শিশুরাই এতে বেশি আক্রান্ত হয়। কেননা তাদের শরীর অতিরিক্ত তাপমাত্রার সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারে না এবং তাদের ঘর্মগ্রন্থির মুখ সহজেই আটকে যায়। শিশুদের মুখ, মাথা, কুঁচকি আর ঘাড়-গলায় বেশি ঘামাচি হয়।
গরমে শরীরে লাল লাল ঘামাচি বের হতে দেখা যায়। এগুলো চুলকায়, জ্বলে ও বিরক্তিকর অনুভূতির সৃষ্টি করে। একে ইংরেজিতে প্রিকলি হিট র্যাশও বলা হয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয় মিলিয়ারিয়া।
অতিরিক্ত ঘামের কারণে ঘাম জমে গিয়ে ঘর্মগ্রন্থির মুখ আটকে গেলে ঘামাচি ওঠে। বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে পারকিনসনস ডিজিজের রোগী ও ডাইউরেটিক, ট্রাংকুইলাইজার-জাতীয় ওষুধ যাঁরা খান, তাঁদেরও বেশি হয় এ সমস্যা।
গরমে ঘামাচির এই বিরক্তিকর সমস্যা এড়াতে আপনি যা করতে পারেন
*শরীরে ঘাম বেশি জমতে দেওয়া যাবে না। তাই ঘর্মাক্ত জামাকাপড় বারবার পাল্টাতে হবে।
এমন কাপড়ের জামা পরতে হবে, যাতে বাতাস চলাচল করে ও ঘাম ত্বকে লেপটে না থাকে। সুতি, আরামদায়ক ও হালকা রঙের ঢিলেঢালা জামা পরলে ঘাম দ্রুত শুকিয়ে যায়।
*গরমের সময় ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলি বা তেলযুক্ত (অয়েল বেসড) কোনো ক্রিম লোশন লাগানো উচিত নয়। এতে ঘর্মগ্রন্থির মুখ আরও আটকে যায়।
*খুব গরমে ও বেশি ঘেমে গেলে বাড়ি ফিরে দ্রুত ফ্যান বা এসির সামনে বসুন। এরপর ঘর্মাক্ত জামা খুলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানির ধারায় গোসল করে নিন। দরকার হলে এমন গরমে দু-তিনবারও গোসল করা যায়। শিশুরা ঘামে বেশি,
তাই তাদেরও কয়েকবার গোসল করানো বা ঠান্ডা পানিতে ভেজা কাপড় দিয়ে স্পনজ করে দিতে পারেন। ঘর বদ্ধ করে রাখবেন না—জানালা-দরজা খুলে বাতাস চলাচল করতে দিন।
*ক্যালামিন লোশন চুলকানি ও লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করবে। ক্যামফর বা মেনথল ত্বককে শীতল করে ও ঘামাচি নিরাময়ে সাহায্য করে। প্রিকলি হিট পাউডারে এগুলো থাকে। কিন্তু পাউডার বেশি ব্যবহার করলে এটি জমে আবার ঘর্মগ্রন্থি বন্ধ করে দিতে পারে।