।বাংলাদেশের বীজ শুকানো হয় রোদে।ঠিকমতো শুকিয়েছে কেনা তা বীজে কামড় দিয়ে পরখ করতে হবে । বীজে কামড় দেয়ার পর যদি ‘কট’ করে আওয়াজ হয় তবে মনে করতে হবে বীজ ভালোমতো শুকিয়েছে । অতঃপর বীজগুলোকে চটের বস্তায় নিয়ে গোলা ঘরে রাখা হয়। বীজকে পোকার উপদ্রব থেকে রক্ষা করার জন্য বীজের বস্তায় নিমের পাতা, নিমের শিকড়, আপেল বীজের গুড়া,বিষকাটালী ইত্যাদি মেশানো হয়।

ধানগোলায় সংরক্ষণঃ
ধান সংরক্ষণের জন্য ধানের গোলা ব্যবহার ব্যবহার হয়ে থাকে। ধানগোলার আয়তন বীজের পরিমানের উপর নির্ভর করে নির্মাণ করা হয়। বীজ রাখার আগে ধান গোলার ভিতরে ও বাইরে গোবর মাটির মিশ্রণের প্রলেপ দিয়ে বীজ রাখার উপযুক্ত করতে হবে। বীজগুলো এমনভাবে ভরতে হবে যেন বাতাস না লাগে। সেজন্যই ধান গোলার মুখ বন্ধ করে গোবর ও মাটির মিশ্রণের প্রলেপ দিতে হবে।

ডোলে সংরক্ষণঃ
ডোল আকারে ধানগোলার চেয়ে ছোট। ডোল ধানগোলার চেয়ে কম ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বীজ পাত্র।এটি বাশঁ বা কাঠ দিয়ে গোলাকার করে তৈরি করা হয় । ধান গোলার মতো ডোলের বাইরে ও ভিতরে গোবর ও মাটির মিশ্রণের প্রলেপ দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে বীজ রাখার উপযুক্ত করা হয় ।

পলিথিন ব্যাগের সংরক্ষণঃ
আজকাল পাচঁ কেজি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পলিথিন ব্যাগে বীজ সংরক্ষণ করা হয়। এই ব্যাগ আর ডি এস কর্তৃক উদ্ভাবিত। সাধারণ পলিথিনের চেয়ে বীজ রাখার পলিথিন মোটা হয়। শুকনো বীজ এমনভাবে পলিথিনে রাখতে হবে যাতে কোন না ফাকঁ থাকে এবং সম্পূর্ণ বাতাস বেরিয়ে আসে। অতঃপর ব্যাগের মুখ তাপের সাহায্যে এমন ভাবে বন্ধ করতে হবে যেন বাইরে থেকে ভেতরে বাতাস প্রবেশের সুযোগ না থাকে।

মটকায় সংরক্ষণঃ
মটকা মাটির নির্মিত একটা গোলাকার পাত্র। গ্রামবাংলায় এটি বহুল পরিচিত। এটি বেশ পুরু এবং মজবুত।মটকার বাইরে মাটি বা আলকাতরার প্রলেপ দেওয়া হয়। গোলা ঘরের মাচার নির্দিষ্ট স্থানে মটকা রেখে এর ভীতর শুকনো বীজ পুরোপুরি ভর্তি করা হয় । অতঃপর ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করে মাটির প্রলেপ দিয়ে বায়ুরোধক করা হয়।

দুগ্ধ খামারীর গাভীর খাদ্য(ঘাস) সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ
কোন খাদ্যের গুনাগুন ও পুষ্টিমান ঠিক রেখে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য খাদ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে রেখে দেওয়াকে খাদ্য সংরক্ষণ বলে।

আবার তৈরি করা পশু খাদ্যের গুনাগুন ঠিক রাখার জন্য ও গুদামজাত করার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ঘাস সংরক্ষণ এর ধাপসমূহঃ


ক) হে তৈরির মাধ্যমে সবুজ ঘাস সংরক্ষণ করা হয়। নিম্নে হে তৈরির বিভিন্ন ধাপ গুলো দেওয়া হলোঃ


১।হে তৈরীর জন্য শিম গোত্রীয় ঘাস।যেমন,সবুজ খেসারি, মাসকলাই বেশি উপযোগী।
২।ফুল আসার সময় ঘাস কাটতে হয়।
৩।ঘাস রোদে শুকিয়ে আদ্রতা ১৫-২০% এর মধ্যে রাখা হয়।
৪।ঘাস শুকিয়ে মাচার উপরে স্তুপ আকারে ঘরে সংরক্ষণ করা হয়।

খ)সাইলেজ তৈরির মাধ্যমে সবুজ ঘাস সংরক্ষণ করা হয়। নিম্নে সাইলেজ তৈরির ধাপ গুলো দেওয়া হলঃ


১।সাইলেজ তৈরির জন্য ভুট্টা, নেপিয়ার,গিনি ঘাস বেশি উপযোগী।

২।ফুল আসার সময় রসালো অবস্থায় ঘাস কাটতে হয়।

৩।ঘাস কেটে বায়ু নিরোধক স্থানে বা সাইলো পিটে রাখা হয়।

৪।সাইলো পিটে ঘাস রাখার সময় ঝোলাগুড়ের দ্রবণ ছিটিয়ে দিতে হয় ।

৫।তারপর বায়ু চলাচল বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

গ) খড় তৈরির মাধ্যমে ফসলের বর্জ্য সংরক্ষন করা হয়।

আমাদের দেশে বেশির ভাগ কৃষক পরিবারে গরুর জন্য খাদ্য হিসেবে খড় ব্যবহার করা হয়।
গরুকে দৈনিক ৩-৪ কেজি শুকনো খড় দেওয়া হয়। এটি আশঁ জাতীয় খাদ্য। নিম্নে ঘর তৈরির ধাপ গুলো দেওয়া হলঃ
১। শস্য গাছ( ধান,খেসারি,ভুট্টা ইত্যাদি গাছ) ক্ষেত থেকে কাটার পর সেগুলো মাড়াই করে শস্যদানা আলাদা করে ফেলা হয়।

২। বর্জ্য গাছগুলো রোদে শুকিয়ে আর্দ্রতা ১৫-২০% মধ্যে এনে খড় তৈরি করা হয়।

৩। খড় সাধারণত গাদা করে রাখা হয়।

উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরন করে ঘাস সংরক্ষণ করলে দুগ্ধখামারি ঘাসের সংকটে পড়তেন না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

 

৯ম শ্রেণীর ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

 

  • ১১ম -১২ম শ্রেণীর এইচএসসি ও আলিম এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ১০ম শ্রেণীর এসএসসি ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৬ষ্ঠ ,৭ম,৮ম ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

 


إرسال تعليق

আমাদের সাথে থাকুন
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!