১।বাণিজ্যিক ভূগোল মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাস্তবতার আলোকে যুক্তি প্রদান করো
ভূগোল কি লিখবে।
উত্তর:
ভূগোল একটি গতিশীল বিঙ্গান। বিশ্বে প্রতিনিয়ত যা কিছু ঘটছে, তার সবই ভূগোলের সাথে সম্পৃক্ত । ভূগোল পৃথিবী ও তার পৃষ্ঠদেশ সম্পর্কে ধারণা দেয়।
সংঙ্গাঃ গ্রিক পন্ডিত ইরাটোসথেনিস সর্বপ্রথম ভূগোল শব্দটি ব্যবহার করেন। দুটি গ্রিক শব্দ Geo অথ ভুমন্ডল বা পৃথিবী এবং Graphy অর্থ বর্ণনা। সর্বিক অর্থে মানুষের আবাস এ পৃথিবীর বর্ণনা।
হার্টশোনের মতে, ভূপৃষ্ঠের বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্যাবলির সঠিক, শ্রেণীবদ্ধ এবং যুক্তিসংগত বর্ণনা ও বিশ্লেষনই ভূগোলের অলোচ্যবিষয়।
[বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ভূগোলের আধুনিক সংঙ্গায় বলা যায়, ভূগোল একটি গতিশীল বিঙ্গান যা মানুষ, পৃথিবী ও পরিবেশের বর্ণনা প্রদান করে। এদের পরস্পারিক সম্পর্ক বিশ্লেষণপূর্বক একের উপর অন্যের প্রভাব নিয়ে আলোচনা কর এবং এটি হচ্ছে ঙ্গানের সকল শাখার মধ্যে অত্যন্ত মৌলিক ও প্রাথমিক শাখা।
বাণিজ্যিক ভূগোল কি লিখবে ।
উত্তর:
মানুষ তার অভাব ও চাহিদা পূরন তথা জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকে। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত এসব মানুষ বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পাদন করে থাকে।
মানুষের এসব অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বিস্তারিত বর্ণনা এবং পরিবেশ দ্বারা এগুলো কিভাবে প্রভাবিত হয়, অপরদিকে মানুষও এর ওপর কিভাবে প্রভাব বিস্তার করে সে সম্পর্কটা নির্ণয় করাই বাণিজ্যিক ভূগোলের মূল বিষয়বস্তু।
এমন এক প্রকার ভূগোল, যেখানে মূল উৎসানুযায়ী বিভিন্ন পণ্য এবং পরিবহন পথ অনুযায়ী কারবারি (লেনদেন) করে।
[বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
মানুষের অর্থনৈতিক কার্যাবলী ও জীবিকা অর্জনের সাথে বাণিজ্যিক ভূগোলের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এটি একটি গতিশীল ও দ্রুত পরিবর্তনশীল বিষয়। বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নতির সম্ভাবনা কি ধরনের এবং এই সম্ভাবনার পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে কিভাবে মানুষের কল্যান সাধন হতে পারে সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয়।
তাই সমাজের সকল স্তরের মানুষ অর্থাৎ ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে কারবারী বা ব্যবসায়ী, পরিকল্পনাবিদ, শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, সরকার পর্যন্ত সকলের জন্যই বাণিজ্যিক ভূগোল সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাণিজ্যিক ভূগোল এর বৈশিষ্ট্য।
উত্তর:
মানুষ তার অভাব ও চাহিদা পূরন তথা জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকে। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত এসব মানুষ বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পাদন করে থাকে। মানুষের এসব অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বিস্তারিত বর্ণনা এবং পরিবেশ দ্বারা এগুলো কিভাবে প্রভাবিত হয়, অপরদিকে মানুষও এর ওপর কিভাবে প্রভাব বিস্তার করে সে সম্পর্কটা নির্ণয় করাই বাণিজ্যিক ভূগোলের মূল বিষয়বস্তু।
বাণিজ্যিক ভূগোলের বিষয়বস্তুর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
১. মানুষ ও তার উপজীবিকা: বাণিজ্যিক ভূগোলের অন্যতম বিষয়বস্তু হলো মানুষ, মানুষের চাহিদা এবং তাদের উপজীবিকা। কারন পৃথিবীর বিভিন্ন
অঞ্চলের মানুষের চাহিদা ও উপজীবিকা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আর এই উপজীবিকার মাধ্যমে মানুষ কিভাবে তাদের জীবনযাত্রা নির্বাহ করছে তা বাণিজ্যিক ভূগোল থেকে জানা যায়।
[বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
২. আর্থিক সম্পদ: মানুষ প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন সম্পদ সংগ্রহ ও আহরন করে থাকে। বাণিজ্যিক ভূগোল এসব আর্থিক সম্পদের বর্ণনা প্রদান করে। এর ফলে আমরা বিশ্বের কোন্ অঞ্চলে কোন্ সম্পদ পাওয়া যায় বা উৎপন্ন হয়, সম্পদের প্রাপ্তির কারন, সম্পদ সংগ্রহের পরিমান এদের অর্থনৈতিক ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারি।
৩. পরিবেশ: বাণিজ্যিক ভূগোলের অন্যতম বিষয়বস্তু হলো বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা প্রদান করা এবং মানুষের কার্যাবলী
ও জীবিকা পরিবেশ দ্বারা কিভাবে প্রভাবিত হয় এবং মানুষইবা কিভাবে নিজেদের প্রয়োজনে পরিবেশকে আয়ত্তে আনছে এগুলোর ব্যাখ্যা বিশে−ষন প্রদান করা।
৪. ব্যবসায় বাণিজ্য: ব্যবসায়-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়াদির তথ্যানুসন্ধান, এর কারণ নির্দেশ, অবস্থান, বাণিজ্য প্রসারের সম্ভাবনা ইত্যাদির আলোচনা বাণিজ্যিক ভূগোলের বিষয়বস্তু। ফলে বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উৎপন্ন দ্রব্যাদি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায় এবং এক দেশ হতে অন্য দেশে কি ধরনের উৎপাদিত দ্রব্যের আদান প্রদান হতে পারে, কি ধরনের ব্যবসায়-বাণিজ্য গড়ে উঠতে পারে, সে বিষয়ে জ্ঞান লাভ করা যায়।
[বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৫. উৎপাদন: পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের উৎপাদনের বিস্তারিত বর্ণনা প্রদান করা বাণিজ্যিক ভূগোলের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। এজন্য বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন প্রকার পণ্যদ্রব্যের উৎপাদনের কারণ, ভৌগোলিক অবস্থা, উৎপাদনের পরিমান, এদের বন্টন ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়।
৬. উৎপাদনের উপাদানসমূহের সমন্বয় ; উৎপাদনের উপাদানসমূহ কোন বিশেষ স্থানে কেন্দ্রীভূত না থেকে এগুলো বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্তভাবে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে
থাকে। এই উপাদানগুলোর ভেতর সমন্বয় সাধন করে কিভাবে উৎপাদন কাজে নিয়োগ করা যায় তার আলোচনা বাণিজ্যিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়।
৭. বিভিন্ন যুগে অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র: সময়ের কালক্রমে মানুষের অর্থনৈতিক কার্যকলাপের উপর পরিবেশের প্রভাব পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষ যুগ পরস্পরায়
পরিবেশের দ্বারা কিভাবে প্রভাবিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে কিরূপ প্রভাবিত হবে তার ধারাবাহিক চিত্র প্রদান করাও বাণিজ্যিক ভূগোলের অন্যতম আলোচ্য বিষয়।
৮. অর্থনৈতিক অবস্থার তারতম্যের বিশে−ষন: বাণিজ্যিক ভূগোল থেকে পৃথিবীর কোন্ দেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন্ স্তরে আছে তার তুলনামূলক চিত্র এবং বিভিন্ন দেশের অধিবাসীদের ভেতর অর্থনৈতিক অবস্থার তারতম্যের কারণসমূহ জানা যায়।
৯. পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা: প্রায় সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন দেশের পরিবহন ও
যোগযোগ ব্যবস্থা এবং এই ব্যবস্থা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রসারকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা বাণিজ্যিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়বস্তু।
[বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এছাড়াও শিল্প কেন্দ্র, বন্দর ও বাণিজ্য কেন্দ্র, শহর, পশ্চাদভূমি ইত্যাদিও বাণিজ্যিক ভূগোলের বিষয়বস্তু হিসেবে বিবেচিত।
বাণিজ্যিক ভূগোল এর গুরুত্ব।
উত্তর:
বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠের গুরুত্ব
মানুষের অর্থনৈতিক কার্যাবলী ও জীবিকা অর্জনের সাথে বাণিজ্যিক ভূগোলের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এটি একটি গতিশীল ও দ্রুত পরিবর্তনশীল বিষয়। বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নতির সম্ভাবনা কি ধরনের এবং এই সম্ভাবনার পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে কিভাবে মানুষের কল্যান সাধন হতে পারে সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয়। তাই সমাজের সকল স্তরের মানুষ অর্থাৎ ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে কারবারী বা ব্যবসায়ী, পরিকল্পনাবিদ, শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, সরকার পর্যন্ত সকলের জন্যই বাণিজ্যিক ভূগোল সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
১. জ্ঞানের: ক্ষেত্র জ্ঞান চর্চা ও সভ্যতার দিক থেকে প্রাচীন ও বর্তমান যুগের মানুষের ভেতর যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। বর্তমান যুগে মানুষ কেবল তাদের মৌলিক প্রয়োজন পূরন নিয়েই সন্তুষ্ট নয়। বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা এবং এই জ্ঞানকে ব্যবহার করে
তাদের চাহিদা মেটানোর ইচ্ছাও প্রবল রয়েছে। এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ভূগোল জ্ঞান পিপাসুদের জ্ঞান অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
২. অভিজ্ঞতা: অর্জন বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠ করে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের উন্নতি ও অবনতির কারন সম্পর্কে জানা যায়। এভাবে অন্য অঞ্চলের মানুষের উন্নতির পন্থা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় এবং বাস্তব ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা জীবযাত্রার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।
[বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৩. পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ : বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ওপর পরিবেশের প্রভাব, পরিবেশকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য মানুষের প্রচেষ্টা ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয়। ফলে পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয়।
৪. সম্পদের কাম্য ব্যবহার: বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠ করে বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পদ, এদের উৎপত্তি, বন্টন ও ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা সম্ভব হয়। এমনিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ বিভিন্ন সম্পদের কাম্য ব্যবহার করে কিভাবে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাচ্ছে সে সম্পর্কেও জ্ঞান অর্জন করা এবং বাস্তবে এর প্রয়োগ করা সম্ভব হয়।
৫. অর্থনৈতিক পরিকল্পনা : একটি দেশের অর্থনীতির জন্য যথার্থ ও কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন করা এবং দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত করার জন্য অর্থনীতিবিদগণের নিকট বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠ করে তারা দেশের
ভবিষ্যত অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সম্পর্কেও যথাযথ জ্ঞান লাভ করতে পারেন।
৬. পণ্য উৎপাদনের বিভিন্নতা : দেশ ভেদে পরিবেশের তারতম্যের কারণে পৃথিবীর সকল দেশে সকল দ্রব্য উৎপন্ন হয় না। বাণিজ্যিক ভূগোল থেকে বিভিন্ন পন্যের সমৃদ্ধ অঞ্চল ও ঘাটতি অঞ্চল সম্পর্কে জানা যায় এবং কিভাবে এ অঞ্চলগুলোর ভেতর বাণিজ্য সম্পাদিত
হয় সে সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়।
[বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৭. পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা : একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসারে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অভ্যন্ত
রীণ নৌ ও সমুদ্র পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন ও উন্নয়নের জন্য বন্দর স্থাপন, স্থান নির্বাচন, এছাড়া সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বাণিজ্যিক ভূগোলের জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ।
৮. উন্নতি ও অবনতি : পৃথিভীর সব অঞ্চল বা দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সমানভাবে উন্নত নয়। পৃথিবীর কোন দেশ কতখানি উন্নত হয়েছে বা পিছিয়ে রয়েছে এবং এই উন্নতি বা অবনতির কারন কি তা বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠ করে জানা যায়।
৯. শিল্প: পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্নভাবে নানা ধরনের শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। অঞ্চলভেদে শিল্পের উন্নতি ও অনুন্নতি সম্পর্কে বাণিজ্যিক ভূগোল আলোচনা করে থাকে। অর্থাৎ অনুকূল জলবায়ু, প্রয়োজনীয় বাজার ও পরিবহন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ শক্তি, শিল্প সহায়ক জনশক্তি ইত্যাদি সম্পর্কে বাস্তব ধারণা বাণিজ্যিক ভূগোল থেকে জানা যায়।
১০. বাণিজ্যিক জ্ঞান লাভ : অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জ্ঞান আমরা বাণিজ্যিক ভূগোল থেকে অর্জন করতে পারি। পৃথিবীর কোন্ অঞ্চলে কোন্ পণ্য উদ্বৃত্ত থাকে, কোন্ জিনিসের ঘাটতি রয়েছে এবং কোথায় কোন পন্যের চাহিদা তথা বাজার রয়েছে তা
বাণিজ্যিক ভূগোল থেকে জানা যায়। এমনি ভাবে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা যায়।
১১. পাঠ্যক্রম হিসেবে : পাঠ্যক্রম হিসেবে বাণিজ্যিক ভূগোলের জ্ঞানলাভ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারন এটি পাঠে পৃথিবীর স্থলভাগ, জলভাগ, বিভিন্ন
অঞ্চলের সম্পদরাজি, এর উৎপাদন, বন্টন ও ব্যবহার তথা মানুষের যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যাবলী এবং এই কার্যাবলীর ওপর পরিবেশের প্রভাব ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয়। এমনি ভাবে এই জ্ঞান ছাত্র-ছাত্রীদের একজন পূর্ণ ও পারদর্শী শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, ব্যবস্থাপক, পরিচালক ইত্যাদি হতে সাহায্য করে।
১২. পরিবর্তিত অবস্থার সাথে পরিচিতি : প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর প্রাকৃতিক অবস্থা, সম্পদ ও মানুষের অর্থনৈতিক কার্যাবলী সম্পর্কে সর্বশেষ ধারনা
বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠ করে লাভ করা যায়। এভাবে মানুষ পরিবর্তিত অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়ে এর সাথে খাপ
খাওয়াতে পারে।
১৩. প্রযুক্তির উন্নয়ন : বাণিজ্যিক ভূগোল পাঠের মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তিগত উন্নতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায় এবং নিজ
দেশে উক্ত প্রযুক্তিগুলোর উন্নয়ন ও আমদানী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সহজ হয়।
১৪. সরকারকে সাহায্য প্রদান : একটি দেশের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের নীতি নির্ধারনের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ভূগোলের জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও কোন্ দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করলে দেশের জন্য সুবিধাজনক হবে তাও বাণিজ্যিক ভূগোল থেকে জানা যায়।
[বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
H.S.C
- এইচএসসি ডিপ্লোমা ইন কমার্স বাণিজ্যক ভূগোল (১৭১৭) এ্যাসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ উত্তর
- বিএম মার্কেটিং নীতি ও প্রয়োগ (১৮১৮) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
- “মধ্যস্থ করবারির উৎপাদক, ভােক্তা ও সামজের প্রতি বিভিন্ন ধরণের কার্যবলি রয়েছে। এ উক্তির যর্থাথতা উল্লেখ কর।
- বাংলাদেশ কৃষি পন্যের বাজারজাতকরণে প্রধান প্রধান সমস্যা
- ব্যয়যােগ্য মূল্য নির্ধারণ ও ভ্যালুভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতির মধ্যে কোন পদ্ধতিটি বেশি উপযুক্ত বলে তুমি মনে কর
- পণ্যের জীবন চক্রের বিভিন্ন স্তরে বাজারজাতকরণ প্রয়োগ পূর্বক মতামত দাও
- “প্রত্যাশিত অবস্থান দখলের জন্য পরিকল্পলিতভাবে মার্কেটিং কৌশল গ্রহণ করতে হয়।”
- বাংলাদেশে বাজারজাতকরণে প্রভাব বিস্তারকারী পরিবেশগুলোর প্রয়োগ দেখাও
- Hsc Bm Marketing Policy(1818) Assignment Answer 2021
- HSC BM Business Organization and Management 1 (1817) Assignment Answer