Ads Area

সমর্পণ মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি আলোচনা

 

সমর্পণ মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি আলোচনা

সমর্পণ মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি গুলাে লিখবে।

উত্তর:

জীবন বীমার বৈশিষ্ট্য হলো কোন বীমা গ্রহীতা তার জীবনের ঝুঁকি হস্তান্তর করার জন্য বীমাকারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্দিষ্ট হারে নির্দিষ্ট সংখ্যক কিস্তির মাধ্যমে প্রিমিয়াম পরিশোধ করে যার বিনিময়ে চুক্তি অনুযায়ী বীমাকারী প্রতিষ্ঠান বীমা গ্রহীতাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে।

এখানে উলে−খ্য যে, সাধারণতঃ কিস্তি শেষ বা মৃত্যু পর্যন্ত প্রিমিয়াম প্রদান করতে হয়। কিন্তু কোন কারণে যদি বীমা গ্রহীতা নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক কিস্তি পরিশোধ করার পর কিস্তি পরিশোধে অপারগ হয় বা কিস্তি চালিয়ে যেতে না চায় তবে সেক্ষেত্রে বীমাকারীর নিকট সে তার প্রদত্ত প্রিমিয়ামের টাকা দাবী করতে পারে এবং বীমা কোম্পানী তাদের চুক্তি অনুযায়ী প্রিমিয়ামের টাকা ফেরত দেয়। চুক্তি অনুযায়ী যে পরিমাণ টাকা এক্ষেত্রে ফেরত পাবে তাকে সমর্পন মূল্য বলে।


ঘোষ ও আগরওয়ালার মতে, “যদি বীমাকৃত ব্যক্তি তার বমিা পত্রের কিস্তি পরিশোধ করে বীমা পত্র চালু রাখতে অসমর্থ হন, তা হলে তিনি তাঁর বীমাপত্রটি বীমাকারীর কাছে সমর্পন করতে পারেন এবং সমর্পন করে কিছু মূল্য আদায় করতে পারেনএকে সমর্পন মূল্য বলা হয়। এম. এন. মিশ্রর মতে, “সমর্পন মূল্য হলো পরিশোধিত প্রিমিয়ামের সেই পরিমাণ বা অংশ যা বীমা পত্রটি সমর্পনের সময় বীমা গ্রহীতাকে ফেরত প্রদান করা হয়।”

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

তাই পরিশেষে বলা যায় যে, কোন বীমাগ্রহীতা কোন নির্দিষ্ট সংখ্যক কিস্তি পরিশোধের পর অসমর্থ হয়ে বীমাকারীর নিকট তার বীমাপত্রটি সমর্পন করে যে পরিমাণ মূল্য ফেরত পান তাকে সমর্পন মূল্য বলে।


সমর্পন মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি বা ভিত্তি সমূহ ঃ সমর্পন মূল্য নির্ধারণের জন্য বীমাকারী প্রতিষ্ঠান দু’টি পদ্ধতি বা ভিত্তি অনুসরণ করে থাকে। যথা:

১. পুঞ্জীকরণ বা পুঞ্জীভূত পন্থা; এবং
২. সঞ্চয়ান পন্থা।

সমর্পন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি দুটি বর্ণনা করা হলো:

১. পূঞ্জীকরণ পন্থা ঃ এ পদ্ধতি অনুসারে বীমাপত্র সমূহের নীট প্রিমিয়ামের উপর আরপিত অন্যান্য খরচাদি পুঞ্জীকরণ করে যে তহবলি সৃষ্টি হয় তা থেকে সমর্পন মূল্য প্রদান করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সমর্পন মূল্য = পূঞ্জীভূত সঞ্চিতি- সমর্পন খরচ। সমর্পন খরচ সম্পর্কে বর্ণনা দেয়া হলো:

 

ক) প্রাথমিক খরচাবলী ঃ বীমা চুক্তি গঠন ও সম্পাদনের জন্য যে খরচ হয়। যেমনঃ প্রস্তাবের যাবতীয় প্রক্রিয়া করা ও ডাক্তারী পরীক্ষার খরচ, প্রতিনিধির কমিশন, বীমাপত্র ইস্যু করার খরচ প্রভৃতি প্রাথমিক খরচের অন্তর্ভুক্ত।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

খ) প্রতিকূল মৃত্যু হার ঃ সাধারণতঃ যাদের স্বাস্থ্য ভাল ও মৃত্যুর সম্ভাবনা কম তারা বীমাপত্র সমর্পন করে না। আর যারা থেকে যায় তাদের মৃত্যুর হারও বেশী হয়, যার বোঝা বীমাকারীর উপর পড়ে। তাই সমর্পন মূল্য প্রদান করার সময় প্রয়োজনীয় সমন¦য় করতে হয়।

গ) মন্দাকালিন সমর্পনের বাড়তি খরচাদি ঃ কারবারে মন্দা দেখা দিলে বীমাপত্র সমর্পনের হিড়িক পড়ে যায়। এতে বীমাকারীর উপর প্রচন্ড চাপ পড়ে। তাই সমর্পন মূল্য পরিশোধের সময় এ ধরনের সমস্যাও বিবেচনায় আনতে হয়।

ঘ) আপদকালীন সঞ্চিত তহবিলে বরাদ্দকরণ ঃ বীমাকারীর ভবিষ্যতে কোন আর্থিক সংকট হলে তা মোকাবেলা করার জন্য অর্থ সঞ্চয় করতে হয়। তাই বীমাকারী আগে থেকেই অর্থ সঞ্চয় করে রাখে। সুতরাং সমর্পন মূল্য নিরূপণের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি ও বীমাকারীর মাথায় রাখতে হয়।

ঙ) মুনাফাতে অর্থ সংরক্ষণ ঃ বীমা একটি ব্যবসায় তাই লাভ করাও বীমার অন্যতম লক্ষ্য। ফলে প্রত্যেক বীমাপত্র থেকে একটি অংশ লাভ হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয়।

চ) সমর্পনের খরচ ঃ বীমা পত্র সমর্পনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বেশ খরচ হয়ে থাকে। তাই সমর্পন মূল্য পরিশোধের সময় সমর্পন খরচ বাবদ একটি অংশ খরচ হিসেবে রেখে দেয়।

২. সঞ্চয়ন পদ্ধতি বা পন্থা ঃ এ পদ্ধতিতে বীমাদাবীর পরিবর্তে সমর্পন মূল্য পরিশোধ করা হয়। সূত্রের সাহায্যে সমর্পন মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

সমর্পন মূল্য = (বীমাকৃত অর্থ+ভবিষ্যৎ খরচাবলী খাতে পূঞ্জীকৃত অর্থ + অংশগ্রহণকারী বীমাপত্রে ভাবীস্বত্ব বিশিষ্ট বোনাস): (ভবিষ্যতে প্রাপ্য বীমাকিস্তির পুঞ্জীকৃত পরিমাণ + সমর্পন মূল্য প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার খরচাবলী)। সমর্পন মূল্য পরিশোধের পদ্ধতি সমূহ (ডধুং ড়ভ চধুসবহঃ ড়ভ ঝঁৎৎবহফবৎ ঠধষঁবং) ঃ সমর্পন মূল্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে পরিশোধ করা হয়ে থাকে।

সমর্পন মূল্য পরিশোধের বিভিন্ন পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:

১. নগদ সমর্পন মূল্য পরিশোধ ঃ সমর্পন মূল্য নগদ অর্থে পরিশোধ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বীমা কারীর আর কোন দায় থাকে না এবং সমর্পন মূল্য অপেক্ষাকৃত কম হয় তবে বীমা গ্রহীতা তাৎক্ষণিক ভাবে আর্থিক সুবিধা পায় বলে এ পদ্ধতি অধিকতর জন প্রিয়।

 

২. হ্রাসকৃত মূল্যে পরিশোধ ঃ এ পদ্ধতিতে সমর্পন মূল্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান না করে বীমা পত্রের মূল্য পরিমাণ অর্থকে হ্রাস করে বীমার মেয়াদ অনুযায়ী হ্রাসকৃত পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়। অন্ততঃ দু’বছর প্রিমিয়াম প্রদান করা হলে বীমাপত্রটি সম্পূর্ণ বাতিল হয় না। কিন্তু আনুপাতিকহারে হ্রাস করে বীমা গ্রহীতাকে সমর্পন মূল্য প্রদান করা হয়।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

৩. সম্প্রসারিত সাময়িক বীমা পত্রের মাধ্যমে পরিশোধ ঃ এক্ষেত্রে বীমা গ্রাহক তার প্রদত্ত নীট নগদ মূল্য যে টাকা সমর্পন মূল্য হিসেবে দাড়ায় তা দিয়ে একটি সাময়িক বীমাপত্র ক্রয় করতে পারে। সেক্ষেত্রে উক্ত সময়ের মধ্যে বীমাগ্রহীতার মৃত্যু হলে বীমাকৃত অর্থ পাবে। আর যদি মারা না যায় তবে কিছুই পাবে না। তাতে বীমা গ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্ত হয। যদি মারা যায় তবে পোষ্যগণ আর্থিকভাবে লাভবান হয়।

৪. স্বয়ংক্রিয় কিস্তির পরিকল্পনা ঃ এক্ষেত্রে সমর্পন মূল্য ভবিষ্যৎ কিস্তি পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রিমিয়াম হিসেবে ঋণ দেয়া হয় ও ১৫% সুদ ধার্য করা হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রিমিয়াম প্রদান করা যাবে সে পর্যন্ত বীমাপত্রটি চালু থাকে। যদি উক্ত সময়ের মধ্যে উক্ত বীমাগ্রহীতা মৃত্যু বরণ করে তবে ঋণকৃত প্রিমিয়াম ও সুদের অর্থ বাদ দিয়ে যে পরিমাণ
বীমাদাবী থাকে তা পরিশোধ করা হয়।

৫. বৃত্তি পত্র ক্রয় ঃ বীমাপত্র গ্রহীতা সমর্পন মূল দিয়ে একটি বার্ষিক বৃত্তি পত্র ক্রয় করতে পারে। এক্ষেত্রে সমর্পন মূল্যের টাকা একত্রে না পেয়ে বৃত্তি আকারে বিভিন্ন কিস্তিতে পরিশোধ করা হয়। যাদের নিজের জীবনেই সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করা
প্রয়োজন তাদের জন্যই এ ধরনের পদ্ধতি অধিকতর প্রযোজ্য।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

H.S.C

إرسال تعليق

0 تعليقات

Ads Area