অনিয়মিত পিরিয়ডের হওয়ার কারণ গুলো কি কি ???




স্ট্রেস মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই হাইপোথ্যালামাস পিটুইটারি গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই পিটুইটারি গ্রন্থি হল মানব শরীরের মাস্টার গ্ল্যান্ড। থাইরয়েড, অ্যাড্রিনালিন, ডিম্বাশয়ের মতো শরীরের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থিগুলোর কার্যকারিতা পিটুইটারি গ্রন্থির উপর নির্ভরশীল। যদি ডিম্বাশয় ঠিকঠাক কাজ না করে তা হলে ইস্ট্রোজেন হরমোনের উত্পাদন ব্যাহত হবে। যার ফলে ওভিউলেশন ও সমগ্র জনন প্রক্রিয়াই বাধাপ্রাপ্ত হয়। ইউটেরাইন লাইনিং তৈরি করে গর্ভধারণের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে ইস্ট্রোজেন। যদি ডিম্বাশয় ঠিকঠাক কাজ না করে তা হলে মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।

অনিয়মিত পিরিয়ড এখন খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। কয়েক মাস পিরিয়ড বন্ধ থাকার সমস্যাতেও ভোগেন অনেক মহিলাই। সিস্ট, টিউমর, হরমোনের তারতম্যের কারণে তা ঘটে থাকে। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার প্রধান কারণ স্ট্রেস বলেই জানাচ্ছেন চিকিত্সকরা।


সমাধান

ক্রমাগত স্ট্রেস আমাদের মস্তিষ্কের উপর যে প্রভাব ফেলে তা ফলে হরমোন উত্পন্ন হওয়ার মাত্রায় তারতম্য দেখা যায়। যার ফলে মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল অনিয়মিত হয়। কখনও ৭-৮ দিন ধরে চলে ঋতুস্রাব, কখনও ১-২ দিনেই শেষ হয়ে যায়। স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করে বা স্ট্রেসের মোকাবিলা করে অনিয়মিত মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল আবার স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা যায়। যদি মনে করেন অতিরিক্ত স্ট্রেসই আপনার অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ, তা হলে কোনও থেরাপিস্টের সাহায্য নিয়ে, অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি চিকিত্সার মাধ্যমে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন। স্ট্রেস বশে থাকলে আপনা থেকেই পিরিয়ড সাইকেলও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
প্রতি দিনের জীবন থেকে স্ট্রেস সম্পূর্ণ ছেঁটে ফেলা কখনই সম্ভব নয়। তবে স্ট্রেস যদি আয়ত্তে রাখতে পারেন তা হলে সার্বিক স্বাস্থ্যই ভাল থাকবে। ফলে পিরিয়ড সাইকেলও থাকবে নিয়মিত।

0 Comments

আমাদের সাথে থাকুন

Advertisement 2

Advertisement 3

Advertisement 4