সাধারণ অর্থে, মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বহু সংখ্যক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় মিলিত হয়ে এবং যৌথভাবে মূলধন বিনিয়োগ করে যে আইনসম্মত কারবার গঠন করে তাকে যৌথ মূলধনী কোম্পানি বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায় যে, কতিপয় ব্যক্তি স্বেচ্ছায় মিলিত হয়ে মুনাফা অর্জনের নিমিত্তে যৌথভাবে মূলধন সরবরাহ করে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে চিরন্তন অস্তিত্ব সম্পন্ন যে কারবার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে তাকে যৌথ মূলধনী কোম্পানি বলা হয়।
১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২৫১) (ঘে) ধারা অনুযায়ী, “কোম্পানি বলতে এ আইনের অধীনে গঠিত ও নিবন্ধিত অথবা কোন বিদ্যমান কোম্পানিকে বুঝায় ।”
অধ্যাপক ওয়াই, কে, বুশান এর মতে, “কোম্পানি বলতে আইন স্বীকৃত এমন একটি কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তাকে বুঝায় যার একটা নাম, সাধারণ সীল ও যৌথ মূলধন থাকে এবং যা সীমিত দায় বিশিষ্ট ও হস্তাস্তরযোগ্য নির্দিষ্ট মূল্যের শেয়ারে বিভক্ত।"
বিচারপতি লিন্ডলে বলেছেন যে, “কোম্পানি হল একটি স্বেচ্ছামূলক সংঘ অথবা কতিপয় ব্যক্তির একটি সংগঠন যার সদস্যরা একটি সাধারণ তহবিলে তাদের অর্থ বা আর্থিক সম্পদ একত্রিত করে এবং সেটা কোন. ব্যবসায় বা কারবারে বিনিয়োগ করে এবং তা হতে অর্জিত মুনাফা বা লোকসান নিজেদের মধ্যে বন্টন করে |”
পরিশেষে বলা যায় যে, যৌথ মূলধনী কোম্পানি হল আইনসৃষ্ট, কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী এবং চিরন্তন অস্তিত্ব সম্পন্ন এমন একটি বৃহদায়তন কারবার সংগঠন যেখানে কতিপয় ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে যৌথভাবে অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে এবং বিধি মোতাবেক লাভ-লোকসানের ভাগিদার হয়।
সাস্থ্য