কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সব শেষ। অপেক্ষা শুধু বর আসার। তবে বর আসতে দেরি করছেন, কেন দেরি করছেন সে কথা জানতে কনের পরিবার ফোন করেন বরের বাড়িতে। এরপরই আসে অনাকাঙ্খিত সিদ্ধান্তটি। বরের বাড়ি থেকে জানিয়ে দেয়া হয় এ বিয়ে হবে না। কারণ হিসেবে তারা বলেন, ‘কনের ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তির কারণে এ বিয়েতে রাজি নয় পাত্র।’
তবে এ দাবি সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে কনের পরিবার। তারা জানায়, অতিমাত্রায় যৌতুক চেয়েছিলো বর পক্ষ।
গত বুধবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের আমরোহাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
আমরোহা থানা পুলিশের বরাতে খবরে বলা হয়, কনে ও তার পরিবার বুধবার বরযাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সঠিক সময়ে বরযাত্রী না আসায় কনের বাবা পাত্রের বাবাকে ফোন করেন।
তখন পাত্রের বাবা জানিয়ে দেন তারা বিয়ে বাতিল করে দিয়েছেন। কারণ হিসেবে কনের হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে অতিরিক্ত ঝোঁক বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে আমরোহা পুলিশের কাছে এ অভিযোগ করেছে পাত্রপক্ষ।
পাত্রপক্ষের দাবি, বিয়ের লগ্নের আগেও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করছিলেন কনে। তবে পাত্রীপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, যৌতুকের দাবি না মেটাতে পারার কারণেই বিয়ের দিন বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন পাত্রপক্ষ।
এ মর্মে পাত্রীর বাবা উরজ মেহান্দি পাত্রের বাবার বিরুদ্ধে ৬৫ লাখ টাকা যৌতুক চাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন।