মালেশিয়া প্রবাসী আমারতের নির্দেশে তার ভাই ইয়াসিন গত ১০ মে ঈশিতাকে তাদের হেফাজতে চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সকালে লতা থানায় হাজির হয়ে স্বামীর তালাকনামা আমারতের বড় ভাই ইয়াসিনের হাতে দিয়ে দেন।
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আলমডাঙ্গার সুন্নত মহুরী তার ভাতিজার বধুকেই বিয়ে করলেন। ৮ দিন ধরে ঘটনাটিকে ধোঁয়াসার মধ্যে রেখে আজ সকালে থানায় এসে চাচা শ্বশুরের সাথে তার বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করলেন ভাতিজাবধূ লতা। ২৭ বছরের ভাতিজাবধুকে বিয়ে করায় ৬৫ বছরের সুন্নত মহুরীর বিয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো তিনে।
দুজনের গ্রামের বাড়ি আলমডাঙ্গার প্রাগপুরে। কিন্ত দীর্ঘদিন ধরে সুন্নত মহুরী আলমডাঙ্গা শহরে বসবাস করে আসছেন। গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুন্নত মহুরী তার ভাতিজা মালেশিয়া প্রবাসী আমারতের স্ত্রী লতাকে মেয়ে বলে ডাকতেন। আর লতাও তার চাচা শ্বশুরকে আব্বা বলে সম্মোধন করতেন। আব্বা-মেয়ের সম্পর্কের পবিত্রতম দেয়াল ভেঙে তারা একে অপরের সাথে গোপন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এজন্য প্রধান বাঁধা লতার স্বামী আমারতকে কৌশলে মালেশিয়ায় পাঠিয়ে দেন সুন্নত মহুরী। এরপর চাচা শ্বশুর সুন্নত মহুরী ও ভাতিজাবধু লতা দুজনে বিয়ে করায় এলাকায় মুখোরচক গল্পের সৃষ্টি হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার জিয়াউর রহমান জানান, সুন্নত মহুরী ও লতার বিয়ের কাবিননামা আজ সন্ধ্যার মধ্যে থানায় হাজির করতে বলা হয়েছে। তবে লতার তের বছরের মেয়ে ঈশিতা সুন্নত মহুরী ও তার মা লতার কাছে থাকবে।
চাচা শ্বশুর ও ভাতিজাবধু একে অপরকে বিয়ে করায় তিনটি পরিবারে অশান্তি শুরু হয়েছে। সুন্নত মহুরীর বড় দুই ছেলে ও একটি মেয়ে পিতার এই অপকর্ম কিছুতেই মানতে পারছেন না। তাদের সম্পর্কের ভেতর টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে সম্পর্কের দূরত্ব।
অন্যদিকে তের বছরের মেয়ে ঈশিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন মালেশিয়া প্রবাসী আমারত। তিনি মোবাইলে জানান, লতা মোবাইলে আমারতকে হুমকি দিয়ে বলেছে, বেশী বাড়াবিড় করলে তোর মেয়ে ঈশিতাকেও ‘নষ্ট’ করে দেব। কিন্ত এসআই জিয়াউর রহমান বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্কা মেয়ের আইনগত অভিভাবক তার মা। যে কারনে ঈশিতাকে তার মায়ের হেফাজতে দেয়া হচ্ছে।